১৫টি আসনে অনৈক্য নিয়েই বাম গণতান্ত্রিক জোটের ৮ দলের প্রার্থী তালিকা জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। আজ রোববার তালিকা দেওয়ার শেষ দিনে বাম জোটের পক্ষে আলাদা তিন প্রতীকে ১৪৭ জনের নাম জমা দেওয়া হয়েছে। ১৩১টি আসনে তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। একটি আসনে তিন প্রতীকের ৩ জন প্রার্থীও রয়েছেন।
ইসিতে জমা দেওয়া তালিকা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কাস্তে প্রতীকের জন্য, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) মই প্রতীকের জন্য এবং বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি কোদাল প্রতীকের জন্য তালিকা দিয়েছে। অবশ্য জোটের প্রতীক হিসেবে কোদাল প্রতীকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ছাড়াও বাসদ (মার্ক্সবাদী), গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রার্থীরাও আছেন। এই দলগুলোর নিবন্ধন নেই।
তালিকায় দেখা গেছে, সিপিবির কাস্তে প্রতীকে ৭৪ জন, বাসদের মই প্রতীকে ৪৫ জন ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কোদাল প্রতীকে ২৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে কাস্তে মার্কায় ইকবাল হোসেন, মই মার্কায় সেলিম মাহমুদ ও কোদাল মার্কায় মাহমুদ হোসেন প্রত্যেকেই নির্বাচন করবেন। এই আসনটি ছাড়াও ১৪টি আসনে জোটের একাধিক প্রার্থী রয়েছেন।
একাধিক প্রার্থী থাকা আসনগুলো হলো—দিনাজপুর ৪, কুড়িগ্রাম ২, ৩ ও ৪, বগুড়া ৫, নেত্রকোনা ২, কিশোরগঞ্জ ৫, মুন্সিগঞ্জ ৩, ঢাকা ১, গাজীপুর ২, নারায়ণগঞ্জ ৫, সিলেট ১, চাঁদপুর ৩ এবং চট্টগ্রাম ১০।
জানতে চাইলে বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম নেতা সাইফুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী তালিকা স্থানীয় সংগঠনগুলো থেকে সুপারিশ করে পাঠানো হয়। আমরা চেয়েছিলাম ওরা নিজেরা নিজেরা যদি বিষয়টি সমাধান করতে পারে, তবে সবচেয়ে ভালো হতো। অথবা কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সেখানে গিয়ে আমরা সমাধানের চেষ্টা করতে পারতাম। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও বাস্তবতা। আনুষ্ঠানিকভাবে যদিও সুযোগ নেই, কিন্তু আমরা চেষ্টা করব আলোচনার মাধ্যমে একজন যেন অপরজনকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে বসে যান।’
ইসিতে কোদাল প্রতীক চাওয়া প্রার্থীরা হলেন— নাটোর ১- আনছার আলী দুলাল, কিশোরগঞ্জ ৫- ডা. খন্দকার মোসলেউদ্দীন, নারায়ণগঞ্জ ৪- মো. মাহমুদ হোসেন, নেত্রকোনা ২- সজীব সরকার রতন, খুলনা ৪- কে.