নির্বাচন মানেই আচরণবিধি লঙ্ঘন, ভোটে জিততে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় ও প্রতিপক্ষের ওপর হামলা–সংঘর্ষ ইত্যাদি। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় এর অনেকটাই ব্যতিক্রমী ছিলেন ক্রিকেট তারকা ও নড়াইল-২ (লোহাগড়া-সদরের একাংশ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজা। অর্থ দিয়ে কিংবা প্রতিপক্ষকে আঘাত করে নয়, ভালোবাসা আর যোগ্যতা দিয়েই সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং ভোট চেয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মী ও উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে গতানুগতিক নির্বাচনী পরিবেশ থেকে মাশরাফির বেরিয়ে আসার এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নির্বাচনী খরচ বাবদ প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ের কথা মাশরাফিকে ধারণা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা। তিনি তখন সাফ জানিয়ে দেন, ‘টাকার বিনিময়ে কেন ভোট হবে? আমাকে যোগ্য মনে করলে লোকে ভোট দেবে। যোগ্য মনে না করলে ভোট দেবে না।’
নির্বাচনী প্রচারণাতেও বারবার মাশরাফি বলেছেন, ‘আমাকে যোগ্য মনে করলে বিবেচনা করবেন।’
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ইতনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ সিহানুক রহমান বলেন, ‘মাশরাফি এ পর্যন্ত নির্বাচনসংক্রান্ত কোনো টাকা খরচ করেননি। আমরা আওয়ামী লীগ নেতারা প্রত্যেকে যার যার এলাকার দায়িত্ব নিয়ে নির্বাচন চালাচ্ছি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং লোহাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান শিকদার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাশরাফির পরিবার থেকে এক কাপ চাও খাইনি। টাকা ছাড়া যে নির্বাচন হয়, তা এই প্রথম দেখলাম। তবে মাশরাফির প্রতি সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহ থাকার কারণে এটি সম্ভব হচ্ছে।’
নির্বাচনী প্রচারণার জন্য মাশরাফি ২২ ডিসেম্বর নড়াইলে আসেন। পথসভা ও মতবিনিময় মিলে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ বার বক্তব্য দিয়েছেন। সব জায়গায় এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যে ছিল তাঁর বক্তব্য। এসব বক্তব্যে তিনি প্রতিপক্ষ দল বা প্রার্থীদের কারও প্রতি বিষোদ্গার করেননি।
নির্বাচনী প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কাজ মাশরাফি করেননি। মাশরাফির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপির) চেয়ারম্যান এ জেড এম ফরিদুজ্জামান। নির্বাচনী প্রচার নিয়ে এনপিপির জেলা আহ্বায়ক বেলাল আহমদ বলেছেন, মাশরাফি খুবই ভালো মানুষ। প্রতিপক্ষকে সম্মান দিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, মাশরাফির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
মাশরাফির জন্য সর্বোচ্চ শুভ কামনা। বিশ্বাস করি, মাশরাফি নিজের সততা আর পরিশ্রমের বিনিময়ে আমাদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ধারার জন্ম নিবে। নড়াইল-২ আসনের রাজনীতিকে মানুষ মানদণ্ড হিসাবে ভবিষ্যতে বিবেচনা করতে বাধ্য হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
Real LEADER
Masud Parvez
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
মাশরাফির কি উচিত অনুচিত তা তিনি যথেষ্টই জানে। তবে তিনি যদি প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতো খুব ভালো লাগতো সবার। ম্যাশ মানেই শুদ্ধতার উদাহরণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
Mash should have resigned from bob and then do the MP election. Ethically you can’t do both. Upazilla chairmen were not able to do MP election. Mashrafe can’t do it either.
