আ. লীগে থাকা ‘যুদ্ধাপরাধীদের’ তালিকা দিল বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ২২ জনের তালিকা
  • বিএনপির প্রকাশ করা এই তালিকার ছয়জন সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী এবং সাংসদ
  • এবারও তাঁরা প্রার্থী

জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও যুদ্ধাপরাধীদের নিকটাত্মীয়দের ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দিয়ে সমালোচনার মুখে থাকা বিএনপি এবার আওয়ামী লীগে ‘যুদ্ধাপরাধী’ থাকার অভিযোগ এনেছে।

বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগের ২২ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করে দাবি করছে, এসব ব্যক্তি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ভূমিকা রেখেছেন বা পাকিস্তান সরকারের হয়ে কাজ করেছেন। এঁদের মধ্যে ৯ জন এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করছেন।

গত রোববার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই ২২ জনের নামের তালিকা গণমাধ্যমকে দেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে, এমন অভিযোগে এক ডজন ব্যক্তির বিচার করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। কিন্তু আওয়ামী লীগে থাকা রাজাকারদের ব্যাপারে একেবারে নীরব।

বিএনপির অভিযোগ, আওয়ামী লীগেও অনেক কুখ্যাত রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্য ও স্বাধীনতাযুদ্ধে মানবতাবিরোধী ব্যক্তি আছেন। এমন ব্যক্তি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা এখন আওয়ামী লীগের বড় নেতা বা তাদের টিকিটে এবার নির্বাচন করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে যাঁদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান সাংসদ মো. ফারুক খান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান সাংসদ মহীউদ্দীন খান আলমগীর, আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমান ও সাংসদ মোসলেম উদ্দিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী।

এর মধ্যে কামরুল ইসলাম সম্পর্কে বিএনপির অভিযোগ, তিনি রাজাকার পরিবারের সদস্য। তাঁর বড় ভাই হাকিম হাফেজ আজিজুল ইসলাম ১৯৭১ সালে নেজামে ইসলামী পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে ঢাকায় শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। একই সঙ্গে তিনি রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীকে সহযোগিতা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় আজিজুল ইসলামের মালিকানাধীন প্রিন্টিং প্রেসে কামরুল ইসলাম ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৬৯ সালে এ দেশে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলন জোরদার হলে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষার প্রচারণা চালাতে নেজামে ইসলাম নামের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা বের করে নেজামে ইসলামী পার্টি। হাকিম আজিজুল ইসলাম এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। কামরুল বড় ভাইকে সার্বিক সহযোগিতা করতেন। মুক্তিযুদ্ধে ইসলামী দল বইয়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ আছে বলে বিএনপি দাবি করেছে।

তবে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি, প্রশিক্ষণও নিয়েছি। আমার সঙ্গে হাসানুল হক ইনু ছিলেন, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ছিলেন। আমার যুদ্ধকালীন কমান্ডার ছিলেন মোস্তফা মোহসীন মন্টু। তাঁকে জিজ্ঞেস করেন। যাঁরা এসব বলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চারবারের সাংসদ ও সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানের বিষয়ে বিএনপি দাবি করছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পাকিস্তানের পক্ষে দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষে প্রথম অপারেশন চালান এবং কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। সূত্র হিসেবে বিএনপি দিনাজপুরের মুক্তিযুদ্ধ নামক বইয়ের নাম উল্লেখ করে।

মো. ফারুক খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এটা পুরোপুরি মিথ্যা কথা। এই প্রথম এমন কথা শুনলাম। আমি পাকিস্তানের একটি একাডেমিতে একজন শিক্ষানবিশ হিসেবে ছিলাম। পরে পাকিস্তান থেকে ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশে পালিয়ে আসি এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিই। আমার সম্পর্কে এসব তথ্য সেনাবাহিনীতে রক্ষিত রয়েছে। যাচাই করে দেখতে পারেন।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিষয়ে বিএনপির অভিযোগ, তিনি একাত্তরে শান্তি কমিটিতে ছিলেন। তাঁর পিতা নুরুল ইসলাম নুরু মিয়া ফরিদপুরের শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন। দৃশ্যপট একাত্তর: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগ শীর্ষক বইকে (পৃষ্ঠা ৪৫) বিএনপি সূত্র হিসেবে উল্লেখ করেছে।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাবার নাম জোর করে শান্তি কমিটিতে ঢোকানো হয়েছিল। সে সময় যারাই চেয়ারম্যান ছিল, তাদের সবার নামই জোর করে ঢোকানো হয়। আর আমি’ ৭১ সালে জাতিসংঘে কাজ করতাম। আমার বাবা ইন্তেকাল করেছেন, তাঁর নামে এসব মিথ্যা যাঁরা বলছেন, তাঁরা যদি এটি প্রমাণ না করতে পারেন, তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আমি এক শ কোটি টাকার মানহানির মামলা করব।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মহীউদ্দীন খান আলমগীর সম্পর্কে বিএনপির বক্তব্য হচ্ছে, তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ময়মনসিংহে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকরি করে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে সহযোগিতা করেছেন। মেজর (অব.) এস এস এম আরেফিন রচিত মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান বইয়ে (পৃষ্ঠা–৩৫০) মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানে কর্মরত বাঙালি কর্মকর্তাদের তালিকায় তাঁর নাম আছে।