এম আলীদাদ, রাঙামাটি- জুঁই চাকমা, ঢাকা ১- মো. সেকেন্দার হোসেন, মুন্সিগঞ্জ ৩- শেখ মো. শিমুল, গাইবান্ধা ৪- ছামিউল আলম রাসু, মৌলভীবাজার ২- প্রশান্ত দেব ছানা, সিলেট ৪- অধ্যাপক মনোজ কুমার সেন, রংপুর ৩- আনোয়ার হোসেন বাবলু, দিনাজপুর ৪- সাজেদুল আলম চৌধুরী, কুড়িগ্রাম ৪- মহিরউদ্দীন, জয়পুরহাট ২- শাহজামাল তালুকদার, বগুড়া ৫- রঞ্জন দে, ঢাকা ১৬- নাইমা খালেদ মনিকা, সিলেট ১- উজ্জল রায়, চাঁদপুর ৩- আজিজুর রহমান, ফেনী ২- জসিমুদ্দীন, চট্টগ্রাম ১১- অপু দাসগুপ্ত, ঢাকা ১২- মো. জোনায়েদ আবদুর রহীম সাকি, পাবনা ১- জুলহাসনাইন বাবু, চট্টগ্রাম ১০- হাসান মারুফ রুমী, মানিকগঞ্জ ৩- রফিকুল ইসলাম অভি, বগুড়া ২- লিয়াকত আলী, বরিশাল ৫- অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, সিরাজগঞ্জ ৫- আবদুর নূর।
মই মার্কা যাঁরা চেয়েছেন:
নীলফামারী-১ এ মো. ইউনুছ আলী, লালমনিরহাট-৩ আবু তৈয়ব মো. আজমুল হক পাটোয়ারী, রংপুর-৪ মো. সাদেক আলী, রংপুর-৫ মো. মমিনুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-২ মো. মোনাব্বর হোসেন, কুড়িগ্রাম-৩ সাঈদ আখতার আমীন, কুড়িগ্রাম-মো. আবুল বাশার মঞ্জু, গাইবান্ধা-১ মো. গোলাপ রব্বানী শাহ, গাইবান্ধা-৩ সাদেকুল ইসলাম গোলাপ, জয়পুরহাট-১ অধ্যক্ষ ওয়াজেদ পারভেজ, বগুড়া-৭ শহীদুল ইসলাম, নওগাঁ-১ শ্রী মঙ্গল কিসকু, নওগাঁ-৩ জয়নাল আবেদন মুকুল, রাজশাহী-১ মো. আলফাজ হোসেন, সিরাজগঞ্জ-২ নব কুমার কর্মকার, সিরাজগঞ্জ-৬ মো. আব্দুল আলিম ফকির, কুষ্টিয়া-৩ শফিউর রহমান শফি, ঝিনাইদহ-২ মো. আসসাদুল ইসলাম, যশোর-২ মো. আলাউদ্দীন, খুলনা-৩ জনার্দন দত্ত, সাতক্ষীরা-২ নিত্যান্দন সরকার, পটুয়াখালী-৪ মো. জহিরুল ইসলাম (সবুজ)।
ঢাকা-৩ মজিবুর হাওলাদার, ঢাকা-৭ খালেকুজ্জামান (লিপন), ঢাকা-৮ শম্পা বসু, ঢাকা-১৭ এসএম আহসান হাবিব (বুলবুল), ঢাকা-১৯ সৌমিত্র কুমার দাস, গাজীপুর-১ মোহাম্মদ রাহাত আহমেদ, গাজীপুর-২ মো. আব্দুল কাইয়ুম, নরসিংদী-১ মোবারক হোসেন আখন্দ, নারায়ণগঞ্জ-৪ সেলিম মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জ-৫ আবু নাঈম খান বিপ্লব, গোপালগঞ্জ-১ মো. ইছাহাক মোল্লা, সিলেট-১ প্রণব জ্যোতি পাল, মৌলভীবাজার-৩ মো. মগনু মিয়া, হবিগঞ্জ-১ চৌধুরী ফয়সাল সোয়েব, চাঁদপুর-৩ শাহজাহান তালুকদার, চাঁদপুর-৪ এম আনিছুজ্জামান ভুইয়া রানা, ফেনী-৩ ডা. হারাধন চক্রবর্তী, নোয়াখালী-৪ মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, নোয়াখালী-৫ সিরাজউল্লাহ, লক্ষ্মীপুর-৪ মিলন কৃষ্ণ মন্ডল, চট্টগ্রাম-১০ মো. মহিন উদ্দিন এবং চট্টগ্রাম-১২ স. ম ইউনুস।
কাস্তে মার্কার ৭৪ জন:
পঞ্চগড়-২ আসনে আশরাফুল আলম, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে প্রভাত সমীর শাজাহান আলম, দিনাজপুর-৩-এ বদিউজ্জামান বাদল, দিনাজপুর-৪ রিয়াজুল ইসলাম রাজু, রংপুর-৬ অধ্যাপক কামরুজ্জামান, কুড়িগ্রাম-২ উপেন্দ্র নাথ রায়, কুড়িগ্রাম-৩ দেলোয়ার হোসেন, গাইবান্ধা-২ মিহির ঘোষ, গাইবান্ধা-৫ যজ্ঞেশ্বর বর্মন, বগুড়া-৫ আসনে সন্তোষ পাল, বগুড়া-৬ আমিনুল ফরিদ, নওগাঁ-৪ ডা. ফজলুর রহমান, রাজশাহী-২ এনামুল হক ও সিরাজগঞ্জ-৩ শেখ মোস্তফা নূরুল আমিন।
