নৌকায় সমর্থন দিল মান্নান ভূঁইয়া পরিষদ

প্রতিনিধি, নরসিংদী ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

শিবপুরের চক্রধা গ্রামে গতকাল দুপুরে আবদুল মান্নান ভূঁইয়া পরিষদের নেতাদের নৌকার ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়।  ছবি: প্রথম আলোএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েক দিন আগে নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছে স্থানীয় আবদুল মান্নান ভূঁইয়া পরিষদ। গতকাল রোববার দুপুরে শিবপুরের চক্রধা গ্রামে পরিষদের নেতা-কর্মীরা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে সমর্থনের এই ঘোষণা দেন।

পরিষদের আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন খান ও সদস্যসচিব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ উল ইসলাম মৃধার হাতে ফুলের নৌকা তুলে দেন নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চক্রধা ইউপির চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ খান, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হকসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা পরিষদের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী।

শিবপুর উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন পরিষদ ও একটি পৌরসভা নিয়ে নরসিংদী-৩ নির্বাচনী এলাকা। আসনটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৩২ জন। এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল হক ভূঁইয়া, ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মনজুর এলাহী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সাংসদ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। এই আসনের ভোটের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসেবে কাজ করে এই পরিষদ।

এই আসনে চারবারের সাংসদ ছিলেন বিএনপির সাবেক মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া। ২০০৭ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর সংস্কারপন্থী হওয়ায় তাঁকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে তিনি নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জহিরুল হক ভূঁইয়ার কাছে হেরে যান। ২০১০ সালে আবদুল মান্নান ভূঁইয়া মারা যান। এরপর তাঁর অনুসারীরা গঠন করেন আবদুল মান্নান ভূঁইয়া পরিষদ। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই আসনের বর্তমান সাংসদ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবদুল মান্নান ভূঁইয়া পরিষদের সমর্থন পেয়েছিলেন। সে সময় তাঁর বিজয়ে প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল ওই পরিষদের। মান্নান ভূঁইয়ার মৃত্যুর আট বছর পরও পরিষদের মাধ্যমে সেই প্রভাব ধরে রেখেছেন তাঁর অনুসারীরা।

স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া পরিষদ এখন আর প্রথম দিকের মতো এতটা ঐক্যবদ্ধ অবস্থায় নেই। তবু মান্নান ভূঁইয়ার সমর্থকদের একটি বড় অংশ এখনো পরিষদের সঙ্গে যুক্ত আছে। তারা যে দলকে সমর্থন দেবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই আসনের নির্বাচনে জয়ী হওয়া তাদের জন্য সহজ হবে। এ ক্ষেত্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল হক ভূঁইয়া এগিয়ে গেলেন।

পরিষদের সদস্যসচিব আরিফ উল ইসলাম মৃধা বলেন, ‘আমাদের নেতা প্রয়াত আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি থাকা সত্ত্বেও বিএনপি এখন পর্যন্ত তা প্রত্যাহার করেনি। তাই এবারের নির্বাচনে দেশের উন্নয়ন ও শান্তির স্বার্থে আমাদের নেতা-কর্মীদের নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রতি সমর্থন দিয়েছি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষেই সব সময় থাকতে চাই।’

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আবদুল মান্নান ভূঁইয়া পরিষদ শিবপুরের রাজনীতিতে সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় শামিল থাকতে তারা নৌকা প্রতীককে সমর্থন জানিয়েছে, এতে আমরা খুবই আনন্দিত। এর ইতিবাচক প্রভাব নৌকার বিজয়ে থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’   

মন্তব্য

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

    How much?

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

    Welcome,আওয়ামীলীগের দরজা সবা জন্য খোলা শুধু স্বাধীনতা বিরোধীরা ছাড়া ।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

    Welcome brothers!

  • image

    Azizul Hoque

    ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

    মান্নান ভূঁইয়াকে বহিস্কার করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া স্বয়ং।জীবিত থাকা কালীন মান্নান ভূঁইয়া আওয়ামী লীগে যোগ দেন নাই বা আওয়ামী লীগের স্বার্থে কাজ করেন নাই । নিজে যেটা করেন নাই, মারা যাওয়ার পর কিছু লোক তাকে দিয়ে (তার নাম, সম্মান ও স্মৃতি জড়িত করে) সেই বদনামী কাজ করাচ্ছে।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

    আগে আগে দেখো, বিএনপির আরো নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিবে

  • image

    দাউদ দস্তগীর

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    এরা ভন্ড

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    আজকে মান্নান ভূইয়া পরিষদ কে ত্যাগ করলাম।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    আমি মান্নান ভুইয়ার ফ্যামিলিকে চিনতাম। অন্তত স্বজ্জন আর বিদ্বান। উনি নিজে কখনো বিএনপি ছাড়ে নাই বা ভাংতে চায় নাই। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চাপ সামলাতে পারে নাই। যেই চাপের জন্যই হয়তো তাড়াতাড়ি মারা গেলেন। হয়তো এখন থাকলে বিএনপিতে ফেরত আসতেন। আর এরা হচ্ছে সুবিধাভোগী দালাল। উনার নীতি ফেলে দিয়েছে।

  • image

    mahmood

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    thats why Mannan Bhuiya was terminated from BNP

সব মন্তব্য