সাংবাদিক থেকে সাংসদ মুহাম্মদ শফিকুর রহমান

প্রতিনিধি, চাঁদপুর ০৪ জানুয়ারী, ২০১৯

শফিকুর রহমানএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। এর মাধ্যমে স্বাধীনতার পর এই আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে প্রথমবার ভোটের মাধ্যমে সাংসদ হলেন তিনি।

শফিকুর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক নেতাও। তাঁর জয়ে চাঁদপুরের সাংবাদিক সমাজ আনন্দিত। সাংসদ হিসেবে জয়ী হওয়ার পর তাঁকে ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠন ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে।

দলীয় ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতার পর ২০১৪ সালের আগ পর্যন্ত এই আসনে আওয়ামী লীগের কেউ সাংসদ হতে পারেননি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ হন মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া। এ বছর এই আসনে শামছুল ও শফিকুর প্রাথমিকভাবে দলীয় মনোনয়ন পান। পরে শফিকুরকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়। এরপর আওয়ামী লীগের হয়ে ভোটের মাধ্যমে শফিকুর এখানে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন।

রোববার ভোটের পর ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, শফিকুর রহমান ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৯টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সাংসদ মো. হারুনুর রশীদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৩০ হাজার ৭৯৯ ভোট পেয়েছেন।

জানতে চাইলে মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ হওয়ায় প্রথমে মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মী ও ফরিদগঞ্জবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। আগামী দিনে জাতীয় সংসদে গিয়ে আমার সহকর্মী ও বন্ধুদের নিয়ে ফরিদগঞ্জকে আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। পাশাপাশি এই উপজেলা থেকে মাদক দূর করার শপথ নিচ্ছি। সরকার থেকে সুযোগ পেলে সাংবাদিক সমাজের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।’

শফিকুরের জন্ম ফরিদগঞ্জের বালিথুবা ইউনিয়নের মিয়াজী বাড়িতে। ফরিদগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসায় পড়ার সময় থেকে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। পরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০০১ ও ২০০৮ সালে তিনি এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সাংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।

১৯৭১ সালে শফিকুর মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন।

পরে তিনি যুক্তরাজ্য ও জাপানে সাংবাদিকতার ওপর উচ্চতর শিক্ষা নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় তিনি ইত্তেফাক-এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি বেসরকারি সিটিজেন টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান সম্পাদক।

গত ২৭ ডিসেম্বর চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বলেন, ‘সাংবাদিক শফিক আমার সহপাঠী ও বন্ধু। তার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। তাকে আমি ডেকে নিয়ে এই আসন থেকে মনোনয়ন দিয়েছি।’

মন্তব্য

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৪ জানুয়ারী, ২০১৯

    ভাল প্রতিবেদন । তবে ভোটের পার্থক্যটা অনেক বেশি হয়েছে, ১ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬৯টি আর ৩০ হাজার ৭৯৯ ভোট; যেখানে প্রথমবারের মত বিজয়ী হল আওয়ামীলীগ । যেন যাদুর কাঠির পরশ আছে । তারপরও অভিনন্দন আপনাকে

  • image

    Shah Newaz

    ০৪ জানুয়ারী, ২০১৯

    এইবার বুঝেছি কেন কিছুদিন আগে ওনার মুখ থেকে আরেক জনের বিরুদ্ধে এত জঘন্য ভাষা বের হচ্ছিল । ওই বিশেষ টিভি আসলেই সময় সময় বেছে বেছে মানিকদের নিয়ে আসে ।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৪ জানুয়ারী, ২০১৯

    মাওলানা মান্নানের এলাকায় আপনার বিজয়ের বিশেষ তৎপর্য আছে। অভিনন্দন আপনাকে।

  • image

    MD Fahad Hossain

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    বর্তমান যুগ মিডিয়ার যুগ। তাই মিডিয়াকে প্রতিনিধিত্ব করে এমন ব্যক্তিত্বকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।

সব মন্তব্য