১৮ জেলায় সংঘাত, প্রচারে বাধা। নোয়াখালীতে গুলিতে যুবলীগ নেতা ও ফরিদপুরে সংঘর্ষে আ.লীগ নেতা নিহত। ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রচারণার দ্বিতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবার সারা দেশে অন্তত ১৮ জেলায় সংঘাত ও প্রচারে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নোয়াখালী সদরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিতে স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। ফরিদপুর সদরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে নিজেদের এক নেতা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। এসব ঘটনায় আহতের সংখ্যা দুই শতাধিক।
এ ছাড়া গতকাল ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলা, নোয়াখালীর কবিরহাটে বিএনপির প্রার্থী মওদুদ আহমদের মিছিলে হামলা–ভাঙচুর এবং নরসিংদীতে আবদুল মঈন খানের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার ঘটনা ছিল উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারে বাধা, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, অগ্নিসংযোগসহ বিক্ষিপ্ত আরও সংঘাতের খবরও পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।
নোয়াখালীতে নিহত যুবলীগ নেতা
নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মো. হানিফ (২৪) এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ সময় একাধিক বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। গতকাল বিকেল সাড়ে চারটায় সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের নুরু পাটোয়ারীর হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই আসনে (নোয়াখালী-৪) নৌকার প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরী এবং বিএনপির প্রার্থী মো. শাহজাহান।
ফরিদপুরে নিহত আ.লীগ নেতা
ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গি এলাকায় গতকাল সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। নিহত মো. ইউসুফ আল মামুন (৪০) ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক বলে রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের একান্ত সহকারী সচিব এ এইচ এম ফোয়াদ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এলাকার একটি চায়ের দোকানে বিএনপির এক সমর্থক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করায় প্রতিবাদ করেন ইউসুফ। এ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে ইউসুফ ও লালন নামের দুজন গুরুতর আহত হন। তাঁদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ইউসুফ মারা যান।
নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শেখ জমির প্রথম আলোকে বলেন, দুই পক্ষে সংঘর্ষের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। চায়ের দোকানে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলাপের সময় মজিদ নামের এক দিনমজুরের সঙ্গে ইউসুফের কথা কাটাকাটি ও পরে হাতাতাতি হয়। এরপর ইউসুফ বাড়ি চলে যান। বেশ কিছুক্ষণ পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
কোতোয়ালি থানার ওসি এ এফ এম নাসিম বলেন, সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন বলে জানা গেছে। তাঁর মৃতদেহ সুরতহাল করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা
গত সোমবার প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচার শুরু হলেও কার্যত গতকাল থেকেই বড় আকারে প্রচারণা শুরু হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে নির্বাচন করছেন। গণসংযোগ ও পথসভা করতে গতকাল ঠাকুরগাঁওয়ে যান। গড়েয়াহাটে গণসংযোগ ও পথসভার মধ্য দিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। এর আগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি আক্কাস আলী ও বেগুনবাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেনের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে তাঁদের বাড়ি যাচ্ছিলেন মির্জা ফখরুল। বেলা একটার দিকে দানারহাট এলাকায় পৌঁছালে তাঁর গাড়িবহরে হামলা হয়। গাড়িবহরে ছিলেন জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের বহরে ১০–১২টি গাড়ি ছিল। দানারহাটের আওয়ামী লীগের স্থানীয় কার্যালয় পেরিয়ে যাওয়ার সময় পেছন থেকে গাড়িবহরের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন ৪০-৫০ জন যুবক। পরে তাঁরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বহরে থাকা সাতটি কার-মাইক্রোবাস ভাঙচুর করেন। এতে নয়জন নেতা-কর্মী আহত হন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গাড়িবহরে হামলা চালায়। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত। এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।’
সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বনি আমিন হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এলাকায় ‘সস্তা সেন্টিমেন্ট’ নিতে বিএনপির লোকজনই এ হামলা চালিয়েছে।
মওদুদের প্রচার মিছিলে হামলা
নোয়াখালীর কবিরহাটে বিএনপির নির্বাচনী মিছিলে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। এ কারণে মওদুদ কবিরহাটে পূর্বনির্ধারিত নির্বাচনী পথসভায় যোগ দিতে পারেননি। এ ঘটনায় তিনি আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন। তবে আওয়ামী লীগ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মওদুদ আহমদ তাঁর আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে সকাল ১০টায় কবিরহাট বাজারের কেজি স্কুলের সামনে এবং বিকেলে কোম্পানীগঞ্জের সরকারি মুজিব কলেজের সামনে পথসভার কর্মসূচি দেন। অভিযোগ ওঠে, মওদুদের সমর্থকেরা মিছিল নিয়ে আসার পথে ভূঁইয়ারহাট, কবিরহাট জিরো পয়েন্ট, পৌরসভার সামনে, নতুন হাসপাতাল রোড, কলেজ রোডসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা ও ধাওয়ার শিকার হন। এ সময় বাজারের একাধিক দোকানে ও বাড়িতে হামলা হয়। এতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হুদা চৌধুরীসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হন।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক মাস আগে ছাত্রদল থেকে ইসমাইল নামের এক কর্মী ছাত্রলীগে যোগ দেন। সকালে ইসমাইলকে কবিরহাট বাজারে একা পেয়ে তাঁর ওপর হামলা চালান বিএনপির কর্মীরা। এ সময় তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জলিল, যুবলীগের ওয়ার্ড সম্পাদক ইসমাইলসহ ছয়জন হামলার শিকার হন। খবর পেয়ে বিভিন্ন দিক থেকে দলের নেতা-কর্মীরা কবিরহাট বাজারে এসে বিএনপির কর্মীদের ধাওয়া করলে তাঁরা পালিয়ে যান।
