রাজশাহীতে গতকাল রোববারের নির্বাচনী সহিংসতায় আহত একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম ইসমাইল হোসেন। আজ সোমবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। চিকিৎসক আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
গতকাল রোববার দুপুরে ভোটগ্রহণের সময় রাজশাহীর গোদাগাড়ীর পালপুরে বিএনপি-জামায়াত সমর্থকদের হামলায় ছেলেসহ আহত হন ইসমাইল। তাঁর বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের কাজীহাটা গ্রামে। তিনি দেওপাড়া ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
দেওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান জানান, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক হিসেবে ইসমাইল হোসেন মাঠে কাজ পালন করছিলেন। তার সঙ্গে তাঁর ছেলে নাঈম (১৯) ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পালপুর গ্রামে বিএনপি-জামায়াত সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষার জন্য তাঁরা একটি বাড়িতে আশ্রয় নিলে সেই বাড়িতে ঢোকেন। সেখানেই তারা তাঁদের পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ইসমাইল হোসেনকে হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ইসমাইল হোসেনের মাথা ও পায়ে গুরুতর জখম ছিল। সকাল সাতটা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান।
ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাননি। এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
গতকাল রোববার রাজশাহীতে নির্বাচনী সহিংসতায় তানোরে মোদাচ্ছের আলী ও মোহনপুরে মেরাজ উদ্দিন নামের দুই আওয়ামী লীগ সমর্থক মারা যান। বিএনপির পক্ষ থেকে মেরাজ উদ্দিনকে তাদের কর্মী বলে দাবি করা হয়েছে।
নির্বাচনী সহিংসতায় দেশের ১০ জেলায় এ পর্যন্ত ১৩ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সাধারণ ভোটার যেমন আছেন, তেমনি আছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও ইসলামী ছাত্রসেনার কর্মীও। রাজশাহীতে দুজন, চট্টগ্রামে দুজন, কুমিল্লায় দুজন এবং কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙামাটি, নরসিংদী, বগুড়া, গাজীপুর ও সিলেটে একজন করে নিহত হয়েছেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
Any death not acceptable.
নাসিম
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
লীগের জন্য মজাই মজা, লীগের কোন্দলের মৃতু্টাও বিএনপি-জামাতের উপর দোষ চাপাচ্ছে
Monjurul Alam
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
নাসিম ইউ সিম সিম টু বি রং পুওর ওকচোখা সমর্থক
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০১ জানুয়ারী, ২০১৯
আজীবন বেহায়া নির্লজ্জ প্রতারকরা এমনই বলে এসেছে । তয় ঐসব এলাকার বেহায়া দের খবর হয়ে গেছে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
The government put most of BNP-Jamati activist in prison before the election and still they managed to kill 15 AL activists so far. Can you imagine if BNP won, what would happen? We saw that from 2001 to 2006.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
১৩ মারা যাবার পরও এ "নির্বাচনকে" শান্তিপূর্ণ বলা হচ্ছে! কত জন মানুষ মারা গেলে নির্বাচন অশান্তিপুর্ন বলা যাবে??
Monjurul Alam
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
আমরা জানি বি এন পি বলবে আওয়ামীলীগ নিজের লোক নিজেই হত্যা করেছে এই নির্বাচনে হতাহতের তালিকাই বলে দিচ্ছে এই পরাজয়ের কারন। ২৬ সীট পেয়েছেন একবার, ৬/৭ সীট হতেই পারে
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
তাহলে, এটা সত্যই যুদ্ধ ছিল ?
kishore kumar
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
বিএনপি জামাত ১ দিনে ১২ জন মানুস কে হত্যা করল, তাহলে তারা ৫ বছর ক্ষমতাই থাকলে দেশের কি অবস্থা হবে ? আমরা তরুণরা সন্ত্রাসী সংগঠন জামাত ও তাদের আশ্রয় দান কারি বিএনপি মুক্ত দেশ চাই।
Md Saharul Islam
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনটা আমাদের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে জানিনা কিন্তু ঐ পরিবারটার উপর প্রভার ফেলল।
Md. Geasuddin Ahmed
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮
BNP should not get lesson for their connection with Jamat & war criminals even they are going to vanish. Hi BNP please woke up and start antiterrorist politics. AL is getting benefit of Jamat & war criminal’s corruption and BNP is suffering due to covering the war criminals. Mass peoples did not support Ayikka Front, they should find the reason, why? Blaming others unduly will not solve the problem.