একই বইকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপি বলছে, এইচ এন আশিকুর রহমানও ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের অধীনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে টাঙ্গাইলে কর্মরত ছিলেন। দলটির দাবি, আশিকুর রহমান পাকিস্তান সরকারকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করেন।

ময়মনসিংহ-৬ আসনের সাংসদ মোসলেম উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন বলে দাবি করছে বিএনপি। ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ডা. এম এ হাসানের দেওয়া যুদ্ধাপরাধের তালিকায় (যুদ্ধাপরাধের তালিকা ও বিচার প্রসঙ্গ) ক্রমিক নং-৭৩–এ তাঁর নাম রয়েছে। মোসলেম উদ্দিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গত ৬ এপ্রিল (প্রকৃতপক্ষে মামলাটি হয়েছে ২৩ জানুয়ারি) ময়মনসিংহের আদালতে মামলা করেছেন জালাল উদ্দিন নামের একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ফুলবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক।

বিএনপির দাবি, আওয়ামী লীগ প্রথম যুদ্ধাপরাধীকে মন্ত্রী বানিয়েছেন। তিনি মাওলানা নুরুল ইসলাম। ১৯৯৬ সালে জামালপুর–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তাঁকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী করে আওয়ামী লীগ সরকার। আসাদ বিন হাফিজের লেখা দৃশ্যপট একাত্তর: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগ শীর্ষক গ্রন্থের (পৃষ্ঠা–৪৫) বরাত দিয়ে বিএনপি বলছে, নুরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী এলাকার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে রাজাকাররা ওই এলাকায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত। নুরুল ইসলাম গত মাসে মারা গেছেন।

বিএনপি যেসব সূত্রের কথা উল্লেখ করেছে, তা যাচাইয়ের জন্য প্রথম আলোর পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান ও দৃশ্যপট একাত্তর: একুশ শতকের রাজনীতি ও আওয়ামী লীগ শীর্ষক বই দুটিতে পৃষ্ঠা নম্বরসহ উল্লেখিত তথ্যের মিল পাওয়া গেছে।

ডা. এম এ হাসানের লেখা যুদ্ধাপরাধের তালিকা ও বিচার প্রসঙ্গ বইটির যে তথ্যসূত্র দেওয়া হয়েছে, সেটারও মিল পাওয়া গেছে। অন্য যেসব সূত্র বা দলিলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো কিছুটা দুষ্প্রাপ্য।

এ ছাড়া বিএনপির এই তালিকায় শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বেয়াই মুসা বিন শমসের (যুদ্ধাপরাধের তালিকা ও বিচার প্রসঙ্গ, ক্রমিক–৫৯৫), আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ, প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের বাবা মির্জা কাশেম ও জামালপুরের বকশীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের বাবা আবদুল কাইয়ুম মুন্সীর নামও উল্লেখ আছে। এর মধ্যে আবদুল কাইয়ুম মুন্সীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুটপাট ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগে গত ৬ এপ্রিল জামালপুর আদালতে মামলা করেছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। বিএনপির তালিকায় গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের ১০ জন নেতার নাম রয়েছে। দাবি করা হয়েছে, তাঁরা যুদ্ধাপরাধী, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ভূমিকা রেখেছিলেন। সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে কোটালীপাড়ায় ইউনিট মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মজিবুল হকের সই করা ২০০৮ সালের ১ আগস্ট প্রকাশিত ‘গোপালগঞ্জের যুদ্ধাপরাধীর তালিকা’। এ ব্যাপারে জানতে মজিবুল হকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান হাওলাদার, কোটালীপাড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রাফেজা বেগমের বাবা আবদুল বারেক হাওলাদার ও ভাই আজিজুল হক, গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতা আবুল কালাম দাড়িয়ার বাবা মালেক দাড়িয়া, কোটালীপাড়া উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আমির হোসেনের বাবা মোহন মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়ার বাবা মুন্সি রজ্জব আলী দাড়িয়া, কোটালীপাড়ার পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগের নেতা এইচ এম অহেদুল ইসলামের বাবা বাহাদুর হাজরা, ভগ্নিপতি রেজাউল হাওলাদার প্রমুখ। এর বাইরে তালিকায় আরও দুজনের নাম উল্লেখ ছিল, কিন্তু তাঁদের ব্যাপারে কোটালীপাড়ার কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের সদস্যের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিএনপির এই তালিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও দলের অন্যতম মুখপাত্র হাছান মাহমুদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এঁরা যদি যুদ্ধাপরাধী হয়, তাহলে দেশে কয়েক কোটি যুদ্ধাপরাধী আছে। মাত্র ২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ না করে আরও বেশি তালিকা তাদের দেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘মূলত বিএনপি নিজেরাই যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষক, লালনপালনকারী। এ বিষয়টি আড়াল করার জন্য এবং এ বিষয়ে থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য একটা সস্তা স্টান্টবাজি করছে।’

