৩০ প্রার্থীর ২৪ জনই জামানত হারালেন

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

গাইবান্ধার চারটি সংসদীয় আসনে মোট ৩০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এঁদের মধ্যে ২৪ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মোট প্রাপ্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম ভোট পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয় বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১১জন। এর মধ্যে নয়জন জামানত হারান। তাঁরা হলেন মুসলিম লীগ হারিকেন প্রতীকের গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মো. আশরাফুল ইসলাম খন্দকার, গণতন্ত্রী পার্টির কবুতর প্রতীকের আবুল বাসার মো. শরীতুল্লাহ, গণফ্রন্টের মাছ প্রতীকের শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বটগাছ প্রতীকের হাফিজুর রহমান সদ্দার, বাসদের মই প্রতীকের মো. গোলাম রব্বানী শাহ, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরগাড়ি (কার) প্রতীকের কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খাঁন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আপেল প্রতীকের (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) আফরুজা বারী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কুড়াল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এমদাদুল হক। প্রার্থীদের মধ্যে আফরুজা বারী ও এমদাদুল হক কয়েক দিন আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।

গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন সাতজন। এর মধ্যে পাঁচজন জামানত হারান। তাঁরা হলেন সিপিবির কাস্তে প্রতীকের মিহির ঘোষ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মো. আল-আমিন, ইসলামী ঐক্যজোটের মিনার প্রতীকের মাওলানা যুবায়ের আহমদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের জিয়া জামান খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সিংহ প্রতীকের মকদুবর রহমান।

গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে মোট সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ছয়জনই জামানত হারান। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের কাজী মশিউর রহমান, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের মো. আবুল কালাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের সৈয়দ তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কোদাল প্রতীকের মো. ছামিউল আলম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের খন্দকার মো. রাশেদ এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগের হারিকেন প্রতীকের সানোয়ার হোসেন।

গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন। এর মধ্যে চারজনই জামানত হারান। তাঁরা হলেন বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের ফারুক আলম সরকার, জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের আবদুর রাজ্জাক মন্ডল এবং সিপিবির কাস্তে প্রতীকের যজেস্বর বর্মন।

মন্তব্য

  • image

    Nurun Nabi

    ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

    Its an income for Govt.

সব মন্তব্য