টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে মহাজোটের আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি উভয় দলের প্রার্থীই প্রতিদ্বন্দিতায় থাকবেন। গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছানোয়ার হোসেনের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা এসেছিল। গতকাল রাতে আবার দলের উচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত এসেছে, এ আসনে নৌকার প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দিতায় থাকবেন।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, টাঙ্গাইল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন শুক্রবার ঢাকায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল হক আলমগীর ও সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ শনিবার সকালে প্রথম আলোকে জানান, দলীয় প্রধান ছানোয়ার হোসেনকে নির্বাচনে থাকতে এবং বিজয়ী হওয়ার জন্য সর্বাত্মক কাজ করার কথা বলেছেন। রাতেই ছানোয়ার হোসেন টাঙ্গাইলে ফিরে কর্মীদের নৌকাকে বিজয়ী করতে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেন।
আজ শনিবার সকালে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের এক সভা হয়। সভায় সকল বিভ্রান্তির অবসান ঘটিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছানোয়ার হোসেনকে বিজয়ী করার জন্য নেতা-কর্মীদের কাজ করতে বলা হয়।
এ আসনটির দাবিদার ছিল জাতীয় পার্টি। আওয়ামী লীগ বর্তমান সাংসদ ছানোয়ার হোসেনকে মনোনয়ন দেয়। জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেন দলের জেলা শাখার আহ্বায়ক শফিউল্লাহ আল মুনির। তখন বলা হয়েছিল এ আসনটিতে জোট হবে না। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি উভয় দলের প্রার্থীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে। গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও সমাবেশের মাধ্যমে টাঙ্গাইলের সবগুলো আসনের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন। কিন্তু টাঙ্গাইল-৫ আসনের প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেননি। সেখানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘টাঙ্গাইল-৫ আসনে আমরা ছানোয়ার হোসেনকে মনোনয়ন দিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের জাতীয় পার্টির শফিউল্লাহ আল মুনির সেও প্রার্থী। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের মহাজোটের সমঝোতা হয়েছে। কাজেই ঐক্যটাও আমাদের ধরে রাখা একান্তভাবে প্রয়োজন।’
এ আসনে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি থেকে মাহমুদুল হাসান (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলনের খন্দকার ছানোয়ার হোসেন (হাতপাখা), বিএনএফ’র শামীম আল মামুন (টেলিভিশন), খেলাফত আন্দোলনের সৈয়দ খালেদ মোস্তফা (বটগাছ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবু তাহের (আম) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী (মাথাল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মীর মাজেদুর রহমান সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ ও ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মাহমুদুল হাসান সাংসদ নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯৪ সালে সাংসদ মাহমুদুল হাসান বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আব্দুল মান্নান সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সাংসদ হন মাহমুদুল হাসান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আবুল কাশেম সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এ আসনে মনোনয়ন দেয় বর্তমান সাংসদ ছানোয়ার হোসেনকে।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
একজন সৎ ও যোগ্য প্রার্থী হিসেবে এবং সরকারের উন্নয়নের টর্নেডো ইতিমধ্যে ছানয়ার হোসেনকে অনেক এগিয়ে রেখেছে। জয় হোক নৌকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
ভাল সিদ্ধান্ত। ছানোয়ার হোসেন ভালো মানুষ। আওয়ামী লীগ কমপক্ষে ৩০০০০ ভোটের ব্যবধানে জিতবে। ছানোয়ার হোসেন না থাকলেও জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্শ্চিত হারত।
Suman
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
Sanowar Vai Is A Gentle And Polite Person.We Should Vote For Him.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
সংসদীয় আসন ১৩৪ঃ টাঙ্গাইল-৫ এখানে জোট থেকে যেকোনো একজনকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে রাখা উচিৎ ছিলো । এই আসনটিতে উপরোল্লিখিত দুজন প্রার্থীই (ছানোয়ার এবং মুনির সাহেব) ভালো মানুষ । সর্বশেষ ঘোষিত সিদ্ধান্তের জন্য আসনটি মহাজোটের তথা আওয়ামীলীগের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রতীয়মান হয়েছে বলে আমি মনে করি । আসনটিতে এখন বিএনপি থেকে মাহমুদুল হাসান (ধানের শীষ) অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী (মাথাল) জয়লাভ করবেন বলে মনে হয় ।
Md. Mehedi Hasan
২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮
আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষন হলোঃ টাঙ্গাইল-৫ আসনটিতে সফিউল্লাহ আল মুনির সাহেব জয়ী হবেন এবং মাহমুদুল হাসান সাহেব ২য় অবস্থানে থাকবেন ।