পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, ভোট কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আটজন প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন। আজ রোববার সকাল আটটা থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট বর্জন করা আট প্রার্থীর মধ্যে সাতজন ধানের শীষ প্রতীকে লড়ছিলেন। আর একজন ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। আট প্রার্থীরই প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
ভোট শুরুর আড়াই ঘণ্টা পর প্রথম ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া খুলনা-৫ আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার। ওই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
মিয়া গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেন, ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া, দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের ঘটনাগুলো রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করার পরও কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তিনি ভোট বর্জন করছেন। তিনি বলেন, অবৈধ নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচন বৈধ করতে তিনি রাজি নন।
একই সময়ে ফরিদপুর-২ (নগরকান্দা-শালথা) আসনে বিএনপির প্রার্থী শামা ওবায়েদ ইসলাম নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ওই আসনের ১২৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০০টি কেন্দ্রে গতকাল শনিবার রাতেই ভোট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে যেসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, সেসব কেন্দ্রে বিএনপির কোনো পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এর প্রতিবাদে নিজেও ভোট দেননি শামা ওবায়েদ ইসলাম। ওই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
ঢাকা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমা ইসলাম ভোট জালিয়াতির অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করেছেন। আজ দুপুর ১২টায় নবাবগঞ্জ উপজেলার কামারখোলায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রয়েছেন সালমান এফ রহমান।
ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাগেরহাট-৩ আসনে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ ও বাগেরহাট-৪ আসনে জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য মো. আবদুল আলীম বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ভোট বর্জন করেন। বাগেরহাট-৩ আসনে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের স্ত্রী হাবিবুন নাহার আওয়ামী লীগের প্রার্থী। আর বাগেরহাট-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা-১ আসনের বিএনপি প্রার্থী আমির এজাজ খান, খুলনা-৩ আসনে রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ আসনের আজীজুল বারী হেলাল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁরা তিনজনই বিএনপির প্রার্থী। খুলনা-১ আসনে পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনা-৩ আসনে মুন্নুজান সুফিয়ান এবং খুলনা-৪ আসনে আবদুস সালাম মুর্শেদী আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
Md Jahidul Islam
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
গত নির্বাচনে অংশগ্রহণই করলেন না আর এবার করেও বর্জন করতেছেন। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
রিদওয়ান বিবেক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
গণতন্ত্র এখন নির্বাসনে।
Sengupta
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
যে সব প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন, তারা রাজনীতি থেকেও অবসর নিয়ে নতুন মুখকে প্রার্থী হতে সুযোগ দিন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
You Are 100% Right Mr. Sengupta
ABUSALEH
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
তোমার কাছে কেউ কি পরামর্শ চেয়েছেন?
ARIFUR RAHMAN
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
দেশ এখন ডিজিটাল তাই সময়ের আগে ভোট হয়ে যাচ্ছে
At@ur
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
সর্বত্রই একই চিত্র। কোথাও কম, কোথাও বেশী। হরিলুট চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
খুব ভালো করেছে
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
আওয়ামীলীগ সমর্থিত স্থানীয় নেতার (নিকটাত্বীয়-শশুরসম্পর্কীয়) সহায়তায় ঢাকা ১০ আসনের দুটি কেন্দ্রের মহাপরিকল্পনা দেখে এসেছি গত রাতেই (রাত সাড়ে ১০টা)। ৫০% ভোট রাতেই কেটে রাখা হবে। সকাল থেকে সারাদিন শান্তিপূর্ণ ভোট হবে যেখানে নিজের কিছু নিশ্চিত ভোটার থাকবে। তাতে আরও ১ বা ২% ভোট হলেই চলবে। জিগাতলা মল্লিক প্রিপারেটরী স্কুল, ফিউচার জেন ইন্টাঃ স্কুল কেন্দ্র। সব কেন্দ্রে হয়তো এমন মহাপরিকল্পনাই থাকবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
As i heard, some of them are Heavy-weight and stone-face candidates.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
I really feel sorry for Salma Islam, she served Dhaka-1 constituency really well for the last 10 years. I do not know why the current government did not give her nomination this time. Some people came from abroad just to cast their vote for her.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
দুনিয়ার বুকে জঘন্য এক নির্বাচনের জন্ম দিল আওয়ামীলীগ এবং তার সহযোগীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
প্রতিটি আসনেই ৫০% ভোট আগের রাতেই কেটে রাখা হয়েছে। সুতরাং বিএনপির একটি আসনও পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
যমুনা টিভি পাওয়া যাচ্ছ না!!!!!!
S Hossain
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
মহাপরাজয় অনুমান করতে পেরে উনারা চম্পট দিলেন
শহিদুল আলম
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা। নির্বাচনে জয়ি হতে হলে প্রস্তুতি দরকার। মাঠের শক্তি দরকার।এই রকম জগা খিছুরি ঐক্যফ্রন্ট করে আর যাই হোক নির্বাচনে জয়ি হওয়া যায় না।