নাটোরে ধানের শীষের ভুয়া এজেন্ট বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক ও নাটোর প্রতিনিধি ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮

শহীদুল ইসলাম ও নওয়াজ শরীফ নামের দুজনের কাছে এজেন্টের পরিচয়পত্র ছিল। কিন্তু সেই পরিচয়পত্রে ছিল না ছবি আর অনুমোদনের সই। ধানের শীষের এই দুজন এজেন্টকে পরে নাটোর সদরের বড়গাছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা স্বপন কুমার কুন্ডু।

নাটোর-২ আসনের এই কেন্দ্রে এমনিতে নৌকা ছাড়াও অন্যান্য প্রতীকের এজেন্ট দেখা গেছে। একটি বুথে শহীদুল ও নওয়াজকে চ্যালেঞ্জ করা হলে তাঁরা দুজনই ধরা পড়ে যান। এই কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের চিফ এজেন্ট আমিনুল হককে পরে তাদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, ‘তাঁরা কেউই আমাদের তালিকাভুক্ত এজেন্ট নন।’

এদিকে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বড়গাছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে কিছুটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ দেখা যায়। এদিক-ওদিক ঘুরতে দেখা যায় বেশ কয়েকজন তরুণকে।

নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা নিয়ে গঠিত এই আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাবিনা ইয়াসমীন। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগের শফিকুল ইসলাম শিমুল।

মন্তব্য

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮

    ২০০৮ এর পরে জীবনে দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে নাটোর এসেছিলাম। কিন্তু নিজের ভোট দিতে পারলাম না। আজ সকালে বোন আর মাসহ সকাল ৮টায় গিয়ে লাইনে দাঁড়াই ভোট দে্ওয়ার জন্য। যদিও দীর্ঘ লাইন দেখিয়ে কয়েকজন ছেলে আমাদের বিকেলে এসে ভোট দিতে বলে। কিন্তু আমরা এখনই ভোট দেব। বুথে গেলে যথারীতি আমাদের ব্যালটও দে্য়ও হয়। কিন্তু বিপত্তি বাধে যখন ব্যালট নিয়ে গোপন কক্ষের দিকে যেতে চাই। কেন্দ্রের এজেন্ট আমাকে সবার সামনে ভোট দিতে বলে। আমি আপত্তি জানাই। ফলে আমাকে বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। এ অবস্থায় আমার বোনকে তাদের সামনে ভোট দিতে বাধ্য করে। আমার মা কথার মাঝে গোপন কক্ষে গিয়ে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আসে। ব্যালট ফেলতে যাওয়ার সময় তারা বলে, আন্টি আপনার ব্যালটটা দেখি। যখন দেখে যে ব্যালটে তাদের প্রতীকে ভোট দেওয়া হয়নি, তখন তা বক্সে না ফেলে একজন এজেন্ট নিজের কাছে রেখে দেয়। অসহায় আমি বিরক্ত হয়ে হাতপাখা বা হাতি কোন একটায় সিল মারি। এতে তারা আমাকে আরও বাজে কথা বলে। বাইরে এসে চোখ মুছতে মুছতে বাসায় আসি। ভোট পছন্দের প্রার্থীকে না দিতে পারার কষ্টে না, বরং নিজের অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে যেভাবে অপমানিত হতে হলো, সেই কষ্টে। অবস্থা দেখে আমার বাবা, আরেক বোন আর ছোট ভাই ভোটকেন্দ্র যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেয়। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একটি লক্ষ্য যদি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়ে থাকে, তবে এটি তার নমুনা? আমি বিশ্বাস করি গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন অর্থহীন। এমন একটি পরিস্থিতি এখন দেশে বিরাজ করছে, যেখানে নিজের ও পরিবারের স্বার্থে সত্য কথা বলতে আমার পরিচয় গোপন রাখতে হচ্ছে নাগরিক হিসেবে যেখানে আমার ভোটের অধিকারই নেই, সেখানে উন্নয়ন দিয়ে আমি কী করব?

সব মন্তব্য