প্রতিপক্ষের প্রতি প্রতিহিংসা নয়: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে কথা বলেন। ছবি: প্রথম আলোআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি কোনো ধরনের প্রতিহিংসা না দেখাতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আজ সোমবার সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার রূপালী চত্বরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসব কথা বলেন।

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের প্রতি প্রতিহিংসায় যাবেন না। যেটা আমরা অতীতেও যাইনি। ২০০১ সালে আমাদের অনেক বেদনা আছে। ২০১৪ সালেরও আছে। তখন আমাদের অনেককে ঘর-বাড়ি ছেড়ে বছরের পর বছর বাইরে থাকতে হয়েছে। আমি তার কোনটির পুনরাবৃত্তি করব না। আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমি প্রতিপক্ষের ওপর কোনো প্রকার প্রতিশোধ নেওয়ার পক্ষপাতী নই।’ তিনি নির্বাচনে বিজয় পেয়ে ‘আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত’ উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনারা ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার সঙ্গে এ বিজয় উদ্‌যাপন করুন। নতুন বছরে আমরা উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখব। সুশাসনকে প্রিয় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করব।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার এসব কথা শুধু এখানে প্রযোজ্য নয়। এসব কথা বৃহত্তর নোয়াখালীসহ সারা দেশের জন্য প্রযোজ্য। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনারও একই নির্দেশ।’ নেত্রীর নির্দেশনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সব নেতা-কর্মীকে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবার প্রতি আহ্বান জানাব, আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম যেন মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণে পরিণত হয়।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দলের যে শিক্ষা, বঙ্গবন্ধুর যে শিক্ষা, শেখ হাসিনার যে শিক্ষা, তা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তিনি আত্মসমালোচনা করে বলেন, ভুল মানুষই করে। অতীতে যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে, আমরা অতীতের সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন পথে যাত্রা করব। ভুল সংশোধন করার সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে। সব ভুল সংশোধন করে আমরা নতুন করে যাত্রা শুরু করব। উন্নয়ন নিয়ে ভালো আচরণ নিয়ে আমরা একটি ঐতিহ্যবাহী দল হিসেবে এগিয়ে যাব।’

স্থানীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাতারাতি কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। এখন দরকার গ্যাস সংযোগ ও বেকার তরুণ সমাজের কর্মসংস্থান। পর্যায়ক্রমে এসব সমস্যা সমাধানে মনোযোগী হওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

 

মন্তব্য

  • image

    bablu

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    ৩০শে ডিসেম্বর ২০১৮ সাল বাংলাদেশের ললাটে একটি গভীর অমোছনীয় কলংক তিলক এঁকে দিয়ে গেল। এদিন চূড়ান্তভাবে হেরে গেল বাংলাদেশ এবং দেশটির জনগণ। সবচেয়ে বড় কষ্ট পেয়েছি এই ভেবে যে, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির, জন্মলগ্ন থেকে ছোট বড় সব অর্জন ৩০শে ডিসেম্বরে ধুলিস্যাৎ হয়ে গেল !!! কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক নই তবে আওয়ামী লীগের প্রতি সহানুভূতিশীল এমন আমার মত মানুষেরা বর্তমান আওয়ামী লীগের আচরণ প্রত্যক্ষ করে প্রচণ্ড মনোকষ্ট অনুভব করছি। জানি আমার মত একজন সাধারণ নাগরিকের মনোকষ্ট আওয়ামী লীগের কিছুই আসে যায় না। দুঃখজনক হলেও বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এবার আওয়ামী লীগের বিজয় হচ্ছে, প্রশ্ন ফাঁস করে জিপিএ ৫ পাওয়ার সমতুল্য !!!! এই জয়ে কোন আনন্দ নেই। কেন জানি মনে হচ্ছে, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ অন্ধকারের যুগে প্রবেশ করল !!!! মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আওয়ামী লীগ। ব্রিটিশ রাজ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন সরকারের আমলে ভোটারদের এভাবে বঞ্চিত করা হয়নি। বিএনপি জামাতের অত্যাচারের পর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বধানকারী দল আওয়ামী লীগ ছিল আমাদের শেষ ভরসাস্থল !!!! গতকাল সেটিও দুমড়ে মুচড়ে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। সবকিছু হারিয়ে আজ আমরা নিরাশার অন্ধকারে ডুবে গেছি। সবশেষে এই পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী তথাকথিত বিজয়ী দল আওয়ামী লীগের জন্য রইল বুক ভরা ঘৃণা ও অভিসাপ !!!!

