বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এবারের নির্বাচন গণতন্ত্রকে বাঁচানোর নির্বাচন। এই নির্বাচনই আমাদের দেশের জন্য, জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচন জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। এই সংসদ নির্বাচনে আগামী পাঁচ বছর এবং তারও পরে আমরা কি একদলীয় শাসনের অধীনে থাকব, নাকি আমরা গণতন্ত্রে থাকব; আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কি অক্ষুণ্ন থাকবে, নাকি আমরা পরাধীন জাতিতে পরিণত হব, তা নির্ধারণ করবে।’
আজ রোববার সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা শহরের দেবদারুতলায় পঞ্চগড়-২ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ফরহাদ হোসেন আজাদের নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম গণতন্ত্রের জন্য। আমরা তো এই অবস্থার জন্য যুদ্ধ করি নাই যে আমাদের কথা বলতে দেওয়া হবে না, মিটিং করতে দেওয়া হবে না, আমাদের মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হবে। মগের মুল্লুক, বাপের জমিদারি?’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ওরা অনেক কলাকৌশল করতেছে, চক্রান্ত করতেছে এই ধানের শীষের উত্তাল তরঙ্গ ঠেকানোর জন্য। ইনশা আল্লাহ ৩০ তারিখে ধানের শীষের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পরাজয় মানতে চায় না, হারতে চায় না। কিন্তু এইবার নৌকাকে ৩০ হাত পানির নিচে ডুবানো হবে। আজকে আওয়ামী লীগ আমাদের গণতন্ত্রবিহীন করতে চায়, ওরা একদলীয় শাসনব্যবস্থা আনতে চায়, এক ব্যক্তির শাসন আনতে চায়। ওরা দীর্ঘকাল ধরে আমাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। বিনা ভোটে ২০১৪ সালে নির্বাচিত হয়েছে। ভোট হয় নাই, নিজেরা ঘোষণা করেছে তারা সরকার। ৫ শতাংশ ভোট পড়ল না আর তারা নির্বাচিত হলো? ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে কুকুর ছাড়া আর কিছুই ছিল না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতবারের অত্যাচার দেখে মানুষ বলে, “আগে জানলে তোর ভাঙা নৌকায় আর উঠতাম না।” ওরা মিথ্যা কথা বলে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করতে পিছপা হয় না। আওয়ামী লীগ ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা বলে এখন চালের কেজি ৪০ টাকা। এখন ৩০০ টাকার সার ১২০০ টাকা।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওরা বলেছিল ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। এখন চাকরির পরিবর্তে ঘরে ঘরে হামলা আর মামলা দিয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সরকার গঠন করলে যুবকদের সবার জন্য চাকরির ব্যবস্থা করব। কলকারখানা করব। যত দিন চাকরির ব্যবস্থা করতে পারব না, বেকারদের বেকার ভাতার ব্যবস্থা করব। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ভাইদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তাদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করা হবে।’
ভোটারদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনাদের একটি ভোট অন্ধকার কারাগারে থাকা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবে, আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে সহযোগিতা করবে। আপনাদের ভোটেই এই দেশে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে।’
দেবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু তোরাব সরকারের সভাপতিত্বে পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসনের বিএনপি–মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ফরহাদ হোসেন আজাদসহ বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
আপনাদের গনতন্ত্রেতো জনসভায় গ্রেনেড হামলা হয়!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
আর বর্তমানে গণতন্ত্রে তো জনসভাই করতে দেয়া হয়না - বালুর ট্রাক, পেপার স্প্রে মারা হয়
Md Arafatul karim
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
মানুষ তো মরে না। শুধু আওয়ামীলীগ এর মানুষ এ মরে৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
এবার যাতে বিরোধীদল ঐ একই কাজ না করতে পারে, সেটা জন্য সভা করতে না দেয়াটাই উচিৎ হয়েছে না ?
Dr.Mizan Siddiqi
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
Change your leadership.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
Yes, this election will decide whether Bangladesh will be again number 1 corrupted country or not, whether there will be electricity, Padma, Metro rail or not ...
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
Hmm
Topu
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
জাতির নয় বিএনপির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
Right
Deepak Eojbalia
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
Militancy will increase if BNP Jamaat come to power. That is future
Deepak Eojbalia
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
Petrol bombers will be active.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
Your election only for khaleda, tareq not for the people.. . Firstly, think for the people.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
AL election is only for AL supporters not for the people
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
BNP election is for khaleda tareq grened bomb.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
#democracy
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
You are right, leader.