Maruf Ahmed
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
Mash isn't a govt. employee...So he doesn't need to resign. Look at the BCB president or other BCB directors.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
তার প্রতিপক্ষ যে, সেও দেখবেন তারে ভোট দিবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
সবাই মাশরাফি ভাইয়ের মতো হলে তো এই দুর্ভোগ পোহাতে হত না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
We still live in a country where everyone knows that Mashrafe is a very good human-being, but just because of his AL political stand, BNP-Jamati will think him as a bad person.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
এটা ওদের সহজাত স্বভাব । কারন তাদের চরিত্র এটাই।
আন্দালিব
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
মাশরাফিকে আমি শ্রদ্ধা করি তার সততার জন্য। উনি যদি কপট ও স্বার্থপর হতেন তবে নিজের ক্রিকেট ইমেজ নিয়ে চব্য চোষ্য লেহ্য পেয় ভোগ করার সকল সুযোগ ভোগ করতে পারতেন। তিনি জানতেন রাজনীতিতে নামলে তার প্রতি ভালবাসা বিভাজিত হয়ে যাবে, তবুও সে রিস্ক তিনি নিয়েছেন। কারন বুকের ভেতর যে আদর্শ লালন করেন সে আদর্শকে নিজের শুদ্ধ ইমেজের মিশেলে অনুকরনীয় এক উদাহরন তিনি সৃষ্টি করেছেন। জয়তু বস.... ইউ আর রিয়েল সুপার হিরো
Kazi Mohammad
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
সততার সবকিছু সবসময় অতুলনীয় হয়।
Al Hasan
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
এমন খবরে আমরা সুন্দর ভবিষ্যতের, আগামীর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি।এমন খবর বেশি বেশি প্রচার হোক। এগিয়ে যাক বাংলাদেশ ।
Mosta Masum
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
কাল মাশরাফির ভাগ্যে কি আছে তা আল্লাহ জানে।কিন্তু ওরা কোথায় যারা কোনো কিছু না জেনে অকারণে মাশরাফির বদনাম করে।তারা এমনই যারা ঘরের বউর বদনাম করতে একবারও ভাবে না।আওয়ামী লীগ খারাপ হতে পারে কিন্তু মাশরাফির মতো ভালো লোকেরা একসময়ে আওয়ামী লীগে বেশি হলে পুরা আওয়ামী লীগই ভালো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
হুম... কারন মাশরাফি হেলমেট ছাড়াই এখন বাইকে উঠতে পারে... যা আগে পারতো না...
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
কত যে কষ্ট মনের গহীনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
মাশরাফিকে কেনা যায় না। মাশরাফি নিশ্চিত ভাবেই সব জেনে শুনেই বিশ্বাস করেছেন যে শেখ হাসিনার সরকারে থাকলে তার দেশ সেবার সুযোগ থাকবে। এটা সবাই জানেন আওয়ামী লীগ বা বিএনপি একটা বড় হাতি। দেশের বাস্তব পরিস্থিতিতে কোন দলই শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত নয়। এটা ঠিক হতে সময় নেবে। কিন্তু এটাও সত্যি আওয়ামী লীগের মাথায় দুর্নীতি নেই। তার নেত্রী নিজে সৎ ও দেশ প্রেমিক নেত্রী। এতিম অনাথের টাকার লোভ সামলাতে পারে না এমন নেত্রী অন্তত হাসিনা নন। এই পার্থক্যটা বিরাট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
Very good so far, however, once elected as an MP, I am sure, he won't be able to remain as an innocent, honest person because he will have to be an Awami leaguer, and Awami league never welcomes and values good people, Awami league have always valued people like Bodi family, Osman family, Rana family (Tangail), Hazari family etc. Etc.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
Mashrafee breaks senior leaders Tradition of election campaign...not to blame opposition..!! নির্বাচনী প্রচারণার জন্য মাশরাফি ২২ ডিসেম্বর নড়াইলে আসেন। পথসভা ও মতবিনিময় মিলে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ বার বক্তব্য দিয়েছেন। সব জায়গায় এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যে ছিল তাঁর বক্তব্য। এসব বক্তব্যে তিনি প্রতিপক্ষ দল বা প্রার্থীদের কারও প্রতি বিষোদ্গার করেননি। প্রতিপক্ষকে সম্মান দিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, মাশরাফির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
Deepak Eojbalia
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
In average count, he is a good man.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
লা-্জোয়াব, মাশরাফি।
Aslam Bhai
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
ইশ! আমাদের যদি ২৯৮ টা মাশরাফি থাকতো।
SHAMEEM
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
বিএনপি'র আক্ষেপ!!!!!!!!!!
