১২ প্রার্থীর প্রচারে হামলা

প্রথম আলো ডেস্ক ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

ঢাকা-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাসের নির্বাচনী প্রচারণার সময় তাঁর নেতা–কর্মীদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। গতকাল সেগুনবাগিচা এলাকায়।  ছবি: সংগৃহীত

  • অন্তত ১৯ জেলায় হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা
  • দুই পক্ষের প্রায় ১৫০ নেতা-কর্মী আহত
  • প্রচার শুরুর পর থেকেই হামলা–সংঘর্ষ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণাকে ঘিরে বিএনপিসহ বিরোধী জোটের প্রার্থীদের ওপর হামলা বেড়েছে। গত শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা দেশে অন্তত ১২ প্রার্থীর ওপর সরকারদলীয় নেতা-কর্মী বা সমর্থকদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই সময়ে অন্তত ১৯ জেলায় হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ১৫০ নেতা-কর্মী।

আহত বা অবরুদ্ধ প্রার্থীদের মধ্যে আছেন নোয়াখালী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মানিকগঞ্জ-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক সাংসদ এস এম আবদুল মান্নান, মানিকগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী এস এ জিন্নাহ কবীর, ঢাকা-৮ আসনে সেগুনবাগিচায় বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাস, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ, যশোর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম, চাঁদপুর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী জালাল উদ্দীন, ঢাকা-৬ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, ঝালকাঠি-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী জীবা আমিনা খান, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী রুমানা মাহমুদ, কক্সবাজার-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হাসিনা আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী মুসলিম উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।

১০ ডিসেম্বর নির্বাচনের প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বাধা, হামলা, সংঘর্ষের ঘটনা শুরু হয়। এর মধ্যে প্রথম দিনই অন্তত পাঁচটি স্থানে বাধার খবর এসেছে। দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার ১৮, বুধবার ১৭, বৃহস্পতিবার ২৩ এবং শুক্রবার ৮ জেলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন মামলা করা হচ্ছে। নতুন ও পুরোনো মামলায় গতকাল শনিবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও অন্তত ৭৫ জনকে।

এই পরিস্থিতিতে সরকারি দল আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বিএনপি সংঘাত-সহিংসতার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে। বিএনপির নেতারা গতকাল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ করেছেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র কর্মীরা বিএনপির প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় আক্রমণ চালানো হচ্ছে। তাঁরা এসব আক্রমণ বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান ইসির কাছে।

তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা গতকালই নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত হয়েছে। তাঁর মতে, প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারছেন, প্রচারণায় বাধা নেই।

অবশ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জন্য ঐক্যফ্রন্টকে দায়ী করেছেন। ফেনীতে গতকাল তিনি বলেন, জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কোথাও কোথাও নিজেদের ওপর নিজেরা হামলা করে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপাচ্ছে তারা।

সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে প্রথম আলোনিজস্ব প্রতিবেদকপ্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:

মাহবুব উদ্দিন খোকন গুলিবিদ্ধ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী বাজারে গতকাল বিকেলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে বিএনপির প্রার্থী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী ইকবাল হোসেন (৩৫) ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন। তাঁদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের আরও অন্তত ১৫ জন। সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়, সোনাইমুড়ী বাইপাসের ১০টি পরিবহনের কাউন্টার ও চার-পাঁচটি দোকান, একটি কোম্পানির শোরুম এবং চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষের সময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম হামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন।

অলি আহমদের ছেলে হাসপাতালে

বাবার পক্ষে প্রচার চালানোর সময় হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন অলি আহমদের ছেলে ওমর ফারুক। গতকাল বেলা দুইটার দিকে সাতকানিয়ার কেঁওয়াচিয়া ইউনিয়নের তেমুহনী এলাকায় গণসংযোগের সময় তিনি হামলার শিকার হন। এ হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছে এলডিপি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে আওয়ামী লীগ

অলি আহমদ চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে ২০-দলীয় জোটের প্রার্থী। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী। হামলায় ওমর ফারুকের দুটি হাতের হাড় ভেঙে গেছে। মাথায়ও আঘাত রয়েছে। তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অলি আহমদের ছোট ছেলে ওমর শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রচার চালানোর সময় অতর্কিত সশস্ত্র হামলা করা হয়েছে। আমার বড় ভাই হাত দিয়ে আটকানোর সময় আঘাত পেয়েছেন।’ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ছালেহ বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ওই হামলার সঙ্গে জড়িত নন।

