আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় জয়ের আশা দেখছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলটি এবারই প্রথম ২৯৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এসব আসনে জোরালো প্রচার-প্রচারণায়ও আছেন দলের প্রার্থীরা। বিশেষ করে, বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনের প্রায় সব কটিতেই প্রচার-প্রচারণায় সরব তাঁরা।
দলটির নেতারা বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাঁরা বিকল্প শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবেন।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয় ইসলামী আন্দোলন। পরে খুলনা ও গাজীপুর নির্বাচনেও দলের মেয়র প্রার্থী ছিল। চার সিটিতেই তৃতীয় অবস্থানে ছিল তাদের প্রার্থী। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে ১৮ হাজার, দক্ষিণে ১৫ হাজার, খুলনায় ১৪ হাজার ও গাজীপুরে ২৬ হাজার ভোট পান দলটির প্রার্থীরা।
১৯৮৭ সালে বরিশালের চরমোনাই পীর প্রয়াত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এর আমির তাঁর ছেলে মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ইসলামী আন্দোলন সাত দল মিলে ইসলামী ঐক্যজোটের অধীনে নির্বাচন করে। দুইবারই দলটির দুজন প্রতিনিধি সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০১-এর নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন জোট বাঁধে এরশাদের সঙ্গে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জোট থেকে বের হয়ে এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়।
নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, সারা দেশে ইসলামী আন্দোলনের ভোটব্যাংক আছে। কিন্তু চরমোনাই পীর বরিশালের মানুষ হওয়ায় এই বিভাগে দলটির প্রভাব বেশি। এই বিভাগের ২১টি আসনেই জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন এর প্রার্থীরা। বিশেষ করে, বরিশাল সদর, ৩, ৪ ও ৬ আসনে দলটির প্রার্থীরা শক্ত অবস্থানে আছেন। এ ছাড়া ঝালকাঠি-১ ও ২, পিরোজপুর-২, বরগুনা-১ ও ২ এবং ভোলা ১ ও ৪ আসনে দলটি ভালো করবে বলে মনে করছেন নেতা–কর্মীরা। এর মধ্যে বরগুনা-২ আসনে ১৯৯৬ সালে দলের প্রার্থী হুমায়ুন কবির (হিরু) সাংসদ হয়েছিলেন। এবারও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন। বরগুনা-১ আসনে ১৯৯১, ১৯৯৬ সালে দলটির প্রার্থী প্রয়াত মাওলানা আবদুর রশিদ ২৭ হাজারের মতো ভোট পেয়েছিলেন। এবার এই আসনে তাঁর ছেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জানা যায়, ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ ( সদর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ও চরমোনাই পীরের ছেলে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম। সেবার তিনি ২৭ হাজার ১৫৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন। এবারও তিনি বরিশাল সদর আসনে প্রার্থী হয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঝালকাঠি-২ (সদর) আসনেও। চরমোনাই পীরের ছোট ছেলে মুফতি নুরুল করীম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-মুলাদী) আসনে।
জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের মানুষ এখন দুই দলের বাইরে বিকল্প শক্তি খুঁজছে। আমরা মনে করি, ইসলামী আন্দোলনকে সেই বিকল্প হিসেবে মনে করছে মানুষ। গত সিটি নির্বাচনে ভোটের হিসাব তার প্রমাণ।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ধর্ম–বর্ণ, ধনী-গরিবনির্বিশেষে একটি সাম্যভিত্তিক দেশ গড়তে চাই, যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমাদের দামাল ছেলেরা দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন।’
দলটির এই নেতা আরও বলেন, নির্বাচনী মাঠ সমান নয়। ইসি মাহবুব তালুকদার যেটা বলেছেন, সেটা সত্য। এ জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে দেশবাসী শঙ্কিত। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ইসলামী আন্দোলন অবশ্যই বিকল্প এক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
Shams Shahariar
২১ ডিসেম্বর, ২০১৮
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি প্রয়াত প্রেসিডন্ট পদপ্রার্থী মাওলানা হাফেজ্জী হুজুরের সাগরেদের দল । বংগবন্ধুর ‘আমি বাংগালি ও মুসলমান’ , আওয়ামী লীগ নয়, তাঁরাই বাস্তবায়ন করতে পারবে । তাই আওয়ামী লীগকে ভোট না দিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে ভোট দেয়া ফরজ । বর্তমান আওয়ামী লীগ ভারতীয় লেজুর ও ইসলাম বিদ্বেষী ।
M HASAN FUAD
২১ ডিসেম্বর, ২০১৮
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জন্য শুভ কামনা।
Moazzma H
২১ ডিসেম্বর, ২০১৮
প্রত্যাশা করছি বিএনপিকে পিছে ফেলে 'ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ' রাজনীতির বিকল্প শক্তি হোক ।