বড় জয়ের পথে ক্ষমতাসীনরা। ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে ভোট গণনা। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট জয় পেয়েছে ১৫৩টি আসনে। অন্যদিকে রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট জয় পেয়েছে ২টি আসনে।
আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোট হয়। বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও মহাজোটের শরিক দলগুলো অন্তত ৯০ শতাংশ আসনে এগিয়ে আছে।
এবারের নির্বাচনে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। মোট অংশ নেওয়া দলের সংখ্যা ৩৯টি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় গত ৮ নভেম্বর। এরপর একবার পুনঃ তফসিল করা হয়। এর ফলে ভোটের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর করা হয়।
৩৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নিলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা মূলত আওয়ামী লীগ (নৌকা) ও বিএনপির (ধানের শীষ) মধ্যে। ভোটে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দিচ্ছে মহাজোটের। ১৪-দলীয় জোটের নেতৃত্বেও আছে দলটি। আর বিএনপি আছে ২০ দলের নেতৃত্বে ও ড. কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক হিসেবে।
এবারই প্রথমবারের মতো ছয়টি আসনে ইভিএমে ভোট হচ্ছে। ইভিএমে ভোট হবে ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ ও সাতক্ষীরা-২ আসনে।
ইতিমধ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভোটের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃ নির্বাচনের দাবি করেছে। অন্যদিক আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসছে এমন ধরেই দলটি তাদের নেতা-কর্মীদের কোনো ধরনের বিজয় মিছিল করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়েছে।
একনজরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন:
ভোটকেন্দ্র: ৪০ হাজার ১৮৩টি
ভোটকক্ষ: ২ লাখ ৭ হাজার ৩১২টি
মোট ভোটার: ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন
পুরুষ ভোটার: ৫ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৫ জন
মহিলা ভোটার: ৫ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৩১২ জন
অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা: ৩৯টি
মোট প্রার্থী: ১ হাজার ৮৬১ জন
রাজনৈতিক দলের প্রার্থী: ১ হাজার ৭৩৩ জন
স্বতন্ত্র প্রার্থী: ১২৮ জন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৬ লাখ ৮ হাজার
ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকায় সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত ফোর্স সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৮ হাজার। এর মধ্যে পুলিশ প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার, আনসার প্রায় ৪ লাখ ৪৬ হাজার, গ্রাম পুলিশ প্রায় ৪১ হাজার। সেনাবাহিনী (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন) ৩৮৯টি উপজেলায় ৪১৪ প্লাটুন, নৌবাহিনী ১৮টি উপজেলায় ৪৮ প্লাটুন, কোস্টগার্ড (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন) ১২টি উপজেলায় ৪২ প্লাটুন, বিজিবি (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন) ৯৮৩ প্লাটুন, র্যাব (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন) প্রায় ৬০০ প্লাটুন ভোটের মাঠে নিয়োজিত আছে।
এ ছাড়া মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা (র্যাবসহ) প্রায় ২ হাজার প্লাটুন (প্রায় ৬৫ হাজার)। এ ছাড়া সারা দেশে জেলা ও মেট্রোপলিটনে পুলিশের টহল দল নিয়োজিত রয়েছে।
নির্বাচনে নিয়োজিত ১ হাজার ৩২৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মধ্যে আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য ৬৫২ জন, অবশিষ্ট ৬৭৬ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোবাইল বা স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে নিয়োজিত রয়েছেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৬৪০ জন, ১২২টি ইলেকট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটিতে ২৪৪ জন।
ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা
এবার ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে ৬৬ জন দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন জেলা প্রশাসক।
নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ৪০ হাজার ১৮৩ জন, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ২ লাখ ৭ হাজার ৩১২ জন এবং পোলিং অফিসার ৪ লাখ ১৪ হাজার ৬২৪ জন।
পর্যবেক্ষক
নির্বাচনে দেশি ৮১টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন এবং ওআইসি ও কমনওয়েলথ থেকে আমন্ত্রিত ও অন্যান্য বিদেশি পর্যবেক্ষক ৩৮ জন, কূটনৈতিক বা বিদেশি মিশনের কর্মকর্তা ৬৪ জন এবং বাংলাদেশে দূতাবাস বা হাইকমিশন বা বিদেশি সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি ৬১ জন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
রিদওয়ান বিবেক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
এই জয় পরাজয়ের চেয়েও করুণ।
Mr.RupoM.
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
বিএনপি জামাত জোটের করুন পরাজয়ে এবার কান্নাকাটি করতে পারেন। পরাজিত দল কখনো বিজয়ের স্বাদ পায় না। এটা আপনাকে দেখলেই বুঝা যায়।
Humayun Kabir
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
এই বাক্য ছাড়া গোহারা পরাজয়ের আর কি সান্ত্বনা আছে !!?
মহম্মদ সালাউদ্দিন
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
আজ গণতন্ত্র সাবালক হল। ইংল্যান্ড, আমেরিকা, জার্মানি আর অন্যান্য উন্নত বিশ্বের দেশের মত ক্ষমতাশীল দলের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হল এবং জনগণের রায়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলল আমাদের সোনার বাংলাদেশ। এই নির্বাচন দেখিয়েছে বাংলার মাটিতে স্বাধীনতাবিরোধী আর ধর্ম ব্যবসায়ীদের কোনও স্থান নাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
হমম! ডাক যখন আসবে তখন বুঝবেন। তা যেসব দেশের নাম নিলেন। গিয়েছেন কখনো?
jarif
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
এত সুন্দর শিরোনাম প্রথম আলো আজ কীভাবে করল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
এ নিউজ না করাই ভালো আমরা সবাই জানি কি হয়েছে
শিপন England
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
আপনি না লিখলেও পারতেন ?
