সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে যখন প্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের প্রচারণা চলছে, সেখানে বঙ্গোপসাগরের মধ্যে অবস্থিত দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে এখনো কোনো প্রার্থীর পা পড়েনি। এই দ্বীপের ভোটাররাও তাই চুপচাপ। তবে চারপাশে সমস্যার পাহাড় বলে জানিয়েছেন অনেক ভোটার। প্রার্থীদের দেখা পেলে তাঁদের কাছে সমস্যা সমাধানে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি আদায় করার জন্য প্রহর গুনছেন তাঁরা।
কক্সবাজার-৪ (টেকনাফ-উখিয়া) আসনের অধীন সেন্ট মার্টিন। টেকনাফ উপজেলার এই দ্বীপ ইউনিয়নে ১ হাজার ৪৫৪ পরিবারে লোকসংখ্যা ৯ হাজার ৬৬৭ জন। এর মধ্যে ভোটার ৩ হাজার ১০৬ জন। এই আসনে প্রার্থী ছয়জন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের শাহীন আক্তার (নৌকা), বিএনপির শাহজাহান চৌধুরী (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির আবুল মনজুর (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের মোহাম্মদ শোয়াইব (হাতপাখা), ইসলামী ঐক্যজোটের রবিউল হোছাইন (মিনার) ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সাইফুদ্দিন খালেদ (হারিকেন)। কিন্তু রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো প্রার্থী দ্বীপে পা রাখেননি।
স্থানীয় ভোটাররা দ্বীপের অনেক সমস্যার কথা জানান। সালামত উল্লাহ (৫০) বলেন, ‘নৌকা থেকে দ্বীপে ওঠার একমাত্র জেটিটি ভেঙে পড়ছে। হাসপাতালে চিকিৎসক নেই। ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার জন্য স্কুল আছে, কিন্তু শিক্ষক নেই। নেই দ্বীপ রক্ষার বেড়িবাঁধ, হাঁটাচলার পাকা রাস্তা। এসব বোঝানোর লোক নেই।’
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুল হক বলেন, প্রবাল দ্বীপে এখন নৌকার জোয়ার বইছে। অপরদিকে বিএনপির নেতারা বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এখানে ধানের শীষ এগিয়ে থাকবে।
বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী বলেন, গতকালও তিনি প্রচারণা চালিয়েছেন উখিয়াতে। কিন্তু হামলার ভয়ে তিনি টেকনাফ যেতে পারছেন না। টেকনাফ গেলে এক ঘণ্টার জন্য হলেও সেন্ট মার্টিন ঘুরে আসবেন তিনি।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহীন আক্তারও গতকাল প্রচারণা চালিয়েছেন উখিয়াতে। আরও কয়েক দিন তিনি টেকনাফ-উখিয়ায় প্রচারে ব্যস্ত থাকবেন। এর মধ্যে সময় পেলে সেন্ট মার্টিন ঘুরে আসবেন বলে জানান তিনি।
দ্বীপের মধ্যভাগে আছে জিনজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এটি এখানকার একমাত্র ভোটকেন্দ্র। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. রফিক বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ছয়টি বুথে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেবেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
মন্তব্য নেই