বিএনপি দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভোটকেন্দ্র দখল, এজেন্ট বের করে দেওয়াসহ সহিংসতার নানা অভিযোগ তুলেছে। আজ রোববার সকাল ১০টা ও দুপুর ১২টার দিকে দুই দফা সংবাদ সম্মেলন করেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘গত রাত থেকে নির্বাচন পরিস্থিতি দেখে পরিষ্কার বলা যায় সরকার একতরফা নির্বাচন করছে। এটা একটা সহিংস নির্বাচন। মানুষ যাচ্ছে কিন্তু ভোট দিতে পারছে না।’
রিজভী অভিযোগ করেন, ‘বিভিন্ন আসনের কেন্দ্রে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস করছে। এখন পুলিশ, র্যাব, বিজিবি একসঙ্গে এই তাণ্ডবটা করছে। কোনো কোনো জায়গায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নেই। তারা গিয়ে ভোটারদের বলছে, ভোট কেন্দ্রে যাওয়া যাবে না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা বলেছেন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। এই হচ্ছে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের নমুনা।’
বিএনপি নেতা রিজভী অভিযোগ করেন, ঢাকার বিভিন্ন এলাকাসহ চট্টগ্রাম, ভোলা, নোয়াখালী, মেহেরপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, পিরোজপুর, গাজীপুর, কুষ্টিয়া, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, ফরিদপুর, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, নরসিংদী, বরিশাল, জামালপুর, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
রিজভী বলেন, ঢাকা ৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদকে শ্যামপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময়ে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয়ে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন কেন্দ্রে এজেন্টদের বের করে দেওয়া, প্রার্থী-সমর্থকদের ওপর হামলা, পুলিশ-র্যাব ও বিজিবির সহায়তায় ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সে ঢোকানো, ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী ও পুলিশি তাণ্ডব, কেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রতীকে সিল মারা, জাল ভোট দেওয়ার নানা ঘটনার তথ্যউপাত্ত তুলে ধরেন রিজভী।
রিজভী অভিযোগ করেন, ভোলা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদকে পুলিশ ঘরের বাইরে যেতে বাধা দিয়েছে। নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী মওদুদ আহমেদ ভোট দিতে বের হতে পারেননি।
সংবাদ সম্মেলনে দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহদপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
Rawnak Mustafa
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
আর মাত্র বাকী আছে ১ ঘন্টা। যে হারে ভোট বর্জনের ঘোষণা আসতেছে তাতে ৪টা বাজার আগেই উনারা ভোট বর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন - যেটা প্রি-প্লেনডই ছিল বলবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। সামনে দাঁড়িয়ে সিল দিয়েছে, কারো আগেই ভোট দেওয়া হয়ে গেছে, অনেক মানুষকে ঢুকতেই দেয় নি। এই ভোট শান্তিপুর্ন হয়েছে বলে মানতে হবে?
গোপাল বোষ
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
এটা তাহাদের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের নমুনা।
গোপাল বোষ
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
তাহারা যাহা চাহিয়া ছিল তাহাই আজ হইতে যাইতেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
BNP should reject this vote immediately, if they have some intelligence.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
BNP should not reject, but go to Internatioinal court.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
মানুষ ভোট দিতে পারে নাই। তাদের ভোট জালিয়াত করে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। আর বাইরে থেকে বলা হচ্ছে সুষ্ঠ নির্বাচন হয়েছে।
বিপ্লব ( কুয়াকাটা )
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোট সুন্দর হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
ইহাই সত্য এবং সুষঠু ! পছন্দ হলে এই দেশে থাকুন না হয় পালাতে পারেন!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
হাজার হাজার মানুষ বলতেছে ওরা ভোট দিতে পারে নাই। আর আপনারা বলতেছেন বিচ্ছিন্ন ঘটনা?
SHAMEEM
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
ইহাই সত্য এবং সুষঠু ! পছন্দ হলে এই দেশে থাকুন না হয় পালাতে পারেন!,,,,,,,পছন্দের মেরা ওয়াতান পাকিস্তানে।
Deepak Eojbalia
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
Why to abscond, you give opinions to strengthen the democracy. But none expect violence.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
সারাদিন পল্টনে বইসা থাকেন আরামে যেমন সারা বছর থাকেন/ পাবলিক আপনাদের সাথে নাই/
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
There are 2 public. one is AL. Other one is CEC.
SHAMEEM
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
আর সারাদিন "রিজভি গদ্য মহাকাব্য" রচনা করতে থাকুন। প্রতিদিন মানুষ বিনোদন পাবে।
শেখ সায়ফুল্লাহ
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভোট বর্জন না করার জন্য। ফলাফল পর্যন্ত থাকুন। সেখানেও বিনোদন লুকিয়ে আছে আমি নিশ্চিত।
jarif
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
জাতির মনে আছে, ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দেশের ইতিহাসে যে সেরা একটা নির্বাচন হয়েছিল, সেটাও আপনাদের চোখে সুষ্ঠু নির্বাচন ছিল না। সুতরাং আপনারা নির্বাচিত না হলেই সেটা কারচুপির নির্বাচন, এটা ঠিক না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
২০১৪ সালের নির্বাচনে আপনাদের কাজ ছিল ভোটার যেন ভোট দিতে না পারে (যেখানে ভোট হয়েছিল সেখানে)। কিন্তু সেটা পারেননি। আর আজ বলছেন আওয়ামী লীগ ভোটারকে বাধা দিয়েছে। তো এটাও আটকাতে পারেননি। এতেই কি প্রমানিত হয় না যে আওয়ামী লীগ আপনাদের চাইতেও বেশি ক্ষমতাশালী। তাহলে আর বেশি ঝামেলা না করে আওয়ামী লীগকে মেনে নেন আর আওয়ামী লীগ এর চাইতেও ভালো কি কি করতে পারেন সেটা জনগণকে বোঝান। জনগণের কাছে যান। গণতন্ত্রের শক্তি জনগণ। যে আওয়ামী সন্ত্রাসীর কথা বলেন, আপনাদের ৯৫% এর সামান্য কিছু লোক প্রতিরোধ গড়লেও তো সব উরে যেত। বাস্তবতা যত তাড়াতাড়ি বুঝবেন ততই মঙ্গল।
Deepak Eojbalia
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
People gave their votes, some exceptions everywhere.
Deepak Eojbalia
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
Highest symbol of democracy, USA , the allegations of vote counting also raised there. Scattered incidents would also occurr every where.
saad Ahmed
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
Mr Rezbi even Canadian observer say it was fair, free and peaceful election but you still lied about election