তাহলে কি মাহবুব উল আলম হানিফ ও হাসানুল হক ইনুর মধ্যে চলা ঠান্ডা লড়াইয়ের পরিসমাপ্তি ঘটল? সোমবার রাত ১০টায় হঠাৎই কুষ্টিয়া শহরে পিটিআই সড়কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলমের বাড়িতে যান জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এ সময় তাঁর সঙ্গে জাসদের কয়েকজন শীর্ষ নেতা ছিলেন।
ইনু কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের মহাজোটের প্রার্থী। তিনি নৌকা প্রতীকে লড়ছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির ধানের শীষের প্রতীকে আহসান হাবীব (লিংকন)।
কয়েক মাস ধরে মিরপুর ও ভেড়ামারা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা-কর্মীরা জাসদকে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাঁরা ইনুর প্রচারণায় নামেনি। অনেকটা একলা প্রচারণা চালাচ্ছেন ইনু।
দলীয় নেতারা বলছেন, হানিফের বাড়িতে ইনুর এটাই প্রথম প্রবেশ ছিল। এমন খবর শহরে চাউর হলে কুষ্টিয়া শহরে শুরু হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
আওয়ামী লীগ ও জাসদের চার শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত ১০টার কিছু আগে হাসানুল হক ইনু হানিফের বাড়িতে যান। এ সময় তাঁর সঙ্গে জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম স্বপনসহ কয়েকজন নেতা ছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন পাঁচজন নেতার সঙ্গে কথা হয়।
তাঁরা বলেন, বাড়ির দোতলায় বৈঠকে মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জাসদের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। হানিফ ও ইনু পাশাপাশি বসে ছিলেন। তাঁরা করমর্দন করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আওয়ামী লীগ নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘হানিফ ভাই প্রথমেই ইনু ভাইয়ের কাছে জানতে চান ভোটের কী অবস্থা। এ সময় ইনু বলেছেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এখনো প্রচারণায় নামেননি। প্রচারণায় নামা দরকার।’
এমন কথার পর মিরপুর ও ভেড়ামারা নেতারা কিছু ক্ষোভের কথা বলেন। তাঁরা দীর্ঘদিনের চলা কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সেগুলো মেটানোর প্রস্তাব দেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন প্রথম আলোকে বলেন, চা-চক্র হয়েছে। নির্বাচন ও ভোট নিয়ে মহাজোটের একসঙ্গে প্রচারণা চালানোর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সব মিটমাট হয়ে গেছে।
তবে আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, হাসানুল হক ইনু বৈঠকে নমনীয় ছিলেন। তবে মাঠে নামা হবে কি হবে না, সেটা বুধবার (আজ) বিকেলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
দুই কমেডিয়ান একই এলাকার............
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
ওনি ইতিমধ্যেই বুঝে গেছে এবার আর শুধু নৌকা হলেই পার পাওয়া যাবে না। তাই দীর্ঘ দিনের বৈরি সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে যদি হানিফ সাহেব একটু হাওয়া লাগিয়ে দেয়। হানিফ সাহেবের নিজের অবস্থাই বেগতিক। সারা বছর ওনাদের দুই জনের বিএনপি বিষয়ক উপদেষ্টার পদ ছেরে দিয়ে এলাকার লোকজনের জন্য কিছু করলে আজকে এই অবস্থা হত না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
Without AL, this guy will not even get vote from his wife.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
ইনু সাহেবকে কি আওয়ামীলীগ মাইনাস ফর্মুলায় ফেলে দেবে!!!!!!!!!
Mahbubur Rahman
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
মনে হয় মাছ কিনতে গিয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
এখানে নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের সুযোগ নেই!
Shakib Khan
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
আমরা আমরাই ত :P