কাহালুতে আহত আ.লীগ নেতার মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া ০২ জানুয়ারী, ২০১৯

বগুড়ার কাহালু উপজেলায় ভোটের দিন নির্বাচনী সহিসংতায় আহত আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলার পাইকর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নাজমুল হুদা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আশরাফ ভূঞা বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হুদা ও যুবলীগের সহসভাপতি আজিজুর রহমানের ওপর ভোটের দিন কেন্দ্রের বাইরে ধানের শীষের সমর্থকেরা হামলা চালান। এতে আহত আজিজুর রহমানকে ওই দিনই হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। আর নাজমুল হুদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বগুড়া-৪ আসনে (কাহালু-নন্দীগ্রাম) মহাজোট-সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিমের এই সমর্থকদের ওপর ভোটের দিনদুপুরে উপজেলার বাগইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের বাইরে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ওই দিনই যুবলীগের নেতা আজিজুর রহমান নিহত হন। তাঁর ছোট ভাই জাহিদুর রহমান বাদী হয়ে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। অন্যদিকে নাজমুল হুদাকে ওই দিন আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে নাজমুল হুদা মারা যান।

কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির প্রথম আলোকে বলেন, ভোটের দিন কেন্দ্রের বাইরে এই হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই কাহালু থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। একই ঘটনায় নিহত আজিজুরের ভাই হত্যা মামলা করায় নতুন করে আর কোনো মামলার প্রয়োজন নেই।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন ও আগের দিন রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী সহিংসতায় ১৭ জন নিহত হন।

মন্তব্য

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

    BNP-Jamat is a terror organization. I will never forgot what I saw from 2001 to 2006. They killed 35 thousands AL activists.

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

    ক্ষনতার দখলের আগেই শুরু হয়েছিল। এ সংখ্যা যে ১১থেকে বেড়ে ১১হাজার হয় নি, শুকরিয়া।

সব মন্তব্য