লাল রঙের ফটক পেরোলে তিন তলা সাদা রঙের দালান। বাড়ির উঠানে নানা রকমের গাছ। বাড়ির দেয়ালে ঝুলছে ছবি। গাছে ঝুলছে পোস্টার। এ দৃশ্যই জানান দিচ্ছে, এ বাড়ির ছেলে মাহী বি চৌধুরী সংসদ নির্বাচন করছেন। তাঁর প্রতীক হচ্ছে নৌকা।
মাহীর পক্ষে প্রচারের কাজে নেমেছেন তাঁর স্ত্রী আশফাহ হক, মেয়ে শেরেজাদ বি চৌধুরী এবং ছেলে আরাসতালিশ বি চৌধুরী। তিনজনই যুক্তরাষ্ট্র থেকে গত জুন মাসে দেশে আসেন। মাহী নির্বাচন করবেন তাই আর দেশ ছাড়েননি তাঁরা।
আশফাহ হক বললেন, ‘মেয়ে ওর বাবার জন্য জানপ্রাণ দিয়ে খাটছে। ছেলে আরাসতালিশও তাঁর বাবার নির্বাচনের কাজে সহযোগিতা করছে।’ দুই ভাই-বোন মিলে দলের ইশতেহার প্রণয়নের কাজেও ভূমিকা রেখেছে। বাবার নির্বাচনের জন্য এক সেমিস্টার লেখাপড়া বাতিল করেছেন মেয়ে শেরেজাদ।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় গত ২৮ নভেম্বর এই বাড়িতে এসে উঠেছেন আশফাহ হক, শেরেজাদ ও আরাসতালিশ।
আশফাহ হকের কাছে জানতে চাইলাম এখানকার ভোটের পরিবেশ কেমন? তৎক্ষণাৎ উত্তর দিলেন, ‘এখানে ভোটের পরিবেশ অনেক ভালো।’
মাহীর ছিমছাম সুন্দর গ্রামের নাম দয়াহাটা মজিদপুর। এটি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় পড়েছে। মাহীর নির্বাচনী আসন মুন্সিগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান ও শ্রীনগর)। তাঁর বাবা সাবেক রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তাঁর দল বিকল্প ধারা এখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের সঙ্গী। পেশায় চিকিৎসক বি চৌধুরী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব। তবে রাজনীতির নানান সমীকরণ শেষে বিকল্প ধারার মাহী এখন নৌকার মাঝি।
আশফাহ হক বলছিলেন, মাহী নৌকার প্রার্থী হওয়ায় এলাকার অনেক নেতা গোসা করেন। তাঁদের মান ভাঙাতে চলে গেছে অনেকদিন। এখন সমান তালে করছেন প্রচার।
আশফাহ হকের কাছে জানতে চাইলাম, 'ভোটারদের কী বলে ভোট চাইছেন? '। আশফাহ হক বললেন, 'বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পর ভোটাররাই বলছেন, আমাদের মাহীর মার্কা নৌকা। নৌকায় ভোট দেব। আগেরবার ছিল কুলা, তখন কুলায় ভোট দিয়েছে। শ্বশুর যখন ধানের শীষ নিয়ে ভোট করেছেন তখন লোকে ধানের শীষে ভোট দিয়েছে।’
মাহীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বিএনপির প্রার্থী। গ্রাফিকস ডিজাইনার আশফাহ হকের আশা, নির্বাচনে মাহীর জয় হবে। মাহী হবেন সাংসদ।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
Himu
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
মাহীর স্ত্রী আশফাহ হকের কাছে জানতে চাওয়া হল এখানকার ভোটের পরিবেশ কেমন? তৎক্ষণাৎ উত্তর দিলেন, ‘এখানে ভোটের পরিবেশ অনেক ভালো। -কতটা ভাল বুঝতে পারতেন যদি মার্কাটা ধানের শীষ হত।
mahmood
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
Without special arrangement, its quite impossible for Mahi B Chy to do any competition.
Farid
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
সুবিধাবাদী, জনগণ ভোট দিলে কোন ফল পাওয়া যাবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
তবে রাজনীতির নানান সমীকরণ শেষে বিকল্প ধারার মাহী এখন নৌকার মাঝি. নৌকা র মাঝি??? তাইলে কি আওয়ামীলীগ এর সবাই নৌকার যাত্রী???
