একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার ১১টি আসনের সব কটিতে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার আলী আশরাফ পাঁচবার করে জয়ী হলেন।
গত রোববার ভোট নেওয়ার পর রাতেই এসব আসনের ফল ঘোষণা করা হয়।
জানতে চাইলে আবদুল মতিন খসরু বলেন, ‘এই জয় জনগণের জয়। এবার এত উন্নয়ন করব যে জনগণ আমাকে সারা জীবন স্মরণ করবে। সারা জীবন আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আদর্শ থেকে নড়িনি। এ কারণে বারবার মানুষ আমাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়।
নির্বাচনের ফল অনুযায়ী, এ জেলায় পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চারবার করে জয়ী হলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়া জয়ী হলেন তিনবার করে। দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাছিমুল আলম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুল দুবার করে জয়ী হলেন। প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছেন সেলিমা আহমাদ।
কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি ও মেঘনা) আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়া এবারসহ চারবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে টানা তিনবার জয়ী হয়ে ‘হ্যাটট্রিক’ করলেন। কুমিল্লা-২ (হোমনা ও তিতাস) আসনে জেলার একমাত্র নারী প্রার্থী সেলিমা আহমাদ প্রথমবার নির্বাচনে এসেই জয়লাভ করেন। কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন দুবার জয়ী হয়েছেন। তিনি এ আসনে চারবার প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র ও এবার আওয়ামী লীগ থেকে জয়ী হলেন।
কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুল দুইবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে দুবারই জয়ী হলেন। ২০১৪ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়ী হন। কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল মতিন খসরু সাতবার নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এবারসহ পাঁচবার জয়ী হলেন। এখানে আওয়ামী লীগ থেকে তিনিই সর্বোচ্চবার জয়ী হলেন। ১৯৯১ সালেও তিনি জয়ী হন। তখন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে ছিল।
কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন এবারসহ পাঁচটি নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি টানা তিনবার জয়ী হয়ে হ্যাটট্রিক করলেন। কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ মো. আলী আশরাফ ১০টি নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি জয়ী হন পাঁচবার। ১৯৭৩ সালে স্বতন্ত্র থেকে তিনি নির্বাচিত হন। চারবার আওয়ামী লীগ থেকে জয়ী হন।
কুমিল্লা-৮ (বরুড়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাছিমুল আলম চৌধুরী দুবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে দুবারই জয়ী হলেন। কুমিল্লা-৯ (লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ মো. তাজুল ইসলাম পাঁচবার নির্বাচনে অংশ নেন। চারবার জয়ী হলেন। কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল পাঁচবার অংশ নিয়েছেন। চারবার জয়ী হলেন। কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক সাতবার নির্বাচন করেন। তিনি চারবার জয়ী হলেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৩ জানুয়ারী, ২০১৯
ইনশাআল্লাহ এইভাবে নির্বাচন হলে আপনারা হাজার বছর এমপি থাকবেন৷। শুধু বডিটা একটু আর্থিং করে রাখেন যাতে বজ্রপাতেও আপনাদের কোন ক্ষতি না হয়।।
Mr.RupoM.
০৩ জানুয়ারী, ২০১৯
সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন।
Nazmul Kabir
০৩ জানুয়ারী, ২০১৯
এবার এত উন্নয়ন করব যে জনগণ আমাকে সারা জীবন স্মরণ করবে।_ আমাদেরও আপনাদের কাছে একই প্রত্যাশা। আশা করি নির্বাচনের মতো হতাশ করবেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৩ জানুয়ারী, ২০১৯
সবাইকে অভিনন্দন।