গায়ে কালো পাঞ্জাবি, পরনে জিনস, পায়ে চপ্পল। তাঁর বাহন আরএক্স মোটরসাইকেল। চালক ছোট ভাই মোরসালিন বিন মুর্তজা। গ্রাম থেকে গ্রামে এভাবেই চষে বেড়াচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
নড়াইল-২ আসনে (লোহাগড়া-সদরের একাংশ) আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাশরাফি। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের এ জেড এম ফরিদুজ্জামানও চালিয়ে যাচ্ছেন গণসংযোগ। ফরিদুজ্জামান ২০-দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মাশরাফি লোহাগড়ার এড়েন্দা বাসস্ট্যান্ডে প্রথম পথসভায় বক্তব্য দেন। এরপর উপজেলার ঝিকড়া স্কুল মাঠ, ঝিকড়া মোড়, আমাদা স্কুল মাঠ, বয়রা, সারোল, তালবাড়িয়া, কুমড়ি, লুটিয়া, মাইগ্রাম, বড়দিয়া, দিঘলিয়া, কোটাকোল, পাচুড়িয়া, ঘাঘা ও পারমল্লিকপুর গ্রামে পথসভায় বক্তব্য দেন।
এ সময় মাশরাফির সঙ্গে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার আবদুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমির, সহসভাপতি সৈয়দ মশিয়ূর রহমান, মো. মতিয়ার রহমান, যুগ্ম সম্পাদক শেখ সিহানুক রহমান, লক্ষ্মীপাশা ইউপির চেয়ারম্যান কাজী বনি আমিন, সাবেক চেয়ারম্যান কাজী বসিরুল হক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মুনশী জোসেফ হোসেন, ছাত্রলীগের নির্বাচন সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন, সদস্য শরীফ আলী আজগর, আরমান সরদার, কাজী আরিফুর রহমান প্রমুখ।
এর আগে গতকাল সোমবার লোহাগড়ার উত্তর এলাকায় ১৪টি পথসভায় বক্তব্য দেন মাশরাফি। আগের দিন সদর উপজেলায় ২২টি পথসভায় বক্তব্য দেন। মঙ্গলবারও ২৫টি পথসভা করেছেন তিনি। মোটরসাইকেলে চেপেই এসব জায়গায় যান তিনি। তাঁকে দেখতে পথে ছিলেন শত শত নারী-পুরুষ। হাত নেড়ে তাঁদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মাশরাফি। আবার কোথাও দাঁড়িয়ে কথাও বলেন, ভোট চান।
গত তিন দিনের মতো মঙ্গলবারও অধিকাংশ পথসভায় মাশরাফি এক থেকে দেড় মিনিটে বক্তব্য শেষ করেন। সব জায়গায় তাঁর বক্তব্যও প্রায় একই। বক্তব্য শুরু করেছেন সালাম দিয়ে, শেষ করেছেন জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে। মনোনয়ন দেওয়ায় বক্তব্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন দলীয় নেতা-কর্মীদের। বলেছেন, ‘আমি রাজনৈতিক কথা বলতে আসিনি। প্রতিহিংসাপরায়ণতা নয়, দলমত–নির্বিশেষে সবাই আমাকে ভোট দেবেন। সবাই মিলে আমরা সমৃদ্ধ নড়াইল গড়ব। ৩০ তারিখে সকাল সকাল গিয়ে ভোট দেবেন।’
মাশরাফি জানান, আগামীকাল বুধবার সদর উপজেলায় এবং আগামী বৃহস্পতিবার লোহাগড়া উপজেলায় গণসংযোগ করবেন তিনি। নির্বাচনী এলাকার ২০টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা আছে তাঁর।
এদিকে ধানের শীষের প্রার্থী ফরিদুজ্জামান আজ মঙ্গলবার লোহাগড়ার মঙ্গলহাটা, কুন্দশী, মল্লিকপুর, করফা, আতশপাড়া, মহিষাপাড়া, চরকরফা ও কালনায় গণসংযোগ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এনপিপির জেলা আহ্বায়ক বেলাল আহমেদ, উপজেলা আহ্বায়ক কাজী শওকত, জেলা বিএনপির সহসভাপতি জহুরুল কামাল, নজরুল ইসলাম, লুৎফর রহমান প্রমুখ। ফরিদুজ্জামান বলেন, ‘সেনাবাহিনী মাঠে নামায় আমরা স্বস্তিতে আছি। আশা করছি, সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। আমার ভোটাররা যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন।’
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
SHAMEEM
২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
এই একটি মাত্র আসন যার ফলাফল নিরধারন হয়ে গেছে এবং এই আসনে রেকরড ভোটে জয়ী হবে জয়ী প্রাথী। ✌
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
একটা আসনে অন্তত ফেয়ার ইলেকশন হবে, এত কষ্টের মধ্যেও এটাই শান্তি
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
Go Mashrafee go
Khairul Amin
২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
মাশরাফিকে কতজনে কতকিছু বলেছে কিন্তু তিনি কোনো প্রতিবাদ তো করেন নাই বরং আস্থা রাখতে বলেছেন, আহা ভালোবাসার মাশরাফি।
Shan*Is*Back
২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
ম্যাশ শুধু শুধুই কষ্ট করতেছো। তোমার দলের সোনার ছেলেরা তোমার বিজয় ঠিকই ছিনিয়ে আনবে। কষ্ট করার দরকার নাই।
ইব্রাহীম শামীম
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