নরসিংদীতে হামলা
নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনে বিএনপির প্রার্থী আবদুল মঈন খানের নির্বাচনী প্রচারে হামলা হয়েছে। গতকাল বিকেলে মাধবদী থানার আমদিয়া ইউনিয়নের বেলাব নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। পলাশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, মঈন খান চরনগরদীতে দলের কার্যালয়ে মতবিনিময় শেষে আমদিয়া ইউনিয়নে গণসংযোগ করতে গেলে বেলাব বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছাও মিয়ার নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩০–৪০ জন নেতা–কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে গাড়িবহরে হামলা চালান। এ সময় বহরে থাকা ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও ৪টি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন ভূঁইয়াসহ ১০ জন নেতা–কর্মী এ সময় আহত হন।
এ বিষয়ে ছাও মিয়ার বক্তব্য নিতে ফোন করলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ ইবনে রহিদ প্রথম আলোকে বলেন, এই অভিযোগ সত্য নয়।
আরও হামলা
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারের জের ধরে রাঙ্গামাটি গ্রামের এলাঙ্গী ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী মুরাদ হোসেনের বাড়িতে সোমবার রাতে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় বিএনপির প্রার্থী জি এম সিরাজের গাড়িবহরও হামলার শিকার হয়েছে। বহরের তিনটি গাড়ি, ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে।
আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা এ হামলা করেন বলে বিএনপি অভিযোগ করেছে। তবে আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, বিক্ষুব্ধ জনগণ এসব ঘটনা ঘটিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। সোমবার রাত ৯টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে বহরে থাকা দুটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর, দুজন চালকসহ অন্তত আটজন আহত হন।
এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার নাম উল্লেখ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন শরীফুজ্জামান। এদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দারও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাল্টা অভিযোগ করেন।
গতকাল ময়মনসিংহের ফুলপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় দলের অন্তত ৩০ জন আহত হন।
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে চারটায় উপজেলার খালগোড়া বাজারে সভা করা নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় দলের শতাধিক নেতা–কর্মী–সমর্থক আহত হন।
পটুয়াখালী–১ আসনের দুমকিতে পুলিশের লাঠিপেটায় বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা পণ্ড হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবশ্য দুমকি থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, লাঠিপেটার কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
আরও অভিযোগ
মেহেরপুরের গাংনী পৌর শহরে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা–ভাঙচুর ও মাইক কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে বিএনপি। রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে বিএনপির প্রার্থীর পোস্টার টাঙানো ও ক্যাম্প স্থাপনে বাধা এবং ফৌজদারি মামলা ছাড়াই গ্রেপ্তার, মারধর ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির প্রার্থী আবু হেনা সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে আওয়ামী লীগ। আর পুলিশ বলেছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় টাঙানো ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে হেলমেটধারী দুর্বৃত্তরা। তারা ছিঁড়ে ফেলা পোস্টার পুড়িয়ে ফেলে। যশোর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলামের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব দেলোয়ার হোসেন এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। সিরাজগঞ্জে নির্বাচনী মিছিলকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রাজশাহী সদর আসনে বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনুর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এই অভিযোগ করেন। একই দিনে রাজশাহী-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ফেস্টুন কেটে ফেলার অভিযোগ করেছেন।
ঝিনাইদহের শৈলকুপার শেখপাড়া বাজারে গতকাল সন্ধ্যায় ধানের শীষের প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদের গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। তবে তিনি অক্ষত রয়েছেন।
সাতক্ষীরার সদর আসনের কয়েকটি এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ করা হয়েছে। যশোরের কেশবপুরে বিএনপির প্রার্থীর প্রচার মাইকের ব্যাটারি ছিনতাই করা হয়েছে।
নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে বিএনপির আবদুল আজিজের কর্মী-সমর্থকদের মারধর, পোস্টার ছেঁড়াসহ নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
নাটোর সদর ও সিংড়া উপজেলার কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলায় বিএনপি নেতা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ছাড়া ফরিদপুরের ভাঙ্গা, মাগুরার শালিখা উপজেলার শিংড়া বাজারে এবং কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া এলাকায় হামলা–ভাঙচুরের পাল্টাপাল্টি ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা]
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
iqbaljillulmajid
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
প্রচারের শুরুর দিন আমরা যা অবলোকন করলাম তাতে জনমনে শংঙ্কা ঘনিভূত হয়। সাধারন জনগন নির্বিঘ্নে তার ভোট প্রয়োগ করতে চায়। এবার ১০ কোটির উপরে ভোটার। নারী-পুরুষ এবং বিশেষ করে তরুন ভোটার তার ভোট যদি না প্রয়োগ করতে পারে তবে এদের মনে মানসিক ভাবে দাগ কাটতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
কর্ণেল অলির কথাই সঠিক হচ্ছে - ইসির নির্লিপ্ততায় দেশে রক্তারক্তি হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
ইসি পদত্যাগ করলেই ভাল প্রতিবাদ হত!!!!!!!!!!!!!!!!!!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
ফরিদপুর এবং নোয়াখালীতে ২ জন আওয়ামীগ কর্মী নিহত হলেও প্রথম আলো হেড লাইনে বড় করে ছবি দিয়েছে-বগুড়ায় বিএনপি নেতার বাড়ীতে আগুনের এবং মির্জা ফখরুলের গাড়িতে ভাংচুরের ছবি। ২টি জীবনের চেয়ে ফখরুলের গাড়ি আর বিএনপি নেতার বাড়ী প্রথম আলোর কাছে বেশী গুরুত্বপূর্ণ।