Faruk Ahmmed
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
This is very bad election in the history of the India subcontinent.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
আ. লীগ এবার সুযোগ করে দিল- তত্তাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্রবাচনের কোন বিকল্প নেই।
MD.ABDUR RAHMAN
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
এ বিজয়ের জন্য জনগণ দায়ি নয়। তাদের ধন্যবাদ দিয়া কিংবা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিয়া লজ্জা দিবেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
বিরোধী দলীয় নেতা কে? এরশাদ নাকি রওশন?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন। যদি জাতীয় পার্টি বিএনপির তুলনায় বেশী আসন পায় তবে তা নিশ্চিতভাবেই জাতির সাথে প্রহসন বলে প্রতীয়মান হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
২০১৪ তে ইলেকশনে না দাড়িয়েও জিতেছিলেন এরশাদ ২০১৮ তে ইলেকশনে ভোট না দিয়েও জিতলেন এরশাদ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
আর পরাজিত বাংলাদেশ 🤐
Shan*Is*Back
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
আমরা কি আরও পাঁচ বছরের জন্য....
Humayun Kabir
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
রাজাকারমুক্ত সংসদ পেলাম !!!
শিপন England
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
বি এন পি জামাত কামাল গ্রুপ সফল না হয়ার কারন ,৮০০ মনোনয়ন পেপার জমা দেয়া , যারা মনোনয়ন পান নি এদের ক্ষোভ ,মান্না কামাল ,রব ,কাদের সিদ্দিকি এদের জনপ্রিয়তা নাই এদের ব্যাবহার , জামাত নিয়ে কথা বলা খামোশ , এজেন্ট দিতে না পারা নির্বাচন করবে কি করবে না , কর্মীদের হতাসা সব কিছু মিলিয়েই তারা ভোট কেন্দ্রে অনুপস্থিত ই পরাজয়ের কারণ ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
দেশের মানুষ জানে
Azizul Hoque
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
নাসিম পেয়েছেন ৩ লাখ ২৪ হাজার ৪৩৬ ভোট। ধানের শীষের প্রার্থী কনকচাঁপা পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৮১ ভোট। এ কেমন নির্বাচন, এ কেমন ফলাফল ?
SHAMEEM
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
এটাই তো প্রাপ্য ছিল। আপনি কি ভেবে ছিলেন? নাসিম পেয়েছে ৩২৪৪৩৬ আর কনকচাপা পাবে ৩২৪৪০০ ভোট?
Sengupta
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
৪৭ বছর পর জামায়াত মুক্ত হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
ফেনীর নিজাম হাজারী একটি কেন্দ্রে ৩১৬৭ টি সঠিক ভোটের ৩১৬৭ ভোট পেয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
ভোট চুরি, ডাকাতি এই সব শব্দ বাদ দিয়ে্ নতুন কোন শব্দ ব্যবহার করার জন্য সবার চিন্তা করা উচিৎ।
Sohel
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
সত্তরের নির্বাচনের মতো বিএনপি যে মুসলিম লীগের পরিনতি বরণ করবে তা অনুমেয়ই ছিল |
Moazzma H
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
গণতন্ত্রের জয় । দেশি বিদেশীরা পর্যবেক্ষকদেড় কাছে আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে বলে প্রসংশিত। সবচেয়ে বড়কথা দেশের মালিক আমজনতার দৃষ্টিভঙ্গির ম্যাচুরিটি এসেছে । পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলির ভোটাররা যেমন অর্থনৈতিক ইস্যুটাকেই মূল বিবেচনায় নিয়েছে, এবার উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনার ইশ্তেহারকেই দুহাত দিয়ে ভরে দিয়েছে। জয় বাংলাদেশের জয় । দুর্নীতিমুক্ত উন্নয়নের পথ কাটামুক্ত হলো । আশা করবো বিরুধীদল গুলিরও আমজনতার দৃষ্টিভঙ্গির মতো ম্যাচুরিটি আসবে ।
Mr.RupoM.
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
আওয়ামীলীগ সহ সবাইকে অভিনন্দন। এই বিজয় দেশ বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে এবং উন্নয়ন আর অগ্রগতির পক্ষে এক বিশাল বিজয়। জয় বাংলা।
mohammad rahman
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
এখন নিশচয়ই বুঝতে পেরেছেন ২০১৪ সালে ইলেকশনে গেলে বিএনপির কি হত ! সেটাই ইলেকশনে গিয়ে এবার বিএনপি বুঝিয়ে দিল -
Mr.RupoM.
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
যেই পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে যেতে ভয় পেয়েছিল সেই অবধারিত পরাজয় এবার আরো বড় আকারে ধেয়ে এল!!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
২৮০ টি সিট নিয়ে আওয়ামি লীগকে রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালি হল - না সরকার হিসাবে শক্তিশালি হল
msIqbal
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
শুধু বিএনপির এজেন্টের কথা বলছেন। কেন্দ্রে তো অন্য প্রার্থীও এজেন্ট ছিল! শুধু বিএনপির এজেন্ট ছিল না এই কারনে নির্বাচনকে প্রশ্নবিব্ধ করাটা কি উচিত?
Dr. M Billah
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
লাঙলের জনপ্রিয়তা ধানের সীষ থেকে বেশী! এইটাও বিশ্বাশ করতে হবে?