‘আমার এত ভোট গেল কই?’

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

মোহাম্মদ আবদুর রবসিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে মোটরগাড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোহাম্মদ আবদুর রব মল্লিক নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, ‘আমার পক্ষে শত শত কর্মী মাঠে কাজ করেছে। সব কেন্দ্রে আমার এজেন্ট ছিল। আমাকে অনেকেই ভোট দিয়েছে। কিন্তু হিসাবের খাতায় আমার ভোট এত কম কেন? আমার এত ভোট গেল কই?’

নির্বাচনের দুই দিন পর গত মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আবদুর রব এ প্রশ্ন তোলেন। সিলেট-২ আসনে গণফোরাম মনোনীত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মোকাব্বির খান ৬৯ হাজার ৪২৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৮৬ হাজার ৫৮৬ জন। ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৩। জামানত হারানো প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন আবদুর রব। তিনি ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ১৭০ ভোট।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবদুর রব বলেন, ‘আমি সব জরিপে এগিয়ে থাকার পরও আমার হাজার হাজার ভোট কারচুপি করে গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।’ একজন আওয়ামী লীগ নেতার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফলাফলে এমন রদবদল হয় বলে দাবি করেন আবদুর রব।

যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আবদুর রব নির্বাচন সামনে রেখে সিলেটে আসেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‌ইউকে-বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান তিনি। লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক আইএজি সদস্য ছিলেন। পেশায় আইনজীবী আবদুর রব বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। নির্বাচনের মধ্যবর্তী সময়ে সিলেট-২ আসনে বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র উচ্চ আদালত বাতিল করলে তিনি তখন বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। এতেও বিফল হয়ে পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন।

নির্বাচনের আগে বিভিন্ন সংস্থার জরিপ প্রতিবেদনে তাঁর অবস্থান প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল দাবি করে আবদুর রব আরও বলেন, ‘ভোটের এক দিন আগে এক আওয়ামী লীগ নেতা বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে বলেন, টাকা দিলে আমাকে বিজয়ী করা হবে। কিন্তু আমি তাতে রাজি হইনি। কারণ আমার বিশ্বাস ছিল, ফেয়ার নির্বাচন হলে আমিই বিজয়ী হব। ১২৭টি ভোটকেন্দ্রে যেমন আমার এজেন্ট ছিল, তেমনি ছিল শত শত ভোটার। ফলফল ঘোষণার পর আমি হতবাক হয়ে যাই। এমনকি ফলাফল শুনে গত দুই দিন ধরে শত শত মানুষ আমার বাড়িতে ভিড় করে, তারাও ফলাফল মেনে নিতে পারেনি। তিনি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল দাবি করেন।’

সংবাদ সম্মেলনে দুই উপজেলার অর্ধশত কর্মী–সমর্থকের মধ্যে মাওলানা সৈয়দ মোছলেহ উদ্দিন, মাওলানা আছাব আলী, সিলেট জেলা তরুণ প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক মো. সমর আলী, বাবুল চক্রবর্তী, ব্যবসায়ী খালিক মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

  • image

    Fuad

    ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

    থাকে লন্ডন এমপি হবে দেশে, শখ কত। আর জিতছে তো ঐ আসনে বিএনপি? তাইলে কি ওরাও কেন্দ্র দখল করছিলো? স্বীকার করেন।

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

      He should try UK politics not here.

    • image

      Shahadat Hossain

      ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

      @ফুয়াদ, বিএনপি কোনো আসনে জিতে নাই কারণ কোনো আসনেই ভোট হয় নাই, ভোট গুনে ফলাফল দেয়া হয় নাই, বিএনপি কে ৬ তা আসন দেয়া হয়েছে,

    • image

      Fuad

      ০৯ জানুয়ারী, ২০১৯

      @শাহাদাত, বিএনপি এর প্রার্থিরা নিজেরাই ভোট দিতে যায় নাই (মউদুদ), তাহলে কিভাবে আশা করে যে নির্বাচনে জিতবে? প্রার্থিই যেখানে ভোট দেয় না, সমর্থকরা দিবে?