মন্তব্য

  • image

    আন্দালিব

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    বিএনপির সাথে আওয়ামীলীগের পার্থক্য হলো এই তালিকার কেউ কেউ যদি সত্যিই প্রমানিত যুদ্ধাপরাধি হয়ে থাকে তাহলে আওয়ামীলীগ ঠিকই ব্যবস্থা নিবে যেভাবে মোবারক রাজাকারের বিরুদ্ধে নিয়েছে--কিন্তু বিএনপি জেনে শুনে বুঝেই চিহ্নিত রাজাকারদের মাতৃস্নেহ দিয়ে আগলে রাখবে, বিচারতো বহু দুরাস্ত-- তা না হলে নিজ দলের সাকা, আব্দুল আলিমদের কিভাবে পেলে পুষে বড় করলো- জামাতিদের সাথে দোস্তানের কথা না হয় বাদই দিলাম!!

    • image

      Admiral General Aladeen

      ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

      জামাতের সাথে ৯৬-এ দোস্তির কথা মনে নেই।

    • image

      Sumon

      ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

      জি স্যার বেবস্তা নিবে

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

      আর কবে ব্যাবস্থা নিবে??? তারচেয়ে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা বাদ দেন।

    • image

      Mohammad Ali Refai

      ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

      নিজের জন্য চমৎকার সান্ত্বনা।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    i want to request to "prothom alo" to find out the real true. really 22 al candid is war criminals ! Can "prothom alo" prove it ?

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই!

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

      রিজভীর কথার প্রতিক্রিয়া দেবার কী আছে। সবাই জানে সে অনবরত মিথ্যা বিবৃতি ছড়ায়।

    • image

      msIqbal

      ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

      এই হলো শুধুমাত্র হেড লাইন পরেই মন্তব্য করার ফল! পুরো খবরটা আগে পড়ুন!!!

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    এবার ঠেলা সামলাবে কে!!!!

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

      খেলার কিছু ‌। রিজভীর কথার সত্যতা নেই। তিনি এ যাবৎ যত বিবৃতি দিয়েছেন সব মিথ্যা।

    • image

      Moniruzzaman

      ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

      মাত্র ২২ জন খুজে পেলেন। এর মধ্যে যাচাই বাছাই করলে প্রকৃত যুদ্ধাপরাধী হিসেবে একজন টিকে কি না সন্দেহ। হে আওয়ামী লীগের মধ্যেও যুদ্ধাপরাধী আছে, সরকার এইরকম ২ জনের বিচারও করেছে। থাকলে আরও করবে। এখন একটা তথ্য আপনাদেরকে দেই, আমার নিজ গ্রামেই ১১ জন রাজাকার ছিল, যাদের সবাই এখন বিএনপি করে। এখন বুঝেন, সারাদেশে কি পরিমান যুদ্ধাপরাধী বিএনপির মধ্যে আছে?

  • image

    ibne mizan

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    আওযামীই লীগের কথা বাদ ই দিলাম , কিন্তু যারা যুদ্ধাপরাধ বিচার নিয়ে কথা বলেন, তারা নীরব কেন ?

  • image

    Muhammad Shahriar Zaman

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    after 30th we will see that.

