সুনামগঞ্জ জেলায় সংসদীয় আসন পাঁচটি। এর মধ্যে চারটিতে ভোটগ্রহণের সময় কিছু কিছু কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ-বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ক্ষেত্রে ব্যক্তিক্রম ছিল সুনামগঞ্জ-৩ আসন ( জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ)। এখানে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটের সময় কোনো উত্তেজনাও ছিল না। কোনো প্রার্থীও কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেননি।
এই আসনের আপাত শান্তিপূর্ণ ‘নির্ভেজাল’ ভোটের সর্বশেষ ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বিপুল ভোটে এগিয়ে আছেন। তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা জানিয়েছেন, বেসরকারিভাবে এখনো ফল ঘোষণা না হলেও কেন্দ্রভিত্তিক সংগ্রহ করা তাঁদের হিসেব মতে এম এ মান্নান বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। তাঁর কর্মী-সমর্থকদের দেওয়া হিসেবে অনুযায়ী এই আসনের সবকটি কেন্দ্রের ফলাফলে এম এ মান্নান নৌকা প্রতীকে মোট ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ৫২৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপি জোটের প্রার্থী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা শাহীনুর পাশা চৌধুরী পেয়েছেন ৫১ হাজার ২৫২টি। এম এ মান্নানের রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসাইন রাত পোনে নয়টায় প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আজ নির্বাচন চলাকালে শাহীনুর পাশা চৌধুরী ভোটের পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন নি।
রোববার দিনভর এই আসনের বেশিরভাগ কেন্দ্র ঘুরে শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের চিত্র দেখা গেছে, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ভোটারেরা এখানে অনেকটা উৎসবের আমেজে ভোট দিয়েছেন। কোনো কেন্দ্রে ছিল না কোনো উত্তেজনা, কারো কোনো অভিযোগ। এম এ মান্নান অবশ্য নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতেই তাঁর কর্মী-সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে নিদের্শনা দিয়েছিলেন। এই আসনে ভোটের আগে-পরে তাঁর নির্দেশনাই মেনে চলেছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা। তাই এই আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এম এ মান্নান ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এই আসন থেকে প্রথম সাংসদ হন। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয়বার সাংসদ হন। এরপর থেকে তিনি সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এলাকায় তিনি সজ্জন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত।
নির্বাচনী এলাকার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আইনজীবী বোরহান উদ্দিন দোলন প্রথম আলোকে বলেছেন,‘এম এ মান্নান গত ১০ বছর গোটা সুনামগঞ্জ জেলার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তিনি দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে একজন সৎ ও পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে পরিচিত। তিনি সহজ-সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তাঁর কাছে সব শ্রেণির মানুষ সহজেই যেতে পারে। তিনি সবার কথাই শুনেন, সবাই থাকে ভালোবাসে। ভোটের মাধ্যমে মানুষ আবার সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিয়েছে।’
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
This clearly proves that the AL would win even if the election were free and fair.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
এ ধরনের নেতাই চাই। তাঁকে দলমত নির্বিশেষে ভোট দেয়া যায়। এম এ মান্নানকে জয়ের জন্য অভিনন্দন।
Himu mama
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
অভিনন্দন