রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে তল্লাশি, তাড়া খেল পুলিশ

প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী রেজা কিবরিয়া। ফাইল ছবিহবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে আসামি ধরার নামে তল্লাশি চালাতে গিয়ে গ্রামবাসীর তাড়া খেয়েছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলার জলালসাপ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সামছুল ইসলামে বলেন, তাঁরা খবর পান যে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আসামি অবস্থান করছেন। তাঁদের ধরতে গেলে গ্রামবাসী ভুল বুঝে তাড়া করেন।

রেজা কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ প্রতিদিন তাঁর দলীয় লোকজনকে নানা স্থান থেকে গ্রেপ্তার করছে। সন্ধ্যায়ও তাঁর গণসংযোগ থেকে ১২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর দাবি, যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। গণসংযোগ থেকে দূরে রাখতেই পুলিশ এ ধরনের অভিযান চালিয়ে হয়রানি করছে। এর আগে তাঁর বাড়িতে আসামি ধরার নামে তল্লাশি করে পুলিশ। এ অন্যায়ের প্রতিবাদে গ্রামবাসী তাঁদের তাড়া করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র বলেছে, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ বিকেল চারটার দিকে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে অভিযানে যায়। তিনি তখন উপজেলার করগাঁও এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন। পুলিশ তাঁর বাড়িতে ঢুকে বিভিন্ন ঘরে তল্লাশি শুরু করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে জলালসাপ গ্রামের লোকজন। পুলিশের অভিযান রুখতে তাঁরা গ্রামের মাইকে ঘোষণা দেন। এ সময় মানুষজন লাঠিসোঁটা নিয়ে রেজা কিবরিয়ার বাড়ির দিকে এগিয়ে এলে পুলিশের দলটি দ্রুত পাশের গোপলার বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নেয়।

জলালসাপ গ্রামের বাসিন্দা শাহ মোছাব্বির হোসেন বলেন, পুলিশ অহেতুক বাড়ির ভেতরে ঢুকে নারী-পুরুষ সবাইকে তল্লাশি ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। এ অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করতে গ্রামবাসী তাঁদের তাড়া দেয়।

রেজা কিবরিয়ার একান্ত সহকারী সোহরাব হোসেন মাহদি ও শাহাবুদ্দিন বলেন, পুলিশ অভিযানের সময় তাঁরা ওই বাড়িতে ছিলেন। পুলিশ আসামি ধরার নাম করে বিভিন্ন ঘরে গিয়ে জিনিসপত্র তছনছ করতে থাকে।

মন্তব্য

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    সারা দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এরকম প্রতিরোধ দরকার।

  • image

    Eyaqub

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    একটা সময় ছিল যখন চোর-ডাকাতরা গ্রামবাসীর তাড়া খেতো! দিনে দিনে এতই উন্নয়ন হয়েছে যে এখন গ্রামবাসীরা মিলে পুলিশদের তাড়া করতে হয়।

  • image

    Md Nasim Wahid

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    গ্রামে গ্রামে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে অন্যায় দেখলেই তাড়া করতে হবে

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    দেশবাসী সবাই জেগে উঠুন কাল আপনার ছেলেকেও এইভাবে বিনা অপরাধে জেলে যেতে হতে পারে।

  • image

    Azizul Hoque

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    সাবাস গ্রামবাসী ! এভাবেই সজাগ থাকতে হবে ৩০ তারিখ !!

  • image

    mahamud

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    Wake-up people.

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    গ্রামে-গ্রামে, পাড়ায়-পাড়ায়-দুর্গ গড়ে তোলো।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    সময় থাকতে সাবধান হউন।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    শাবাশ বীর বাঙালি, শাবাশ!!

  • image

    Arifur Rahman

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    সারাদেশে যেখানেই অন্যায় হোক না কেন, যেই অন্যায়কারী হোক না কেন, সবাই মিলে প্রতিরোধ করুন। আমরা এ যুগের মানুষ নিজের সাথে অন্যায় না হওয়া পর্যন্ত চুপ করে থাকি। চোখের সামনে অন্য মানুষের উপর অন্যায় হলে শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি কিন্তু কেও কিছু বলিনা। মনে রাখবেন যখন আপনার সাথে অন্যায় হবে মানুষও তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে। তাই একে অপরের পাশে দাঁড়ান। যেকোনো অন্যায়ের বিরুধধে প্রতিবাদ করুন।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    ঐ গ্রামের মানুষের কি পরিনতি হলো তার খবরও আমরা জানতে চাই।

