নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত মেরাজের পরিবারের পাশে সাংসদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ০১ জানুয়ারী, ২০১৯

রাজশাহীর মোহনপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত মেরাজুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সন্তানদের জন্য ব্যাংকে পাঁচ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর) করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ আয়েন উদ্দিন। তিনি সেই কথা রাখলেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে সোনালী ব্যাংকের মোহনপুর শাখায় নিহত মেরাজুলের স্ত্রী শেফালী বেগম, ছেলে সেফাত ইসলাম ও ভাই হুমায়ুনের নামে পাঁচ লাখ টাকার একটি এফডিআর করে দেন।

রাজশাহীর মোহনপুরে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের হামলায় নিহত হন মেরাজুল ইসলাম। নির্বাচনের পরের দিন গতকাল সোমবার সাংসদ আয়েন উদ্দিন নিহত মেরাজুল ইসলামের বাড়িতে যান। প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত মেরাজুল ইসলামের স্ত্রী ও সন্তানেরা।

আয়েন উদ্দিন তখনই মেরাজুল ইসলামের স্ত্রী শেফালীর হাতে নগদ ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। সেই সঙ্গে মোহনপুর সোনালী ব্যাংকে পাঁচ লাখ টাকার এফডিআর করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ ছাড়া পরিবারটি যাতে চলতে পারে সে জন্য প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন।

এ সময় আয়েন উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের প্রতিহিংসার রাজনীতির বলি হয়েছে মেরাজুল ইসলাম। আমি আমার এলাকার প্রত্যেক মানুষকে ভালোবাসি। দলমত-নির্বিশেষে সবার সেবা করতে চাই। দোয়া করি আল্লাহ মেরাজুলকে বেহেস্তবাসী করুন।’ তিনি আরও বলেন, ‘নিহত মেরাজুলের ছেলেকে শিক্ষিত করতে হবে। ছেলে সেফাতের শিক্ষা ও স্ত্রী শেফালীর সংসার খরচের জন্য আমি সব সময় তাদের পাশে আছি’।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাহানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হযরত আলী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, মৌগাছি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আল আমিন বিশ্বাস, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইকবাল হোসেন, মোহনপুর থানার ওসি আবুল হোসেন, মেরাজুলের স্ত্রী শেফালী বেগম, ছেলে সিফাত ইসলাম ও ভাই হুমায়ুন প্রমুখ।

মেরাজের ভাই হুমায়ুন নগদ ২০ হাজার টাকা পাওয়া এবং পাঁচ লাখ টাকার এফডিআর খোলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য

  • image

    NAhmed

    ০১ জানুয়ারী, ২০১৯

    নির্বাচন কমিশনের স্বভাবসুলভ মন্তব্য" আমরা দেখতেছি। কেউ লিখিত আকারে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে"

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০১ জানুয়ারী, ২০১৯

    এরকম হতে হবে সকল নেতাকে যার যার এলাকার নিপিড়িত কর্মীদের পাশে থাকতে হবে না হলে কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ নষ্ট হতে যাবে তখন প্রচারনা চালানোর লোক খুজে পাবেন না । যেমনটি হয়েছে বিএনপির বেলায় এজেন্ট দেওয়ার লোক নাই । রিপলেট দেওয়ার কর্মী নাই সব মামলার পলাতক আসামীদের দিয়ে নির্বাচনের মাঠে নামলে এরকম তো হবেই ।

  • image

    Sumon

    ০১ জানুয়ারী, ২০১৯

    আহত নিহত সব দলের কর্মীদের পরিবারকে শান্তনা দিন / প্রমান করুন আপনারা কোনো দলের নয় দেশের এমপি

  • image

    শিপন England

    ০১ জানুয়ারী, ২০১৯

    ভাবতে পারছেন কি, আজকে কামাল বি এন পি শিবির গ্রুপ যদি খমতায় আসত তাহলে দেশ টা আফগানের অবস্থানে নিয়ে আসত।

সব মন্তব্য