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

    "যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আবদুর রব নির্বাচন সামনে রেখে সিলেটে আসেন" হায় রে রাজনীতি। সারা বছর বিদেশে থেকে ইলেকশনের আগে দেশে এসে আশা করেন দেশ জয় করে ফেলবেন।

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

      মনোনয়ন বানিজ্যে ধরা।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

    মোহাম্মদ আবদুর রব মল্লিক ভাই নির্বাচনে কারচুপি হয় নাই ! বিশ্বাস করুন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ হয়েছে ! কারচুপি হলে তো আর পাকিস্তানি আমলের মতো আমাদের মা বোনদের ধর্ষিত হতে হতো না , BBC বাংলার সাংবাদিক ভোট শুরুর আগেই ব্যালট বাক্স ভর্তি ফুটেজ নিতে পারত না , নিরবিচ্ছিন্ন নির্বাচনের নামে লাঞ্চ ব্রেক নাকে তামাসা হতো না । সবশেষে কারচুপি না হলে ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ’ এই তিনটি শব্দের নির্বাচন হতো না ।

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

      শুধু পাকিস্তানি আমলের তুলনা করেন কেন? ২০০১ সালে ভোলা, বাগেরহাট সহ সারাদেশে কত সংখ্যালঘু নারী ধর্ষিত হয়েছে তা একটু খোঁজ নিন। বিএনপি-জামাতের সমর্থক হয়ে নিজেদের আমলের কথা চেপে যাবেন তা ঠিক না।

  • image

    সোলায়মান

    ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

    ঢাকা ১৪ ও ১৫ আসনে কাস্তে মার্কার কর্মীরা ভোট দিয়ে এসেছে। অথচ সেই কেন্দ্রেও তারা শুন্য ভোট পেয়েছে! এই সকল কেন্দ্রে ফলাফল পর্যন্ত টাঙ্গানো হয়নি।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

    Are u a big leader!

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

    রাজনীতি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া।উড়ে এসে জুড়ে বসে তা পাওয়া যায় না। জমির ধান চাষের মতো পরিশ্রম করে রাজনীতির মাঠ তৈরি করতে হয়।আর উনি বিদেশ থেকে এসেই জয় আশা করে................. কী বোকামী ব্যপার।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

    আমার পক্ষে শত শত কর্মী মাঠে কাজ করেছে। সব কেন্দ্রে আমার এজেন্ট ছিল। আমাকে অনেকেই ভোট দিয়েছে। কিন্তু হিসাবের খাতায় আমার ভোট এত কম কেন > ভোট কয়খান দিলো তার প্রমাণ কি? আহা রে! কর্মীরা খেয়েছে বিলাতী পয়সা, সিল মেরেছে গণফোরামে, হা হা হা।

  • image

    mohammad rahman

    ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

    প্রভাস আমিন লিখেছেন- ‘নকল করেছিলাম পাস করার জন্য, পেয়ে গেছি জিপিএ-৬’

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

    I know him personally. He is one of the most corrupted person in UK.

    • image

      সজীব

      ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

      লাভ নাই, ভালই হইছে, কিছু দুর্নীতির পয়সা নির্বাচনের উছিলায় দেশে আসছে...

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

    নির্বাচন কমিশনের vote management software টা পুন পরীক্ষা করলে সব উওর পাওয়া যাবে

  • image

    msIqbal

    ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

    'শত শত' কর্মীর ভোটে তো 'হাজার'ই হওয়ার কথা! হাজার হাজার কর্মী হলে না হয় 'লক্ষ' হতো!!

  • image

    Imran Hossain

    ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

    Good lesson for this kind of Seasonal Politician!!

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৩ জানুয়ারী, ২০১৯

    ভোট জায়গা মতোই আছে।। চিন্তা করবেন না।। হারাবে না।। এটা শক্তিশালী প্রার্থীর নিকট আমানত হিসাবে আছে।

সব মন্তব্য