প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় নামতে না–নামতেই ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে বিএনপি প্রার্থীর গাড়িবহরে হামলাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে পুড়িয়ে দেওয়া, পোস্টার ছিনতাই, দলীয় কার্যালয় ও প্রচার মাইক ভাঙচুর, কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সব ঘটনাই আওয়ামী লীগ অস্বীকার করেছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের তরফ থেকেও কোনো ব্যবস্থা দেখা যায়নি।
সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী জামায়াতের আবদুল খালেক। সদর উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম সরোয়ার অভিযোগ করেন, তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগান। এ সময় একদল যুবক কাথন্ডা বাজার ও নাপিতঘাটা এলাকায় ধানের শীষের সব পোস্টার ছিঁড়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। একই সময়ে তাঁরা নুরুল মুন্সি, সাবেক ইউপি সদস্য জালালউদ্দিন ও আবদুল খালেক হাজরার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ির লোকজনকে মারপিট করেন। জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইনজামামুল ইসলাম ও বৈকারী ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জুলফিকার ইসলামের নেতৃত্বে বৈকারী ইউনিয়নে এসব ঘটনা ঘটে।
তবে ইনজামামুল এ অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, তিনি সোমবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দলীয় সভায় ছিলেন। পরে বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে পড়েন। আর জুলফিকারের দাবি, এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
সদর উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক ওমর ফারুক অভিযোগ করেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার কাটিয়া, ইটেগাছা, আলী মাদ্রাসা, রামচন্দ্রপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় তাঁদের প্রার্থীর পোস্টার রাতে ছিঁড়ে ফেলেছেন যুবলীগের কর্মীরা। এ ছাড়া কাটিয়া এলাকা থেকে তাঁদের ৫০০ পোস্টার ছিনতাই করে নেওয়া হয়েছে।
জামায়াতের অভিযোগ, সদরের আলিপুরে আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা এবং ঘোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে ঘোনায় ধানের শীষ প্রতীকের বিপুলসংখ্যক পোস্টার ছিঁড়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে ফজলুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তাঁর এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর ও কালীগঞ্জের একাংশ) আসনে বিএনপির প্রার্থী জামায়াতের জি এম নজরুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলার গোদাড়া গ্রামের ইয়াসিন আরাফাত ও আশিকুর রহমান সোমবার রাতে তাঁর পাঁচ হাজার পোস্টার নিয়ে গোদাড়া গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে নোওয়াবেঁকি এলাকায় যুবলীগের সদস্যরা সেই পোস্টার ছিনিয়ে নেন। এ ছাড়া একই রাতে কাশিমাড়ি কৃষক লীগের সভাপতি এস এম সানাউল্লাহর নেতৃত্বে কাশিমাড়ি বাজারসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকায় রাস্তার ওপর দিয়ে টানিয়ে দেওয়া ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়। তবে সানাউল্লাহর দাবি, ধানের শীষ প্রতীক জামায়াতকে দেওয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ। তাঁরাই নজরুল ইসলামের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছেন।
সদর উপজেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক ওমর ফারুক জানান, এসব ঘটনা উল্লেখ করে তাঁরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কেউ পোস্টার ছেঁড়া বা পোড়ানো নিয়ে তাঁদের কাছে অভিযোগ করেননি।
চুয়াডাঙ্গা
হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করে ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে এবং নিজের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রটেকশন চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফ।
শরীফুজ্জামান লিখিতপত্রে উল্লেখ করেছেন, সোমবার কয়েকজন সফরসঙ্গী নিয়ে আলমডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন তিনি। ফেরার সময় মুন্সিগঞ্জ পশুহাটের কাছে রাত নয়টার দিকে তিন-চার শ লোক তাঁদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁর গাড়ির চালকসহ সাতজন আহত হন। সবাই সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এ ছাড়া তাঁর ব্যবহৃত গাড়ি ও বহরে থাকা গাড়ি ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করা হয়। আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান হালিম মণ্ডল, যুবলীগ নেতা হাসানুজ্জামান হান্নান ও শিলনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়।
তবে জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসানুজ্জামান হান্নান এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, ঘটনার সময় তিনি এলাকাতেই ছিলেন না।
একই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর পাল্টা অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, সোমবার রাতে মুন্সিগঞ্জ পশুহাটে নির্বাচনী কার্যালয় বন্ধ করে দলীয় নেতা-কর্মীরা বাড়িতে যাওয়ার সময় বিএনপির লোকজন তাঁদের ধাওয়া করেন। ধাওয়ার মুখে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিরাপদ স্থানে সরে গেলে অফিসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগের বিষয়টি ইলেকটোরাল কমিটির আহ্বায়কের কাছে পাঠানো হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িত ব্যক্তিদের সাজা হবে।
যশোর
ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় যশোর-৩ (সদর) আসনের বিএনপির প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব দেলোয়ার হোসেন গতকাল জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার ঝোলানো হয়। গভীর রাতে শহরের সব পোস্টার নামিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলে করে ১৫–২০ জনের একটি দল এসে মই নিয়ে সারা রাত ওই পোস্টার খুলেছে। তারা সশস্ত্র অবস্থায় মাথায় হেলমেট ও পায়ে বুটপরা ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো টহল এ সময় ছিল না। শহরের চৌরাস্তা মোড় থেকে মণিহার প্রেক্ষাগৃহ, দড়াটানা থেকে চিত্রা মোড়, মাইকপট্টি ও প্রধান ডাকঘর এলাকায় বিএনপির সব পোস্টার নামানো হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, সদর উপজেলার চূড়ামনকাঠি বাজারে বিএনপির প্রচার মাইক ভাঙচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। শহরের দড়াটানা মোড়ে আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে আরেকটি প্রচার মাইকে হামলা করা হয়। এর বাইরে যুবলীগের কর্মীরা আরবপুর ইউনিয়নে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নেছার উদ্দীনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন।
যশোর প্রেসকাব মিলনায়তনে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক বলেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই শাসক দল মরিয়া হয়ে উঠছে। তারা বিএনপির নিশ্চিত বিজয় জেনে সর্বত্র ভীতি সৃষ্টি করছে। অথচ নির্বাচনী পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
এসব বিষয়ে জানতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবদুল আওয়ালের দাপ্তরিক মুঠোফোনে গতকাল বিকেলে কল দিলে তাঁর দেহরক্ষী ফোন ধরে বলেন, ‘স্যার, রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত আছেন।’
কেশবপুর
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেশবপুর সদরে থানা মোড়ে বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট জুলফিখার আলী অভিযোগ করেন, যশোর-৬ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদের প্রচার মাইক মঙ্গলকোট ইউনিয়নের পাঁচারই এলাকায় গেলে প্রচারকারী আবু সাঈদ ও থ্রি-হুইলারের চালক রফিকুল ইসলামকে মারপিট করে ব্যাটারি ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। গতকাল বিকেল চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে থ্রি-হুইলারের চালক রফিকুল ও প্রচারকারী আবু সাঈদ বলেন, ছয়টি মোটরসাইকেলে ১০–১২ জন যুবক এসে এ হামলা চালায়। তারা ধানের শিষের প্রচার না করার জন্য শাসিয়ে মাইকের ব্যাটারি নিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ইউএনও মিজানূর রহমান বলেন, বিএনপির প্রার্থীকে লিখিতভাবে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেহেরপুর
মেহেরপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জাভেদ মাসুদ মিল্টন গতকাল দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, গতকাল বেলা ১১টায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা গাংনী পৌরশহরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আসবাব ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। অথচ জেলা পুলিশ প্রশাসন এ ব্যপারে একেবারে নিশ্চুপ। এভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব না।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ শাহিদুজ্জামান বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কোনো হামলা-ভাঙচুর চালাননি। বিএনপির দলীয় কোন্দল রয়েছে। তারাই এ ভাঙচুর চালিয়েছে।
বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবদুল আওয়াল, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টু, গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক প্রমুখ।
ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া বাজারে গতকাল সন্ধ্যায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান আসাদের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। নৌকার স্লোগান দিয়ে ধানের শীষের বহরে থাকা বেশ কয়েকটি মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
আসাদ জানান, ঘটনার সময় তিনি বহরের সামনে ছিলেন। সন্ত্রাসীরা তাঁর গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে দিয়েছে। তবে তিনি অক্ষত আছেন। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনা সহ-রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উসমান গণিকে জানিয়েছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকেও জানাবেন।
আসাদ আরও অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার বিকেলে শৈলকুপা পৌর এলাকার খালধারপাড়ায় তাঁর পোস্টারে আগুন দিয়েছে সরকারি দলের কর্মীরা। খালধারপাড়া এলাকায় রশিতে করে তাঁর শত শত পোস্টার ঝোলানো হয়েছিল। সেগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তার প্রচার মাইক ভাঙচুর ও ভ্যানচালককে মারধর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ওসমান গণি বলেন, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা ও ঝিনাইদহ, যশোর অফিস, প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কেশবপুর)।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
সরকার এতো বেশামাল হয়ে যাচ্ছে কেন?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
অভিযোগ কেউ স্বীকার করবে না সেটাই স্বাভাবিক, মিথ্যাচার করে আঃলীগের ক্ষমতা দখল করার স্বপ্ন ও পুরন হবে না। এদেশে স্বৈরাচার নিপাত আগে ও হয়েছে, এবার ও হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
Internal nomination problem of BNP.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
সত্য কথা বলতে/ স্বীকার করতে ভয় পান ?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
ঠিক এই কারণেই আমাদের দেশে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের চিত্র কখনই গণতান্ত্রিক পরিবেশ হতে পারে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
সদর উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম সরোয়ার অভিযোগ করেন, তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগান। এ সময় একদল যুবক কাথন্ডা বাজার ও নাপিতঘাটা এলাকায় ধানের শীষের সব পোস্টার ছিঁড়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। আমি ঐ এলাকার ঘটনাটি সত্য.....
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
বুঝলাম না,দেশে যখন এতই উন্নয়নের জোয়ার তখন কেন তারা ফাকা মাঠে গোল দিতে চায়। তাদের তো নিশ্চিন্তে থাকার কথা নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারাই জিতবে।তাহলে নিরপেক্ষভাবে সব দলের সমান সুযোগ নিশ্চিত করে নির্বাচন করতে তাদের এত ভয় কেন???