তোমাকে ভালবাসতাম, তাই মনে-প্রাণে চেয়েছিলাম তুমি দুষ্ট রাজনীতি হতে মুক্ত থাক। এখন আশা করি দলকানা হবে না। দেশের জন্য, জনতার জন্য, মানবতার জন্য নিজেকে মেলে ধরবে। শুভ কামনা রইল।
Md. Enamul Huq
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
ভাই ভাল মানুষরা রাজনীতি থেকে মুক্ত থাকলে দেশের উন্নয়ন কি অমানুষ দিয়েই করাবেন। আমরা নড়াইল বাসী। আমাদের জন্য মাশরাফি খুবই প্রয়োজন।
হাসান
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
শত যন্ত্রনা আর সমস্যায় জর্জরিত দেশের মানুষের চোখে কালো পট্টি হয়ে আছে যে ব্যাধি তা হচ্ছে এই ক্রিকেট। দেশ ডুবে যাক, ভেসে যাক তাতে কি হয়েছে, আপনারা ক্রিকেট দেখুন। এই ব্যাধির নায়ক গন আজ রাস্তায় নেমে গেছেন তাদের আসল রঙ দেখাতে। আপনারাও রঙ দেখুন, দেশ বাসীর চোখে রঙিন চশমা পরিয়ে দিন। যেদিকে বৃষ্টি হবে সেদিকেই তো ছাতি ধরবেন, এটাই তো নিয়ম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
ম্যাস বস, নিজের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখিয়েন।।।
Muhammad Rasel Shah
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি,সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে মাশরাফি বিপুল ভোটে হারবে৷ মানুষ এত বোকা না যে,অনভিঞ্জ কাউকে নিজের এলাকার সাংসদ বানাবে৷ আজকাল তো চাকরির ক্ষেত্রেও ২-৪ বছরের অভিঞ্জতা লাগে৷
MD SAIFUL ISLAM SARKER
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
In our country if you ask a politician what is your profession. They will reply politic or business/contractor. Very few of them have decent profession which require proper degree. However you don't need experience in politics all the time. What you need is knowledge in history and contemporary matters, love for people, a sacrificing mentality as well as leadership quality. More important thing is what type of people your are surrounding with and whom you trust.
SHAMEEM
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
যাক অন্তত একজন পেলাম যিনি বলতে পারলেন, মাশরাফি হারবে। যে কোন পরিস্থিতি, মাশরাফি বিপুল ভোটে জিতে আসবে। নিশ্চিত থাকুন। আর এখন থেকে রিজভি সাহেব কে একটি প্রেসনোট রেডি করে রাখতে বলুন, মাশরাফি ভোট জালিয়াতি করে জিতেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
কথাটা আওয়ামি দলকানাগুলোর জন্য তিক্ত হলেও একেবারে সত্যি।
Md. Enamul Huq
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
আপনি নড়াইল সম্পর্কে কি জানেন। আপনার বাড়ী কোথায়। নড়াইলে কি কখনো বি.এন.পি জিতেছে? আপনি কিভাবে জানলেন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে হারবে?
MD SAIFUL ISLAM SARKER
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
Looks like Mash is going to win in his seat. Please don't be a blind politician like others. Be honest and truthful. I hope he will be able to call black as black and white as white. What is the use of living a life when you have to pretend to be someone else and have fear in life.
সাঈদ, মুক্তিযোদ্ধা
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
পরিশ্রম করছেন এবং সে অনুপাতে ফল পেয়ে যাবেন। দোয়া করছি।
MD.ABDUR RAHMAN
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
'জোয়ার এলো' বলে, জোয়ারে ভেসে যেতে পারে সবকিছু, সবই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
হকিস্টিক কই ভাই...?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
এমন দল করেন যারা ফেয়ার ইলেকশনের মাধ্যমে জিততে পারে না, অস্ত্র, ক্যডার, পুলিশ তাদের চুরির মুল হাতিয়ার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
সরকার দলে থেকে সরকারি সহযোগিতায় নির্বাচন তাও আবার খেলার মাঠ থেকে সরাসরি। তা বেশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
This is the vote for saving democracy. Mash alone cannot change the political culture. Every vote for Mash will be counted for AL. Now decide where you will vote.
Syed Saif
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
"Captain Fantastic" & his political party will win InshaAllah!