  • image

    অশিকীর্ষ লৌকিক

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    এবার ঠেলা সামলাও বাবুরা

  • image

    Kamal Hossain

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    রিজভী সাহেব শুধু বই পড়ে কিছু মুখস্থ নাম দিলেই যুদ্ধাপরাধী হয়ে যাবে না। আপনাকে দলিলসহ আদালতে প্রমাণ করতে হবে এরা যুদ্ধাপরাধী ।তবেই জনগণ তা বিশ্বাস করবে বা মেনে নিবে।

  • image

    Mantu Mandal

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    এমন তালিকা দিয়ে কিভাবে যুদ্ধাপরাধী বলে তারা? যারা কিনা অভিযুক্তদের মন্ত্রী বানায়, সাজাপ্রাপ্তদের পরিবারের সদস্যদের নমিনেশন দেয় যারা আজও তাদের পিতার কৃতকর্মের প্রতি অনুগত, এবং বাংলাদেশের বিরোধী মনোভাব প্রকাশ, করে????? লজ্জা, লজ্জা,লজ্জা!!!!!""

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    তাহলে চেতনার দলেও যুদ্ধাপরাধী আছে!

  • image

    M HASAN FUAD

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হয়ে গেছে। হা হা হা...

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    আরে ভাই বুঝলেন না। আওয়ামী লীগের সাথে রাম সাম যদু মধু যে থাক কেনো সে তো সাধু সন্যাস। আর BNP এর সাথে যে থাকুক না কেনো সে তো রাজাকার। হিসাব সহজ। তা এত ঘ্যানর ঘ্যানর করেন কেন???

  • image

    Azizul Hoque

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    রেফারেন্স হিসাবে এই নিউজ এবং লিস্টগুলো খুব ইমপর্টেন্ট ।

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

      তথ্য সূত্রহীন ব্যক্তিগত ধারনা কখনো রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যায় না।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    বাস্তব সত্য হলো এই লিস্টের লোকজন সত্যি সত্যি যুদ্ধাপরাধি রাজাকার হলে পাকিস্তানপন্থি দল হিসেবে বিএনপি জামাত এভাবে প্রকাশ করতোনা, শত হলেও নিজ জাতভাইদের সুরক্ষা করা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    ফরিদপুরে এ জন্যই তো দলীয় নেতা কর্মীদের বাদে শুধু রাজাকারদের আত্মীয় স্বজনদের নিয়েই ওনার সব কর্মকাণ্ড |

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    তালিকাটি রিজভীর তৈরি। সুতরাং, ব্যক্তির সততা যেখানে প্রশ্নবিদ্ধ সেখানে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তি কোথায়! আর কোন তথ্য সূত্র নেই। বোগাস।

  • image

    juwelusa

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    All Rajakars are not aceppeted either AL or BNP. Great, Now can you tell us how many Heinous Rajakar in the BNP.

  • image

    Abdul Munayem Raju

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    দোষী ব্যাক্তিদের মন্তব্যে অসমতা লক্ষ্য করছি... তাহলে কী.... বিচার তো একদিন হবেই

  • image

    Moniruzzaman

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    মাত্র ২২ জন খুজে পেলেন। এর মধ্যে যাচাই বাছাই করলে প্রকৃত যুদ্ধাপরাধী হিসেবে একজন টিকে কি না সন্দেহ। হে আওয়ামী লীগের মধ্যেও যুদ্ধাপরাধী আছে, সরকার এইরকম ২ জনের বিচারও করেছে। থাকলে আরও করবে। এখন একটা তথ্য আপনাদেরকে দেই, আমার নিজ গ্রামেই ১১ জন রাজাকার ছিল, যাদের সবাই এখন বিএনপি করে। এখন বুঝেন, সারাদেশে কি পরিমান যুদ্ধাপরাধী বিএনপির মধ্যে আছে?

  • image

    গোপাল বোষ

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    সর্বনাশ একি শুনছি?

  • image

    গোপাল বোষ

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    আমার তো কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না।

  • image

    গোপাল বোষ

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির এই অবস্থা!

  • image

    গোপাল বোষ

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    আওয়ামী লীগের এই অবস্থা করল কে রে?

  • image

    গোপাল বোষ

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    এত রাজাকার লালন পালন করার পরও আওয়ামী লীগ অন্যান্য দলকে রাজাকার বলে প্রচার চালায়। এখন দেখা যায়...

