ফরিদপুরের চারটি আসনে ১৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ১২ জন জামানত হারিয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির চার প্রার্থী রয়েছেন। জামানত রক্ষা হয়েছে পাঁচজন প্রার্থীর। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের চার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র একজন।
জামানত রক্ষা করতে হলে প্রদত্ত ভোটের ৮ শতাংশ প্রয়োজন হয়।
ফরিদপুর-১ আসনে (মধুখালী, বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা) প্রার্থী ছিলেন চারজন। এ আসনে শুধু জয়ী প্রার্থী আওয়ামী লীগের মনজুর হোসেনের জামানত রক্ষা পেয়েছে। বিএনপিসহ বাকি তিন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ১০ হাজার ৪৯৯ জন। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৫৭ জন। এই হিসাবে, একজন প্রার্থীর ন্যূনতম ২৭ হাজার ৩২৪ ভোট প্রয়োজন ছিল।
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী শাহ জাফর অল্পের জন্য জামানত খুইয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৭ হাজার ৩০৫ ভোট। অর্থাৎ মাত্র ১৯ ভোট কম পাওয়ায় তিনি জামানত হারিয়েছেন। জামানত হারানো অন্য দুই প্রার্থী হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ওয়ালিউর রহমান রাসেল (৫ হাজার ৫৮০ ভোট) এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. জাকারিয়া (২৫৩ ভোট)।
ফরিদপুর-২ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের সাজেদা চৌধুরী ছাড়া বাকি তিন প্রার্থীই জামানত খুইয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭০। ভোট পড়েছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৭। জামানত রক্ষা করতে ভোট পাওয়ার প্রয়োজন ছিল ১৯ হাজার ৪৭১টি।
এ আসনে বিএনপির শামা ওবায়েদ ইসলাম পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯১০, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কে এম ছরোয়ার পেয়েছেন ৪ হাজার ১৫১ ভোট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের জয়নুল আবেদীন ওরফে বকুল মিয়া পেয়েছেন ৬৫৭ ভোট।
ফরিদপুর-৩ আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের খন্দকার মোশাররফ হোসেন ছাড়া বাকি তিন প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছে। এ আসনে মোট ভোট ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৬৯। জামানত রক্ষা করতে ভোট পাওয়ার প্রয়োজন ছিল ২৪ হাজার ২৯৪টি।
এ আসনে বিএনপির চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ পেয়েছেন ২১ হাজার ৭০৪ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এ এম নূরুল ইসলাম পেয়েছেন ২ হাজার ৮২৭ ভোট ও সিপিবির মো. রফিকুজ্জামান মিয়া পেয়েছেন ৩৪৮টি ভোট।
ফরিদপুর-৪ আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের কাজী জাফর উল্যাহর জামানত রক্ষা পেয়েছে। বিএনপিসহ বাকি তিন প্রার্থী জামানত খুইয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৭০ হাজার ৬৯৫। ভোট দিয়েছেন ২ লাখ ৬২ হাজার ২০৪ জন। জামানত পেতে হলে ২০ হাজার ৯৭৬ ভোট পাওয়ার কথা ছিল।
এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন বিএনপির খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম ১২ হাজার ৩৮০, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুল হামিদ মিয়া ৯ হাজার ১০ ভোট ও সিপিবির আতাউর রহমান ৩৩১।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
মন্তব্য নেই