ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলেছে ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টি (জেপি)। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জেপির মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম এ অভিযোগের কথা বলেন।
দলের কয়েকজন প্রার্থীর প্রচারে বাধা ও হামলার অভিযোগ তুলে শহীদুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কুড়িগ্রাম-৩ আসনে তাঁদের দলের প্রার্থীর গাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর চালিয়েছে। এতে প্রার্থীসহ ৫ থেকে ৬ জন আহত হন। ওই নির্বাচনী এলাকার বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রচার চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া ঢাকা-৬ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুব্রত চৌধুরীর ওপর যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হামলা করেছে সেই একই প্রতিপক্ষ আমাদের প্রার্থীর ওপরও হামলা করেছে। আমরা এসব বিষয়ে সচিবের কাছে প্রতিকার চেয়েছি।
আপনাদের প্রার্থীর ওপর কারা হামলা করেছে জানতে চাইলে শহীদুল ইসলাম বলেন, কুড়িগ্রামে আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগই এই হামলা চালিয়েছে। আর ঢাকা-৬ আসনে আমাদের প্রতিপক্ষ হচ্ছে লাঙল। তিনি জানান, এসব হামলার বিষয়ে তাঁরা শরিক দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন।
এইচএম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (প্রতীক লাঙল) বর্তমান সরকারের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করছে। তফসিল ঘোষণার পর এই প্রথম শরিক কোনো দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানানো হলো।
শহীদুল ইসলাম বলেন, জোটের মধ্যে যেসব আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে প্রচারণায় খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। তবে, উন্মুক্ত আসনগুলোতেই এই হামলার ঘটনা ঘটছে।
অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন উল্লেখ করে জেপির মহাসচিব বলেন, এবারের সংসদ নির্বাচনটি দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এজন্য এই নির্বাচন এই সরকারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অনুষ্ঠিত করতে পারলে ভবিষ্যতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন উঠবে না।
কমিশন সরকার দ্বারা প্রভাবিত: বিএনএফ
জোটবদ্ধভাবে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও গত ৫ বছর সরকারের প্রতি আকণ্ঠ সমর্থন দিয়ে আসা বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনএফ) এবার আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কথা তুলল। বর্তমান সংসদের এমপি ও দলটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বাধীন দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে বর্তমান কমিশন সরকার দ্বারা প্রভাবিত এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা সরকারি দলের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনএফ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সারা দেশে তাদের ৫৫ জন প্রার্থী রয়েছে। তারা সকলেই হুমকির মুখে রয়েছে। তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে।
প্রথমে তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগ উভয় দলের পক্ষ থেকে হামলার শিকার হওয়ার কথা জানালেও পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাদের প্রার্থীরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছেন। আর সরকারি দলের দ্বারাই তারা এই নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সরকারের দ্বারা প্রভাবিত বলেও তিনি এ সময় দাবি করেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
রিদওয়ান বিবেক
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
কিছুদিন আগে টক শোতে চড়া গলায় এই ব্যক্তিই বলেছিল মেরে কেটে হলেও আমরাই জিতবো।
Ghotok Ferdous. E-mail: [email protected]
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
শহীদুল ইসলাম বলেন, জোটের মধ্যে যেসব আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে প্রচারণায় খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। তবে, উন্মুক্ত আসনগুলোতেই এই হামলার ঘটনা ঘটছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
যাও সোনারা আওয়ামী লীগের সাথে আরো গলাগলি করে নির্বাচন কর।
MMKhan
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
শেখ শহীদুল তো শুধু হাসিনার জোট-বন্ধু নয়, রাজনীতিতে বিচরণ করা তার অসংখ্য চাচাত -মামাত-খালাত-ফুফাত ভাইদের কেউ একজন! আসলে, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
হা হা হা...গৃহপালিত ভাড়েরাও আক্রমণের শিকার!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
উনি টক শো গুলোতে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে কথা বলতেন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
আবুল কালাম আজাদের সাত জনমের ভাগ্য যে, বিএনএফ নামক একটা অখ্যাত পার্টি থেকে গতবার গুলশান-বনানীর মতো একটা আসন থেকে বিনা ভোটের এমপি হইছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
অভিযোগ করে লাভ নাই ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
ক্ষমতায় বসার পর থেকেই সংবিধান সংশোধন করে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করে, বিরোধী পক্ষকে বিভাজিত করে তিনি তাঁর ক্ষমতাকে সুসংহত করেছেন। একই পন্থা অবলম্বন করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিংবা রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে। এ ক্ষেত্রে তিনি এমনকি আদালতকেও ব্যবহার করেছেন বিরোধী পক্ষের নেতাকে দণ্ডিত করে নির্বাচনের অযোগ্য করে তুলতে। বিভিন্ন দোহাই দিয়ে ফ্যাসিজম বারবার ফিরে আসে। ইতালিয়ান দার্শনিক উমবার্তো ইকোর মতে, ফ্যাসিজম নতুন নতুন ছদ্মবেশ নিয়ে ফিরে আসে। এখন যেমন ফ্যাসিজম উন্নয়ন মডেলের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। সঙ্গে থাকছে, ইতিহাসের গৌরব এবং সংস্কৃতি ও প্রগতির বড়াই। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আড়ালে ফ্যাসিবাদকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
M HASAN FUAD
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
আওয়ামী লীগের আসলে কোন বন্ধু নেই। তারা যখন যাকে প্রয়োজন তখন তাকে শুধু ব্যবহার করে।
আন্দালিব প্রেতত্মা ২
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
হাটে ভেঙে হাঁড়ি দিলেন তো??
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
আওয়ামেলীগ নিজেরা তো সন্ত্রাস করছেই পুলিশকেও সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত করতে চাইছে ।
md. mahmudul hasan
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
ha ha ha ah . . . ...........
Kamrul Hasan
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
Election/Selection?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
আপনি এসব কথা না বলে সাহস থাকলে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন ।
At@ur
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
শুধু বোবা আর কানারা বাদে সবাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। অথচ কোন বিচার নাই।
নাসিম
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
নৌকা মার্কা নেয়ার শখ হয়েছিল ত এবার ঠেলা সামলান
শেখ সায়ফুল্লাহ
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছেন আর মার খাবেন না তা তো হতে পারে না! ভুগতে আপনাদের হবেই।
তাসলিমা বেগম
২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮
শত্রু হোক কিংবা মিত্র, আওয়ামী লীগের হাত থেকে রেহাই মিলছে না কারো। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে প্রমান করে দিল পুলিশ–র্যাব বেষ্টিত হয়ে পেশীশক্তি প্রয়োগে তাদের কোন জুড়ি নেই