Mir Md Mofazzal Hossain
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
গণতন্ত্র কখনোই শৃঙ্খলিত হতে পারেনা!! গণতন্ত্র চিরকালই মুক্ত ও অবারিত আর এটাই গনতন্ত্রের একমাত্র ধর্ম!!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
কোনটা কম ক্ষতিকর, বালুর ট্রাক নাকি জনসভায় গ্রেনেড হামলা?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
এইবার নৌকা ৩০ হাত পানির নিচে ডুবানো হবে। বাহ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
রাজাকার জোট তো ৭০হাত নীচে ডুববে।
abir
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮
এ নির্বাচন জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে: ফখরুল জিতলে বলবেন 'জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করেছে' আর হারলে , 'ভোটে কারচুপি হয়েছে' !
Jamshed Patwari
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
কারচুপির জন্য সবকিছু তৈরী। কারচুপি যে হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
@ abir ভোট কারচুপি হলেতো সবাই তা দেখবে, যেমন, কেন্দ্র থেকে বিরুদি এজেন্টদের বের করে দেয়া। বাক্স ভুয়া ব্যালটে ভরে ফেলা। কেন্দ্রে ভোটারদের আসতে না দেওয়া, পুলিশের ভূমিকা ইত্যাদি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
The price of rice in 2001 was 15 Tk/ Kilo and in 2005, it was 35 TK/Kilo (more than double) and in 2018, it is 40 Tk/Kilo (only 5 Tk increased after 12 years). Now see the difference between AL and BNP.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।এই নির্বাচনেই নির্ধারিত হবে এ দেশের ভবিষ্যৎ।বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে,না পিছিয়ে পড়বে,তা নির্ধারণ করবে আগামী নির্বাচন।দেশের মানুষ যদি ভুল না করে তাহলে দেশ সঠিক পথেই এগোবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
We want a 3rd party for our future. No Al and No BNP
Sengupta
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
এ নির্বাচন জাতির নয়, বিএনপি, জামায়াত,ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
স্যার আপনি কোন সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন একটু বলবেন কি?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
মির্জা ফখরুল অনেক গঠনমূলক কথা বলেছেন। দিনবদলের স্লোগান দিয়ে নৌকা স্লোগান ভুলে গেছে। তরুণদের নিরাপত্তা আজ হুমকির মুখে। তাই এ নির্বাচন সত্যিই জাতির ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
জাতির না, বলুন তারেক ও খালেদার ভাগ্য নির্ধারণ হবে।
সাঈদ, মুক্তিযোদ্ধা
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
হ্যাঁ, সত্য কথা। এতদিনে এই সত্যটা প্রকাশ করেছেন। আপনাদের অতীত দেখেছি এবং আপনারা তার চেয়ে ভাল কিছু দিতে পারবেন না। আর ক্ষমতাসীন সরকার জাতিকে কি দিয়েছে তা জাতি এবং বিশ্ব অবলোকন করছে। এই সরকারের আমলেই জাতি বিশ্বের বুকে "উন্নয়নের রোল মডেল" হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রেসিডেন্ট ওবামা বিদেশে গিয়ে উপদেশ দেন, "যদি অর্থনৈতিক উন্নতি করতে চাও তবে বাংলাদেশকে অনুসরন কর" এটা কি আপনাদের সময়ে ছিল? সুতরাং...?
Habibur Rahman
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
আমরা ভাতা চাই না! চাই সরকারি চাকুরিতে ঢোকার জন্য কোটার সংস্কার আর চাকরি পরীক্ষায় অংশগ্রহন ব্যাংক জবের মত ফ্রি করা হোক!
ahmed Mozaffar
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
নতুন আশায় বুক বাঁধলাম।
Al-Hamar
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ওরা অনেক কলাকৌশল করতেছে, চক্রান্ত করতেছে এই ধানের শীষের উত্তাল তরঙ্গ ঠেকানোর জন্য।
Mokammal Hossain
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
ধন্যবাদ, বুঝতে পারলাম এদেশে গণতন্ত্রের নাম খালেদা ও তারেক রহমানের মুক্তি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
এই নিবাচনে বি এন পিকে ভোট দিলে জাতি কি পাবে তাসকলে জানে,তবে তারেক পাবে সব কিছু, জাতি পাবে আনডা।
Parvez
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
জাতির নয় আপনার আর আপনার নেতার ভবিষ্যত নির্ধারন করবে।
Mahbubur Rahman
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
সাঈদ সাহেব কোন সমস্যা ? অজানা আতঙ্ক ?
MHossain
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
গনতন্তের প্রথম শর্ত হচ্ছে জনসভায় গ্রেনেড হামলা করা, আর তা না করলে গনতন্ত রক্ষা করা কঠিন।
মহম্মদ সালাউদ্দিন
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
এইটা হল লন্ডন থেকে লাটাই ঘোরানো গণতন্ত্র।