বড় ব্যবধানে জয়ী মন্ত্রীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রীদের অধিকাংশই বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। বর্তমান মন্ত্রীদের ২৯ জনের মধ্যে ২৭ জন এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তাঁদের অধিকাংশকে বেসকরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও বেসকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে স্থাপিত সংসদ নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে রোববার রাতে প্রথম পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা হয় গোপালগঞ্জ-৩ আসনের। গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই আসনের শেখ হাসিনা পেয়েছেন ২ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৯ ভোট। তিনি ১০৮ কেন্দ্রের মধ্যে সবগুলোতে জয়লাভ করেছেন। আসনটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৪৬ হাজার ৫১৪টি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকের এস এম জিলানী পেয়েছেন ১২৩ ভোট।

রংপুর-৬ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মহাজোটের প্রার্থী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাইফুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৫৩ ভোট।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ভোলা-১ আসনে বিপুল ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৪১ হাজার ২১৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির গোলাম নবী আলমগীরের প্রাপ্ত ভোট ৭ হাজার ২২৪।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ-১ আসনে পেয়েছেন ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৯ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. রেজাউল করিম খান পেয়েছেন ৫০ হাজার ৪০০ ভোট।

শেরপুর-২ আসনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ৩ লাখ ৪৪২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ফাহিম চৌধুরী পেয়েছেন ৭ হাজার ৬৫২ ভোট।

দিনাজপুর-৪ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৩১ হাজার ৬১৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী আখতারুজ্জামান মিয়া পেয়েছেন ৬১ হাজার ২১১ ভোট।

ঢাকা–১২ আসনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান খান কামাল ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৫ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম নিরব পেয়েছেন ৩২ হাজার ৬৭৮ ভোট।

নীলফামারী-২ আসনে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর পেয়েছেন ১ লাখ ৭৮ হাজার ৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনিরুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৮০ হাজার ২৮৩ ভোট।

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রাম-১ আসনে পেয়েছেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৬ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নূরুল আমিন পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৯১ ভোট।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়া-২ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ভোট পেয়েছেন ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহসান হাবিব পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৭৪ ভোট।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে এবার দল মনোনয়ন দেয়নি।

মন্তব্য

  • image

    md mohsin

    ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮

    কি করে বলেন যে জনগণের ভোটে আপনি নির্বাচিত হয়েছেন?

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮

    ভোটে জিততে যদি নিজের ... করতে হয় সেটা আসরে শোচনীয় পরাজয় ।

  • image

    Enamul Hafiz Latifee

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    অভিনন্দন সবাইকে। তবে বাংলাদেশের আগামী মন্ত্রিসভায় তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ বাড়ানো উচিত, এক্ষেত্রে সিংগাপুর মডেল অনুসরণ করা উচিত। এট্‌লিস্ট টোটাল মন্ত্রিসভার ৪০%, ৩০-৪০ এর মাঝে বয়সের নেতা-নেত্রীদেরক ভেতর থেকে যোগ্যদের মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা উচিত।

  • image

    Alam

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    ভুলে গেলে চলবে না ২০০৮ র সর্বকালের শ্রেষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিএনপি ২৯ টা সিট পেয়েছিলেন। গণতন্ত্রের জন্য আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করলে কি আসন বাড়বে ?

  • image

    Imran Qatar

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    ইনু সাহেব পেয়েছেন ২ লাখ ৮১ হাজার ভোট! Amazing. Salute Lider.

সব মন্তব্য