  • image

    Masud Parvez

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    পুলিশের বর্তমান অবস্থা যদি পরিবর্তন না হয় সারা দেশ একদিন জালালসাপ গ্রাম হয়ে উঠবে। পালাবার পথ পাবেনা। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস, ধারক, বাহক এটা সেদিন পুলিশ হারে হারে টের পাবে।

    • image

      Masud Parvez

      ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

      দুঃখিত হাড়ে হাড়ে টের পাবে।

  • image

    Fatima

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    তার পরের কি খবর জানতে চাই

  • image

    Shakib Khan

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    এখন ঐ গ্রামের মানুষেদের নামে বেশুমার গায়েবী মামলা দাঁয়ের করা সময়ের ব্যাপার!!!

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    Go ahead till Dec.30 & take action.Good people.

  • image

    MMKhan

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    জাগো বাহে কোনঠে সবাই…………….

  • image

    মেহেদি হাসান

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    নবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সামছুল ইসলামে বলেন, তাঁরা খবর পান যে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আসামি অবস্থান করছেন। তাঁদের ধরতে গেলে গ্রামবাসী ভুল বুঝে তাড়া করেন।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    এই গ্রামবাসিকে আমার অভিনন্দন। এভাবেই জনগন অন্যায় এর প্রতিবাদ করবে।

  • image

    Samama

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    This incident (rebellion against police) is very bravery for the people. If people wake up, anything can be happened. And I hope the best for the betterment of my beloved country.

  • image

    গোপাল বোষ

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    এভাবেই কাজ করতে হবে। রুখে দাঁড়াতে হবে অসুরের বিরুদ্ধে। তবেই জয় সুনিশ্চিত।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    আমরা নীরব আল্লাহ বিচার করবেন এই বৈরী আচরণ দাতাদের। দুনিয়াতে না হয় আখেরাতে।

  • image

    Musafir Mahmud

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    রেজা কিবরিয়ার বাবা মারা গেলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে নিয়ে বি, এন, পি,র ধানের শীষের সন্ত্রাসীদের হাতে। আর, সেই ধানের শীষ নিয়ে এখন নির্বাচন করছে রেজা কিবরিয়া। নরাধম অপদার্থ ছেলে বাবার হত্যাকারীদের সাথে হাত মিলিয়েছে এম পি হওয়ার আশায়। এই রকম ক্ষমতা লিপ্সুদের ঘর বাড়িতে কুখ্যাত ব্যক্তিদের আস্তানা থাকতে পারে। এদের বাড়ি ঘরে পুলিশের তল্লাশি চালানো কোন অন্যায় নয়।

  • image

    শেখ সায়ফুল্লাহ

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    সাবাস! আপনাদের প্রতিরোধ আমাদের আশা জাগাচ্ছে! আপনারা এগিয়ে যান। আমরা আপনাদের সাথে আছি। - - - পুলিশকে আওয়ামীলীগ কোথায় নামালো! একবার কি তারা ভেবে দেখবেন?

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

    বীর বাঙ্গালী তুমি দেখিয়ে দাও। তুমি স্বরূপে ফিরে আসো। তুমি এক হলে কোন কিছুই বাধা হয়ে উঠবে না।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

    দেশের মালিকানা বুঝে নিনঃ স্তম্ভিত দেশবাসী, স্তম্ভিত দুনিয়া, সীমাহীন নির্যাতনের মাঝে ভোট আসছে ঘনিয়া। নিবর্তনমূলক আচরণেও জনগণ আজ একাট্টা, রুখে দিয়ে সকল বাধা ভোটে যাবে বাপের বেটি ও বাপের বেটা। কেন্দ্রে যাবে ভোটার, ভোট দিয়ে বসাবে পাহারা, রুখে দিবে ভোট ডাকাতি, পাল্টে দিবে ভোটের চেহারা। ভোট দিন দেশের মালিকানা বুঝে নিন, গণতন্ত্রের বিকল্প গণতন্ত্র, নয় মোটেও উন্নয়ন। উন্নয়ন গণতন্ত্রের যৌক্তিক ও স্বভাবজাত ফল, গণতন্ত্র বাদ দিতে বলে যারা তারা ইতিহাসের খল।

সব মন্তব্য