প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা পুনরায় দেশসেবার সুযোগ এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তাঁর নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। আজ বুধবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট চাই।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে আবার এ দেশ ক্ষুধার্ত হবে, অশিক্ষিত হবে, মানুষের ভাগ্যবিপর্যয় ঘটবে। মানুষের ভাগ্য নিয়ে যেন আর তারা ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সে জন্য নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জনগণের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।’
বার্তা সংস্থা বাসসের খবরে বলা হয়েছে, শেখ লুৎফর রহমান ডিগ্রি কলেজমাঠে আয়োজিত বিশাল জনসভায় শেখ হাসিনা আসন্ন সংসদ নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধী, জাতির পিতার খুনি এবং অগ্নি–সন্ত্রাসকারীদের নির্বাচনী জোটের বিরুদ্ধে নৌকাকে বিজয়ী করে তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমি নৌকা মার্কায় যাকেই, যেখানে প্রার্থী করেছি, তাদের সবাইকে ভোট দেওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে যারা ওই মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, যাদের সাজা হয়েছে, তাদের দোসরকে নির্বাচনে প্রার্থী করেছে। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী, স্বাধীনতার শত্রু, গণহত্যা পরিচালনাকারী, অগ্নি–সন্ত্রাসকারী; তাদের নিয়ে আজকে নির্বাচনের মাঠে নেমেছে, তাদের উপযুক্ত জবাব আপনাদের দিতে হবে, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট চাই। জনগণের সেবা করতে চাই। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, জাতির পিতার স্বপ্ন আমি পূরণ করতে চাই।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী আজ দুপুরে টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে তাঁর এবং দলের নির্বাচনী প্রচারাভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন। কোটালীপাড়ায় অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার প্রথম নির্বাচনী জনসভায় শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকারের প্রতিটি কাজই জনকল্যাণের জন্য নিবেদিত। আর একটি শিক্ষিত জাতি পারে একটি দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে। সে জন্য শিক্ষাকে তাঁর সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। সেই সঙ্গে সরকার দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছে। ব্যক্তিজীবনে চাওয়া–পাওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন এবং তাদের উন্নত জীবন দেওয়াই তাঁর রাজনীতির লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নৌকা মার্কায় ভোট চাই। কাজেই সেই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আর একটিবার দেশসেবার সুযোগ করে দেবেন।’ বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, ‘নিঃস্ব আমি, রিক্ত আমি, দেবার কিছু নাই, আছে কেবল ভালোবাসা, দিয়ে গেলাম তাই।’
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুভাষ জয়ধরের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বি এম মোজাম্মেল হক প্রমুখ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা রিয়াজ ও ফেরদৌস।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
দফায় দফায় তেল, বিদ্যুত, গ্যাস, পানির বিল বৃদ্ধি। হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি, লাগামহীন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এ গুলো কি জনগণের সেবার অংশ?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
Usually, GPD is the indicator of overall development. Bangladesh is doing extremely well compared to many developed country. Stay happy.
Auyan
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
আওয়ামী লীগের বেশ কিছু লেকিং আছে মেনে নিচ্ছি, কিন্তু, এতসব বৃদ্ধির সাথে সরকারি সেবাও তো বেড়েছে- ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছেছে, প্রতিটা বাচ্চা নতুন বই পাচ্ছে, জঙ্গি-মাদক দমন হচ্ছে, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু হচ্ছে, ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ, চট্টগ্রামের পথ চারলেন হয়েছে, গ্রামে-গ্রামে পাকা রোড, প্রাইমারী স্কুল হয়েছে, ১২ লাখের উপর বিদেশী নাগরিক মানে রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া হচ্ছে, করাপশনে এখন আর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন না, 4G হয়েছে- সবার উপর মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে- এগুলো সবকিছুই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনা আর উনার টিমের দূরদর্শী নীতিমালার কারণে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
সাথে ব্যাংক ডিজিটাল ডাকাতি আর সোনা কে তামা বানানোর জটিল পদ্ধতি।
mohammad rahman
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
আমেরিকার জিডিপি ৩.৫% বাংলাদেশের জিডিপি ৭% । বাংলাদেশের মানুষ আমেরিকার মানুষের চেয়ে হ্যাপি
Redwan Katnar Para
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
আওয়ামী লীগের সেবা পেয়ে জনগন অস্থির, এবার জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে দেশটাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
উন্নয়নের মার্কা নৌকা নৌকা
Jamshed Patwari
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
গত ১০ বছরে এদেশের জনগণ আপনাদের সেবা প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণে উপলব্ধি করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
'সেবা' বহুত করছেন, এইবার বিদায় হয়ে দেশবাসীকে মুক্তি দেন
Mr.RupoM.