  • image

    Azizul Hoque

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    আমি তো কোন প্রতিপক্ষই দেখি না, জনাব ।সবইতো আপনারা, এক পক্ষ।

  • image

    শিপন England

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    যারা হেরেছে এদের নিয়েই দেশের উন্নয়ন এ এগিয়ে আসতে হবে, তাহলে দেশ এগুবে দ্রুত।হিংসা নয় বন্ধু হয়েই এগিয়ে নিন।

  • image

    mahfooz

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    অতিরিক্ত অপ্রত্যাশিত জয়ে ক্ষমতাসীন সরকারি দল ভড়কে গিয়ে চক্ষুলজ্জায় নির্বাচনোত্তর বিজয় উৎসব করতে কি সংকোচ বোধ করছে নাকি ? Winner takes it all.then why deprive the supporters of their rights to express boisterous, triumphant ,fabulous victory?

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    আমার অতীত অভিজ্ঞতা বলছে এইটা একটা সিগন্যাল ... যার অর্থ হইলো এই বার শুরু কইরা দেও।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    বাকহীন। কিছু লিখতে ও রুচিতে বাধে। লজ্জা ও লজ্জা ।

  • image

    Arifur Rahman

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    ‘সবার প্রতি আহ্বান জানাব, আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম যেন মানুষের সঙ্গে ভালো আচরণে পরিণত হয়।’ তাহলে স্বীকার করছেন, আগের কার্যক্রমে ভাল আচরণ করার নির্দেশ ছিলনা।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    আর কত হাসাবেন আপনি?!!!

  • image

    আন্দালিব

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    কিন্তু প্রতিপক্ষ তো ঠিকই প্রতিহিংসা চালিয়ে যাচ্ছে-- আজ পর্যন্ত ৮ আওয়ামীলীগ কর্মি বিএনপি জামাতি খুনিদের হাতে নিহত!! একা একা কতক্ষন সভ্য থাকবেন?

  • image

    Masud Parvez

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    'উন্নয়ন নিয়ে ভালো আচরণ নিয়ে আমরা একটি ঐতিহ্যবাহী দল হিসেবে এগিয়ে যাব' আশা করি মনে রাখবেন জনাব। আর আপনাদের ভালো আচরণের ভেতরে অবশ্যই বিরোধী মত বা পক্ষকেও রাখবেন দয়াকরে।

  • image

    বিবেকের কাজিন

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    কথায় কাজে মিল থাকে যেন।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    অাপ‌নি ম‌নে হয় অ‌নেক কিছু জা‌নেন না? অথবা গোপন কর‌ছেন । যা করার নির্বাচ‌নের অা‌গেই ক‌রে ফে‌লে‌ছে ।

  • image

    ataur

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    Only CARETAKER Govt can save us. Awamilig lost everything. Fair election is NEVER possible by Awamilig.

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    প্রতিহিংসার কি আরো কিছু বাকী আছে ?

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    প্রতিহিংসা যা দেখানোর দেখানো তো হয়েছেই, এবার একটু বিশ্রাম দরকার না! উনার কর্মীরাও তো মানুষ। ধন্যবাদ।

  • image

    Md Saharul Islam

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    নাটক শেষ এবার সম্প্রচার করার পালা

  • image

    shakura bhuiyan

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    লজ্জা আর লজ্জা।

সব মন্তব্য