শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর প্রচারণা জোরেশোরেই চলছে। দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ ও ১৪–দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা দিনরাত নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে মাঠপর্যায়ে তেমন কোনো নেতা-কর্মী না থাকায় বিএনপির প্রার্থী ফাহিম চৌধুরী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর চেয়ে পিছিয়ে আছেন।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও এলাকার অন্তত ৩০ জন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই উপজেলায় নির্বাচনী সভা, পথসভা, উঠান বৈঠক ও গণসংযোগে নৌকার পক্ষের প্রচারণা ব্যাপকভাবে চলছে। দুই উপজেলায় ২১টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে পথসভা, নির্বাচনী সভা, উঠান বৈঠক করেছে আওয়ামী লীগ। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা নৌকার প্রচারণায় বেশ সময় পার করছেন। মতিয়া চৌধুরীকে সমর্থন জানিয়ে উপজেলা জাতীয় পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) নেতা-কর্মীরা নৌকার পক্ষে কাজ করছেন। এ ছাড়া দুই উপজেলার ব্যবসায়ীরা নিজস্ব উদ্যোগে নৌকার প্রচারণা চালাচ্ছেন। গত সোমবার মতিয়া চৌধুরী উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নালিতাবাড়ী উপজেলায় চারটি ইউনিয়নসহ বিকেলে পৌর শহরের নালিতাবাড়ী বাজারে নির্বাচনী পথসভায় করেন। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পৌরসভার মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক। এ ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যোগেন রায়, কাউন্সিলর জহুরুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন। প্রতিদিন মতিয়া চৌধুরী সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নৌকার প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, দুই পৌরসভার মেয়র ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এদিকে দুই উপজেলার দুটি মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। ফলে নির্বাচনের মাত্র চার দিন বাকি থাকলেও মাঠপর্যায়ে নেতা-কর্মী না থাকায় বিএনপির তেমন কোনো প্রচারণা নেই। তবে ফাহিম চৌধুরী প্রতিদিন কয়েকজন সমর্থক নিয়ে একা একা নীরব প্রচারণা চালাচ্ছেন। এ ছাড়া এ আসনে হাতপাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. নুরল ইসলাম। প্রতিদিন একটি বড় হাতপাখা নিয়ে নুরল ইসলাম তাঁর ২০ থেকে ৩০ জন কর্মী নিয়ে মোটসাইকেলে করে গণসংযোগ করছেন।
বিএনপি–সমর্থিত নালিতাবাড়ী পৌর শহরের ভোটার আবদুল হাই বলেন, দুই উপজেলায় বিএনপির বিরুদ্ধে দুইটা মামলা হওয়ায় সব নেতা-কর্মী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে রয়েছেন। নেতা-কর্মী না থাকায় বিএনপির কার্যালয় বন্ধ রয়েছে। তাই ধানের শীষের প্রচারণাও তেমন চলছে না। ফাহিম চৌধুরী একা গণসংযোগ করেছেন, তা–ও অনেক বাধার মধ্যে তাঁকে গণসংযোগ করতে হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ–সমর্থিত নকলা পৌরসভার ভোটার আনোয়ার হোসেন বলেন, মতিয়া চৌধুরী দুই এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এসব উন্নয়ন দেখে ভোটাররা তাঁকে ভোট দিতে আগ্রহী। দলমত–নির্বিশেষে সবাই নিশ্চিত মতিয়া চৌধুরী মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদকে অন্য কোনো প্রার্থী হারাতে পারবে না। এ আসনে মতিয়া চৌধুরীর বিজয়ের কোনো বিকল্প নেই।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
Mijan
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
BNP কে প্রচারণা করতে দেওয়া হচ্ছে কি?
Mohammad Nazmul Islam
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
বাংলাদেশের যুব সমাজ এই রাজনীতি থেকে অনেক কিছু শিক্ষা গ্রহন করছে।
Deepak Eojbalia
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
Motia is pride of the nation.