  • image

    গোপাল বোষ

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    লজ্জা লজ্জা লজ্জা

  • image

    গোপাল বোষ

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    আমি বাকরুদ্ধ হয়ে পরেছি।

  • image

    গোপাল বোষ

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    আশাকরি এবার তেনাদের মুখ বন্ধ হবে।

  • image

    Kabir

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    আওয়ামী লীগে রাজাকার খুঁজতে দুরবীন ও অনুবীক্ষনযন্ত্র লাগলো কিন্তু বিএনপির সব ফকফকা।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    আমার প্রশ্ন হলো ক্ষমতাশীনরা কেন এই ব্যাপারে কোনো প্রতিবাদ করল না? তাহলে কি আমরা ধরে নিব নীরবতা সম্মতির লক্ষন।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    How many war criminals was arrested after 1971 war can any one give information. I personally welcome BNP for providing this now can they give their own list. Do not take it other wise as i belives this will make war criminal politics harder. So pls give us total list

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    রিজভী মহাশয় এবার নিজেদেরটা প্রকাশ করেন।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    ওদের আর কওনের মুখ নেই।

  • image

    MMKhan

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    চেতনার ভারবাহী উটেরা সব, নির্লজ্জ বিবেকহীনতার অথৈ বালুরাশিতে কেমন, মুখ গুঁজে রয় আজ!!!

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    বিএনপির দাবি কেন হবে? আপনারাই সোর্স দিয়ে সংবাদটির সত্যতা বের করতে পারেন না?

  • image

    গোপাল বোষ

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    তাহারা কতই ভাগ্যবান যাহাদের উপর এই অভিযোগ নাই!

  • image

    গোপাল বোষ

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    আপনাদের ধৈর্য আসলেই প্রশংসার দাবী রাখে। আওয়ামী লীগ হলে বহু আগেই এই তালিকা প্রকাশ করত।

  • image

    সোলায়মান

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    যদিও অর্ধেকের বেশী অভিযোগই কাল্পনিক। তারপরেও বিএনপির উদ্দেশ্য হচ্ছে নিজেদের পর্যায়ে টেনে আনার অপচেষ্টা। তবে সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে আওয়ামী লীগ বড় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে। অন্যদিকে বিএনপি এদের ছেড়ে দিতে হরতাল করেছে। রাজাকারকে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীও বানিয়েছে। এখনও বিএনপির সাথে সেই সকল যুদ্ধা্পারধীদের দলও আছে।

  • image

    Saifur Sahin

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    বিএনপি এটি প্রকাশ করেছে তিন দিন আগে । চেতনাধারীরা একেবারেই নীরব । গত তিনদিনে এটা নিয়ে কোন কথা শুনি নাই । মানে দাঁড়ায় এর সত্যতা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই ।

  • image

    MHossain

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    এই যুদ্ধাপরাধী তালিকা যদি বিএনপি না দিতে পারতো তাহলে এতদিনে বাংলাদেশের মানুষ তাদেরকে ভুলেও যেত। বিএনপি তাদের রাজনীতি বাঁচানোর জন্য এই তালিকা দিয়েছে, এতাতে আমরা মাইন্ড করতে পারিনা।

  • image

    Mohammad Ali Refai

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    ছিঃ ছিঃ এই লজ্জা জাতি রাখবে কোথায়? নিজ দলে স্বাধীনতা বিরোধী-রাজাকার পুষে,কথায় কথায় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলা হটকারিতা ছাড়া কিছুই নয়।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    চেতনায় বড়ই আঘাত পেলাম! .... তবে ধান্ধাবাজী ছাড়বো না।

  • image

    তাসলিমা বেগম

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    'আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও দলের অন্যতম মুখপাত্র হাছান মাহমুদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এঁরা যদি যুদ্ধাপরাধী হয়, তাহলে দেশে কয়েক কোটি যুদ্ধাপরাধী আছে।' বাহ নিজেদের বেলায় সব কিছু জায়েজ হয়ে যায় কি সুন্দর করে

  • image

    খালিদ হাসান জীবন

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    এজন্যই কবি বলেছেন- খেলারাম খেলে যা!

  • image

    Deepak Eojbalia

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    Why delay to disclose it?

  • image

    Sakhawat U Chowdhury NJ

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    এরাই তো আ.লীগ,এরাই তো চেতনাজীবি....৪৭ বছর হলো আর কতো..???

  • image

    প্রামানিক

    ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

    যেহেতু রিজভী বলেছে তাই সব সঠিক বলে ধরে নেয়া হউক।

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

      রিজভি যা যা বলেছে সবকিছুর সত্যতা জাতি পেয়েছে!!

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

    ৯৩ হাজার পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধী সেনাকে কি বিএনপি ছেড়ে দিয়েছে? রাজাকার দালালের সাধারণ ক্ষমা কি বিএনপি করেছে? ভুট্টোর গাড়িতে পতাকা কি বিএনপি দিয়েছিল?@ সোলায়মান

সব মন্তব্য