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
Very poor thinking.
rafayet abdullah
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
এমন নেতা বিজয়ী হলে,,,দেশের তরুণরা তাদের থেকে শিখবে কি???
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
সেমিষ্টার বাদ দিলেও কাজ হবে না৷ ফাইনাল বাদ দিতে হবে৷
md.mumun
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
প্লান বি!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
সব নেতার বউ ছেলে মেয়ে থাকে লন্ডন/আমেরিকা/সিঙ্গাপুর।দেশের প্রতিষ্ঠানের কি হলো না হলো তাদের দরকার আছে দেখার??পরিবার নিজ দেশে রাখুন পরে রাজনীতি করুন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
হিরো আলমকেই ভোট দেওয়া উচিত।
mintu marsh
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
সামনে বার মার্কা দাড়ায়েন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
পৃথিবীর সবচেয়ে ন্যক্কার, ধিক্কার ও জঘন্যতম কাজ হলো কারো ভোটাধিকার হরণ।আওয়ামী লীগ সেই পৃথিবীর সবচেয়ে ন্যক্কার, ধিক্কার ও জঘন্যতম কাজটি করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
১০০% সঠিক। কেননা ভোটাধিকার নাই মানেই- জোর যার মুল্লুক তার। এটা কি আধুনিক যুগ? নাকি অসভ্য যুগ?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
নিজের দলের প্রতীকেই ভরসা নাই!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
বাবা বি চৌধুরী নির্বাচন থেক সরে দাঁড়িয়ে আমাদের সমর্থন জানিয়েছেন তাই ছেলে আমাদের দলের নৌকা নির্বাচন করছে তাতে আপনার এত সমস্যা কেন ভাই ?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
তার দলের নাম বিকল্প ধারা কিন্তু তিনি নির্বাচনে জয়ী হতে গড্ডলিকা প্রবাহেই গা ভাসালেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
১৫০ চাহিয়া ৩, বিনোদন !
M HASAN FUAD
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
নেতার সবচেয়ে বড় উদাহরন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
মেয়ের সেমিস্টার বাদ হলেও এবার জনরায়ে বাবার যে একেবারে ফাইনালটাই বাদ হবে!
গোপাল বোষ
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
এর পক্ষে কি আর প্রচারের কোন প্রয়োজন আছে? এবারের নির্বাচনে এরশাদকে টপকে দুজনই এখন সুপার হিট। একজন আলম, অপরজন মাহি।
গোপাল বোষ
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
আচ্ছা প্রচারণায় গিয়ে মাহি কি বলবেন? আমাকে নৌকে মার্কায় ভোট দিন?
গোপাল বোষ
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
বিশেষ দ্রষ্টব্য- এরশাদ লজ্জিত। তিনি তাই দেশান্তর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
লজ্জা নাই।লজ্জা নাই।
গোপাল বোষ
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
ওরে ভাই অনেক কথাই তো কইলেন। মান্নানের কথা কন, মান্নানের কথা।
Shakhor Roni
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
এটাই হলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক দুখজনক বাস্তবতা । এই লোকটার বাবা আর ব৷ড় মুখ ছাড়া আর কোন পরিচয় বা অবদান নেই, কিন্তু এখন সে সংসদের পথে । আগেই আখের গোছানো টাও হয়েছে
Mohammad
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
ছেলে মেয়ে দুইজনই দেশের বাইরে থেকে পড়াশুনা করে। ওনি আর দেশের জন্য কি করবেন। আপনি ও আমেরিকা চলে যান। পিএইচডির জন্য হলে ওয়েলকাম জানানো যেত কিন্তু ছেলে মেয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য যে দেশের উপর ভরসা করে না তাকে আর যাই হোক দেশপ্রেমিক বলতে কষ্ট হয়। প্রথম আলো যদি এ রকম আর যারা আছে তার একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করত!
Admiral General Aladeen
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
উনি ১৫০ আসন পেয়েছেন কিন্তু নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
তিনজনই যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন, ছেলেমেয়ে লেখাপড়া করে, স্ত্রী কি করেন? নাকি পুরো পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী, মাঝে মাঝে বাংলাদেশে বেড়াতে আসে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮
পড়ালেখা করে কি হবে? মন্ত্রীর মেয়ে পরিচয়ই হবে আসল পরিচয়।