কুষ্টিয়া-২ আসনে অধ্যাপক ওয়াহেদুজ্জামান পিন্টু, বাগেরহাট-২ খান সেকেন্দার আলী, বাগেরহাট-৪ শরীফুজ্জামান শরীফ, খুলনা-১ অশোক সরকার, খুলনা-২ এইচ এম শাহাদাৎ, খুলনা-৫ চিত্ত রঞ্জন গোলদার, খুলনা-৬ সুভাষ ছানা মহিম এবং সাতক্ষীরা-১ আসনে মো. আজিজুর রহমান।
পটুয়াখালী-১ মতলেব মোল্লা, পটুয়াখালী-২ শাহাবুদ্দিন আহমেদ, ভোলা-১ অ্যাড. সোহেল আহমেদ, পিরোজপুর-১ ডা. তপন বসু, পিরোজপুর-২ হাজী হামিদ, পিরোজপুর-৩ দিলীপ কুমার পাইক।
জামালপুর-২ আসনে মনজুরুল আহসান খান, জামালপুর-৩ আসনে শিবলুল বারী রাজু, জামালপুর-৫ আলী আক্কাস, শেরপুর-১ আফিল শেখ, ময়মনসিংহ-৩ হারুন আল বারী, ময়মনসিংহ-৪ এমদাদুল হক মিল্লাত, নেত্রকোনা-১ আলকাছউদ্দিন মীর, নেত্রকোনা-২ মোশতাক আহমেদ, নেত্রকোনা-৩ অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন ও নেত্রকোনা-৪ আসনে জলি তালুকদার।
টাঙ্গাইল-২ আসনে জাহিদ হোসেন খান, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে এনামুল হক, কিশোরগঞ্জ-২ নূরুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-৩ এনামুল হক ইদ্রিছ, কিশোরগঞ্জ-৫ অধ্যাপক ফরিদ আহাম্মদ, মুন্সিগঞ্জ-১ সমর দত্ত, মুন্সিগঞ্জ-৩ শ ম কামাল হোসেন, ঢাকা-১ আবিদ হোসেন, ঢাকা-২ সুকান্ত শফী চৌধুরী কমল, ঢাকা-৬ আবু তাহের বকুল, ঢাকা-১৩ আহসান হাবিব লাবলু, ঢাকা-১৪ রিয়াজউদ্দিন, ঢাকা-১৫ ডা. সাজেদুল হক রুবেল, গাজীপুর-২ জিয়াউল কবীর খোকন, গাজীপুর-৪ মানবেন্দ্র দেব, নরসিংদী-৪ কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, নারায়ণগঞ্জ-১ মোঃ মনিরুজ্জামান চন্দন, নারায়ণগঞ্জ-২ হাফিজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ-৩ আব্দুস সালাম বাবুল, নারায়ণগঞ্জ-৪ ইকবাল হোসেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ অ্যাড. মন্টু ঘোষ, ফরিদপুর-৩ রফিকুজ্জামান লায়েক, ফরিদপুর-৪ আতাউর রহমান কালু, শরীয়তপুর-১ মোদাচ্ছের হোসেন বাবুল (সমর্থিত) এবং শরীয়তপুর-৩ আসনে সুশান্ত ভাওয়াল।
সুনামগঞ্জ-২-এ নিরঞ্জন দাশ খোকন, হবিগঞ্জ-৩ আসনে পীযূষ চক্রবর্তী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ঈসা খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ শাহরিয়ার মো. ফিরোজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ শাহীন খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ অ্যাড. সৈয়দ মোহাম্মদ জামাল, কুমিল্লা-৫ আবদুল্লাহ আল ক্বাফী, নোয়াখালী-৩ মজিবুল হক মজিব, চট্টগ্রাম-৮ সেহাব উদ্দিন সাইফু, চট্টগ্রাম-৯ মৃণাল চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম-১৪ আসনে আব্দুল নবী।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১০ ডিসেম্বর, ২০১৮
we like them but they have no unity.they should do election strongly.