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
দেশের জনগন নৌকায় ভোট দিয়ে বিএনপি জামাতকে এবার চিরতরে বিদায় দিবে, অপেক্ষায় থাকুন।
tanvir ahmed
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
একবার ঠান্ডা মাথায় ভাবুন, শেখ হাসিনার বিকল্প হিসাবে কাকে বেচে নিচ্ছেন?? যদি মনে করেন, যাকে বেচে নিচ্ছেন তিনি শেখ হাসিনার চেয়ে যোগ্য, তাহলে কিছুই বলার নেই, আর যদি যোগ্য না মনে করেন, তবে দেশের কথা চিন্তা করে নেতা চয়েজ করুন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
Fakhrul Islam is the best politician in Bangladesh.
mohammad rahman
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
কেউ কারাে বিকলপ নিয়ে গণতন্ত্র ভাবে না ! গণতন্ত্র ভাবে জন গনের কাছে জবাবদিহীতা ! এই জবানদিহীতা যদি না থাকে জন গনের টাকা দিয়ে ব্যাংকের টাকা পুরন করে দিবে রাজনীতিবিদরা জন গনের কাছে তারা জবাব দিবে না ! শুদধ গণতন্ত্রে দেশের রাজনৈতিক দল গুলোকে ফেলায় দেন জন গনের ভয়ে সবাই ভাল হয়ে যাবে ! তখন বিকলপ নিয়ে এত মাথা ঘামাতে হবে না
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
উন্নয়নের মার্কা নৌকা নৌকা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, ‘নিঃস্ব আমি, রিক্ত আমি, দেবার কিছু নাই, আছে কেবল ভালোবাসা, দিয়ে গেলাম তাই।’ inn sha allah. We love you PM.
Mohd Rabiul Alam Rabi
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব সেই পরিবেশটা সৃষ্টি করুন তারপর না হয় ভেবে দেখব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
ব্যাংকের লুট হয়ে যাওয়া টাকা, শেয়ারের ধ্বসে যাওয়া সূচক, রিজার্ভের ডলার, ভল্টের সোনা, খনির কয়লা, ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্ন, চুরি হয়ে যাওয়া ভোট ফেরত দেন আগে তাপ্পর ভেবে দেখা হবে
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা না বাড়িয়ে অবসরের বয়সসীমা ২ বছর বাড়ানোটা আওয়ামী লীগ সরকারের একটা বড় ধরনের ব্যর্থতা। শুধুমাত্র এই একটা কারণে আওয়ামী লীগ সরকার তরুণ প্রজন্মের একটা বড় অংশের ভোট হারাবে এবার।
Mir Md Mofazzal Hossain
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
যে প্রতীক দিয়ে পেয়েছি মোরা স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার, সমৃদ্ধির প্রতীক 'নৌকা'র জন্য জীবন বাজি এটাই হোক বিজয়ের মাসের অঙ্গীকার!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
আপনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির কার্যকারিতা কোথায় !
Mr.RupoM.
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
আমরা আবার আপনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই তাই অবশ্যই নৌকা মার্কায় ভোট দিব। তেমনি সারা দেশেও নৌকার বিজয় নিশ্চিত হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
No more . Take a retirement. You did a lot. You need a rest. Let come the other one than you.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
Cool arresting service all over the country!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
আমি প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা কর দিয়। বিনিময়ে বাসে বাদর ঝুলা, বাড়িতে গেলে মশার কামড়, ২০০৮ সালে বিদুৎ বিল দিতাম ৩০০ মত গড়ে এখন দিয় ৩৫০০ গড়ে ব্যাবহার আগের তুলনায় কমছে, লাগামহীন চোর দের কারনে বাজারে অস্তিরতা। আমি আওামিলীগ করি বলে আশা ছিল চোরদের আপনি ছাড় দিবেন না, কিন্তু হাজার হাজার কোটি টাকা চোরদের ব্যাপারে আপনারা কোন কারনে খুব উদাসীন। খালেদার যেমন বিচার হয়ছে তেমন যদি সবার বিচার হত তবে আপনাকে রোল মড়েল মানতাম। কিন্ত তা আপনি করেননি। হাইব্রিড় আওামীলীগ যাদের কারনে দলের বারোটা বাজতে ছে তাদের ব্যাপারে ও আপনি উদাসীন।।।
mr humayun kabir
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
enough.pls resign.we want take our breath freely.
Azizul Hoque
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
Respected PM, Thanks for development of road, flyover and some other infra structures. But we, the citizen of the country want you to take a break for next five years. We want change !
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
লিমনঃ জি এক পা হারাইসি। আবার আসলে আরেক পা হারাবো
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
ভোট না চাওয়ায় তো ভাল, আর না দেয়া। রাজার নৌকা এমনিতেই ভালো চলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
আর কতো সুযোগ চান আর নয় এবার আপনি সরেন অন্যকে সুযোগ দিয় দেখি সে কি করে
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
আওয়ামী লীগের সেবা পেয়ে জনগন অস্থির, এবার জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে দেশটাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেন।
Jalal Ahmed
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
মাপ করা যায় না!
mohammad rahman
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
টুংগি পাড়ায় প্রচারনাতে রিয়াজ ফেরদৌসকে লাগল !!!!!!!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
We support you.no problem.Boat will be winner.
Azizul Hoque
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
কারও কোনো উসকানিতে পা দেওয়া যাবে না। বিএনপির কোনো বন্দুক-পিস্তল অস্ত্র নেই, শুধু রয়েছে ভোটের দিনে একটি ব্যালট পেপার। এই ভোটই অস্ত্র। যা দিয়ে সরকার পরিবর্তন করা যেতে পারে। তাই পরিবর্তনের জন্য আগামী ৩০ তারিখে নির্বাচনের দিন ধানের শীষে ভোট দিন ।