ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জামায়াত নেতা অধ্যাপক মো. মতিয়ার রহমান (৬৫) স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন। আজ বুধবার ভোরে ঢাকার রায়েরবাজার এলাকায় তাঁর মেয়ের বাসা থেকে মতিয়ার রহমান ও তাঁর স্ত্রী নাজমা রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস গ্রেপ্তারের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মতিয়ার রহমান ও তাঁর স্ত্রী নাজমা রহমানের (৫৫) বিরুদ্ধে নাশকতাসহ অনেক মামলা রয়েছে।
ঝিনাইদহ পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, জেলার মহেশপুরসহ বিভিন্ন থানায় পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে বোমা হামলাসহ ২৭টি মামলা রয়েছে মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে। তাঁর স্ত্রী নাজমা রহমানের বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক মামলা। দীর্ঘদিন তাঁরা পলাতক ছিলেন। একাধিক স্থানে অভিযানের পর আজ ভোরে ঢাকার রায়েরবাজার এলাকায় মেয়ের বাসা থেকে তাঁদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে পুলিশ দুটি ল্যাপটপ ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। পুলিশের ভাষ্য, এসব মোবাইল ফোন নাশকতার কাজে ব্যবহার করতেন মতিয়ার রহমান। তাঁকে ঝিনাইদহে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার নওদাগা গ্রামের আবদুল মজিদ বিশ্বাসের ছেলে অধ্যাপক মো. মতিয়ার রহমান ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর কলেজের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক। তিনি বর্তমানে কোটচাঁদপুর শহরের পশু হাসপাতালপাড়ায় বসবাস করেন।
ঝিনাইদহ-৩ আসনে মো. মতিয়ার রহমান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০–দলীয় জোটের পক্ষ থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন আওয়ামী লীগ–মনোনীত প্রার্থী সাবেক সাংসদ শফিকুল আজম খান চঞ্চল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে মতিয়ার রহমান আওয়ামী লীগের শফিকুল আজম খান চঞ্চলের কাছে পরাজিত হন।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
জামায়েতের বাকি কয়টাও ঢুকানোর ব্যবস্থা করে ফেললেই হবে। মামলা আছে ধরতে হবে।
তাসলিমা বেগম
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
প্রথম দিকে প্রথম সারির নেতাদের গ্রেফতার যেমন ডালভাত হয়ে গিয়েছিল এখন খোদ প্রার্থীকে গ্রেফতার করাটাও ডালভাত হয়ে গেছে আর দেশের মানুষ অসহায় হয়ে তা দেখছে। বিরোধী মতকে ভোটের মাঠ থেকে সরাতে সরকারের কি প্রানান্তর চেষ্টা
Imran
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮
কোনভাবেই বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত হবেনা।আওয়ামী লীগ যতই চরমপন্থী সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাক না কেন।নির্বাচনটা আন্দোলনকে আরো বেগবান করবে।৩০ তারিখ সারাদেশে ভোটদখল করতে গেলে এদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।