প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রীদের অধিকাংশই বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। বর্তমান মন্ত্রীদের ২৯ জনের মধ্যে ২৭ জন এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তাঁদের অধিকাংশকে বেসকরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও বেসকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে স্থাপিত সংসদ নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে রোববার রাতে প্রথম পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা হয় গোপালগঞ্জ-৩ আসনের। গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই আসনের শেখ হাসিনা পেয়েছেন ২ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৯ ভোট। তিনি ১০৮ কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলোতে জয়লাভ করেছেন। আসনটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫১৪টি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকের এস এম জিলানী পেয়েছেন ১২৩ ভোট।
রংপুর-৬ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মহাজোটের প্রার্থী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাইফুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৫৩ ভোট।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ভোলা-১ আসনে বিপুল ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৪১ হাজার ২১৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির গোলাম নবী আলমগীরের প্রাপ্ত ভোট ৭ হাজার ২২৪।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ-১ আসনে পেয়েছেন ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. রেজাউল করিম খান পেয়েছেন ৫০ হাজার ৪০০ ভোট।
শেরপুর-২ আসনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ৩ লাখ ৪৪২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ফাহিম চৌধুরী পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৫২ ভোট।
দিনাজপুর-৪ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৩১ হাজার ৬১৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী আখতারুজ্জামান মিয়া পেয়েছেন ৬১ হাজার ২১১ ভোট।
ঢাকা–১২ আসনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান খান কামাল ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৫ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম নিরব পেয়েছেন ৩২ হাজার ৬৭৮ ভোট।
নীলফামারী-২ আসনে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর পেয়েছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনিরুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৮০ হাজার ২৮৩ ভোট।
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রাম-১ আসনে পেয়েছেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নূরুল আমিন পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৯১ ভোট।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়া-২ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ভোট পেয়েছেন ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহসান হাবিব পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৭৪ ভোট।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে এবার দল মনোনয়ন দেয়নি।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
md mohsin
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
কি করে বলেন যে জনগণের ভোটে আপনি নির্বাচিত হয়েছেন?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮
ভোটে জিততে যদি নিজের ... করতে হয় সেটা আসরে শোচনীয় পরাজয় ।
Enamul Hafiz Latifee
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
অভিনন্দন সবাইকে। তবে বাংলাদেশের আগামী মন্ত্রিসভায় তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ বাড়ানো উচিত, এক্ষেত্রে সিংগাপুর মডেল অনুসরণ করা উচিত। এট্লিস্ট টোটাল মন্ত্রিসভার ৪০%, ৩০-৪০ এর মাঝে বয়সের নেতা-নেত্রীদেরক ভেতর থেকে যোগ্যদের মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা উচিত।
Alam
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
ভুলে গেলে চলবে না ২০০৮ র সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিএনপি ২৯ টা সিট পেয়েছিলেন। গণতন্ত্রের জন্য আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করলে কি আসন বাড়বে ?
Imran Qatar
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
ইনু সাহেব পেয়েছেন ২ লাখ ৮১ হাজার ভোট! Amazing. Salute Lider.