মোংলায় একমঞ্চে সব প্রার্থী

প্রতিনিধি, মোংলা, বাগেরহাট ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

নৌকার প্রার্থী হাবিবুন নাহার ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শেখ আবদুল ওয়াদুদের কুশল বিনিময়। গতকাল সুজনের মোংলা উপজেলা কমিটির আয়োজনে প্রার্থীদের জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে। ছবি: প্রথম আলোনির্বাচিত হলে তাঁরা দুর্নীতিমুক্ত, কার্যকর ও জনকল্যাণমূলক শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও দলীয়করণ করবেন না বা প্রশ্রয় দেবেন না। সব কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবেন। সব সময় জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করবেন। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার, প্রতিবন্ধীসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করবেন এবং তাদের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা।

গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় মোংলা বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী সংঘ চত্বরে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মোংলা উপজেলা কমিটির আয়োজনে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে এ অঙ্গীকার করেন তাঁরা।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজনের মোংলা সভাপতি ফ্রান্সিস সুদান হালদার। বক্তব্য দেন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ বেগম হাবিবুন নাহার, ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা আবদুল ওয়াদুদ ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা শাহজালাল সিরাজী। প্রার্থীরা হাত তুলে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা, ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়ন, নির্বাচনে পরাজিত হলে গণ রায় মাথা পেতে নেওয়াসহ ১৫ দফা অঙ্গীকার করেন।

নির্বাচনে জয়ী হলে কী করবেন, সাধারণ ভোটারের এমন প্রশ্নের জবাবে নৌকার প্রার্থী সাংসদ হাবিবুন নাহার বলেন, ‘আমরা আবারও ক্ষমতায় এলে সাধারণ মানুষের প্রয়োজনের সবকিছুই করব।’ ধানের শীষের প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘মোংলা বন্দরকে সচল রেখে আরও অধিকতর উন্নয়ন ও স্থানীয় বেকারদের চাকরির ব্যবস্থা করব।’ আর ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা শাহজালাল সিরাজী ন্যায় ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চেষ্টা করবেন বলে অঙ্গীকার করেন।

সভাপতির বক্তব্যে সুজন সভাপতি ফ্রান্সিস সুদান হালদার বলেন, সরকার অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। নির্বাচনে অন্যায় প্রভাব খাটানো, অন্য দলের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

স্বাগত বক্তব্য দেন দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাসুদুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুজনের মোংলা সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো. নূর আলম শেখ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার হাই, শিক্ষাবিদ সুনীল কুমার বিশ্বাস, অধ্যক্ষ মো. গোলাম সরোয়ার, অধ্যক্ষ আবু সাইদ খান, অধ্যক্ষ রুহুল আমীন, আওয়ামী লীগ নেতা সেখ আবদুস সালাম প্রমুখ।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুন নাহার ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ অনুষ্ঠানে একে অপরের হাত ধরে কুশল বিনিময় করেন।

মন্তব্য

মন্তব্য নেই