Nazmul Kabir
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনের মাঠে নুতুন তো, পরবর্তী নির্বাচনে বোঝা যাবে। উনি ক্রিকেট এর জনপ্রিয়তাকে এখন কাজে লাগাসসেন আর সরকারও উনার পক্ষে। কিন্তু উনি বি এন পি থেকে দাঁড়ালে বোঝা যেতো, মাঠে থাকতে পারতেন কি না ।
SHAMEEM
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
মাশরাফি বে-ওয়াকুফ নন যে তিনি মুক্তিযুদ্ধের বিরদ্ধে শক্তির পক্ষে দাড়াবেন।দরকার হলে নির্বাচনে যাবেন না তুবুও অপশক্তির হাতের পুতুল হবেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
Please avoid negative thinking. Appreciate the good work.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
যে মাশরাফি মুক্তিযোদ্ধাদের বলেন হিরো, সে জামাতের পক্ষে দাঁড়াবে ?? ছি!
Hasan Mahadi
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
অামি অাওয়ামী লীগকে পছন্দ করি না। কিন্তু মাশরাফি রাজনীতিতে যোগ দেয়াকে ইতিবাচক দেখছি। অনেকে ওনার উপর ক্ষেপে অাছেন। তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথা বলি: দেশকে পাল্টাতে হলে ক্ষমতা প্রয়োজন। সেটা যে কারো জন্য হোক। অাজ অাপনি অামি অাওয়ামী লীগ বিদ্বেষী বলে মাশরাফিকে তুলোধুনা করছি। কিন্তু একবার ভেবে দেখেছনে কি, মাশারফির মতো যোগ্য প্রার্থী কয়জন অাছে? তবুও অাপনার সহ্য হচ্ছে না। তবে মনে রাখবেন, অাজ থেকে ৩০ বছর পর যদি মাশরাফি দলের নেতা হয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে পারে, তাহলে অাজকের চেয়ে যোগ্য প্রধানমন্ত্রী পাবেন কিনা? স্বাধীনতার ৫ দশক চলে গেলেও অামরা যা পাইনি, অারো ৩ দশক অপেক্ষা করলে ক্ষতি কী?
Sagar
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
মাশরাফি বয়সে তরুন হলে ওঁকে সন্মান করি,ভালবাসি! Melbourne তাঁর চিকিত্সা হয়েছে দেখতে যেতে পারিনি,সেবার সুযাোগ হয়নি! কারন তাঁর ভক্ত এতো বেশী আমার কোনো সুযোগই ছিলনা! সে একজন অসাধারন মানুষ। বাংলাদেশে এমন মানুষদের ইজ্জত রক্ষা হবে কিনা কে জানে! তাঁকে ব্যবহার করে আওয়ামিলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ আবার ক্ষমতার স্বাদ নিয়ে বংগবনধুর মতো তাকে অজনপ্রিয় করে তোলে কিনা তা ভবিষ্যত্ই বলে দেবে! তোমার ও তোমার দেশের জয় চাই আমাদের প্রিয় ম্যাশ!
Rezanul Islam
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
মাশরাফির জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো .......
udayan infotech
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
আমরা কোন কিছুকে পজেটিভ ভাবে দেখতে পারিনা কেন!!! মাশরাফির নির্বাচনে জয়-পরাজয় যাই হোক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমাদের গতানুগতিক পদ্ধতি থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। জয় হোক তারুন্যের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
মাশরাফিদের সমস্যা একটাই - ইমোশন দিয়ে ক্রিকেট ভাল চলে। রাজনীতিতে অনেক রকম কূটকৌশল লাগে। ভিন্ন রকম ব্রেইন লাগে। সব ভাল মানুষ ভাল রাজনীতিবিদ হতে পারে না।