প্রার্থীর স্ত্রী ও শ্যালিকা আটক

এদিকে ঢাকা-১৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী আহসান উল্লাহ হাসানের নারী কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি পণ্ড করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। পরে আহসান উল্লাহর স্ত্রী রিনা হাসান, তাঁর শ্যালিকা ও এক কর্মীকে আটক করে পল্লবী থানা-পুলিশ। গতকাল বিকেলে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের ডি ব্লকের ১৬ নম্বর সড়কে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এর অদূরে এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহর একটা নির্বাচনী কার্যালয় আছে। বিএনপির নেতা-কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিকেলে রিনা হাসানের নেতৃত্বে শতাধিক নারী প্রচারপত্র বিতরণ করছিলেন। এ সময় তাঁদের ওপর হামলা চালানো হলে তাঁরা আশপাশের বাড়িঘরে আশ্রয় নেন। বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

জাপা প্রার্থীর গাড়িবহরে হামলা

মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও জেলা সদরের আংশিক) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক সাংসদ এস এম আবদুল মান্নানের গাড়িবহরে গতকাল দুপুরে হরিরামপুরের কাণ্ঠাপাড়ায় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা ও ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যুবলীগের তরফে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দল বা বিএনপির লোকজন এ হামলা করতে পারে। এ ছাড়া সন্ধ্যায় দৌলতপুরে মানিকগঞ্জ-১ আসনে (শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর) বিএনপির প্রার্থী এস এ জিন্নাহ কবীরের গাড়িবহরে হামলার খবর জানা গেছে।

আড়াইহাজারে আহত ১৫

নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদের গাড়িবহরে হামলা ও মোটরসাইকেলসহ ১০টি গাড়ি ভাঙচুর এবং ১৫ জন আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সন্ধ্যায় উপজেলার মানিকপুর বাজারে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ নজরুল ইসলামের সমর্থকেরা এ হামলা চালান বলে অভিযোগ করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তবে সাংসদ নজরুল ইসলাম বলেন, আজাদ ও তাঁর লোকজন নিজেরা গাড়ি ভাঙচুর করে আলোচনায় আসতে চান। তাঁদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই এই ঘটনা ঘটছে।

যশোরে বোমা হামলা

যশোর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলামের পথসভা ও গণসংযোগের পাশে দুই জায়গায় বোমা হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সকালে যশোর শহরের ধর্মতলা-কদমতলা মোড় ও বিকেলে বারান্দিপাড়া এলাকায় এসব হামলা চালানো হয়। যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি অপূর্ব হাসান বলেন, বিএনপির লোকজন নিজেরাই বোমা ফাটাচ্ছে।

বাউফলে মারপিট

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ও কাছিপাড়া—এ দুই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিসহ ১২ কর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী (৫০) ও কাছিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আফজাল বয়াতীকে (৫০) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থকেরা এসব হামলা চালান বলে অভিযোগ করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তবে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

অন্যান্য স্থানে হামলা, সংঘর্ষ

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী হাসিনা আহমেদের গণসংযোগে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) আসনের বিএনপির প্রার্থী জালাল উদ্দীনের গাড়িবহরে গতকাল দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলার লুধুয়া এলাকায় হামলা ও বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জালাল উদ্দীনসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।

ঝালকাঠির নলছিটিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় উঠান বৈঠক শেষে ফেরার পথে ঝালকাঠি-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী জীবা আমিনা খানের গাড়িবহরে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত হন ১০ নেতা-কর্মী।

সিরাজগঞ্জে বিএনপির প্রার্থী রুমানা মাহমুদ নিজের বাসা থেকে মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পথে ইবি রোড মোড়ে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে তিনিসহ ২০ নেতা-কর্মী আহত হন। ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের চার সদস্যও আহত হন।

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগ ও বিকল্পধারার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ১০-১২ জন কর্মী–সমর্থক আহত হয়েছেন। পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাপার সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) আশরাফুর রহমানের সমর্থকদের সংঘর্ষে আটজন আহত হয়েছেন। ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আকবর হোসেনের নির্বাচনী পোস্টার ছিনিয়ে নিয়ে প্রচার মাইক ভাঙচুর এবং পাঁচ কর্মীকে মারধর করেছে দুর্বৃত্তরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে বিএনপির প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার গাড়ি ভাঙচুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনে বিএনপির প্রার্থী মুসলিম উদ্দিন ভূঁইয়ার কর্মিসভায় হামলা ও নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা সদর ইউনিয়নের হেমগঞ্জ ও জামতলা বাজারে বিএনপির দুটি নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাতে।

ঢাকা-৬ আসনের হাটখোলায় গণসংযোগ চলাকালে গতকাল সন্ধ্যায় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীর ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ঐক্যফ্রন্টের পাঁচজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

ঢাকা-৮ আসনে সেগুনবাগিচায় বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাসের গণসংযোগে হামলা চালানো হয়েছে। এতে বিএনপির ৬০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন মির্জা আব্বাস।

এ ছাড়া কুমিল্লা, ভোলা ও কুষ্টিয়ায় হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছেন।

মন্তব্য

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

    পুলিশের এই ভুমিকা জনগনের কাছে পুলিশের ভাবমুর্তি যে টুকু ছিল তা নষ্ট হবে। এখনই সময় পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার।

সব মন্তব্য