১৯৭৯, ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন মন্নুজান। ২০০০ সালের উপনির্বাচনে প্রথম নির্বাচিত হন নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
টানা তৃতীয়বারের মতো জয় পেয়েছেন খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী) আসনের আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ও খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের বর্তমান সাংসদ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে তৃতীয়বারের মতো তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া বেসরকারি ফলাফল থেকে দেখা গেছে, খুলনা-৩ আসনে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। তিনি ৮১ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি রকিবুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬০৬ ভোট (১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ)। এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ২৬ হাজার ২৮১ জন। ভোট পড়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৯টি।
এর আগে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেগম মন্নুজান সুফিয়ান নৌকা প্রতীক নিয়ে ৪৫ হাজার ৯৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান খান পান ৬ হাজার ৪২৪ ভোট। আর ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেগম মন্নুজান সুফিয়ান পেয়েছিলেন ৭৪ হাজার ৬৭৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম ধানের শীষ প্রতীকে পান ৫৮ হাজার ১৭৭ ভোট।
এর আগে বেগম মন্নুজান সুফিয়ান একবার সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৮৬ সালের তৃতীয় সংসদ নির্বাচন ও ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে সব কটি নির্বাচনেই দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন।
খুলনা-৫ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার ৭১৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। তিনি ৮৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের মিয়া গোলাম পরওয়ার ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৯৫৯ ভোট (১২ দশমিক ২১ শতাংশ)। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪৭০ জন। ভোট পড়েছে ২ লাখ ৭২ হাজার ৩৩টি।
এর আগে ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ নৌকা প্রতীক নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিয়া গোলাম পরওয়ার দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৫ হাজার ৩১২ ভোট পেয়েছিলেন। এর আগে ২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ডুমুরিয়া-ফুলতলা আসনে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে তিনি চারদলীয় জোট প্রার্থীর কাছে ৪ হাজার ৫৪৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
খুলনা-১ আসনে চতুর্থবার সাংসদ হলেন পঞ্চানন বিশ্বাস। এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ১ লাখ ৭২ হাজার ১৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। পেয়েছেন ৮১ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আমীর এজাজ খান পেয়েছেন ২৮ হাজার ৩২২ ভোট (১৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ)। এই আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৪২০ জন। ভোট পড়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৭টি।
১৯৯৬ সালের নির্বাচনে খুলনা-১ আসন থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে তিনি আসনটি ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে টেলিভিশন প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয় পান পঞ্চানন বিশ্বাস। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকে ৭৮ হাজার ৫৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। বিএনপির প্রার্থীকে তিনি ৩১ হাজার ২৯ ভোটে পরাজিত করেন। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে পান ৬৬ হাজার ৯০৪ ভোট। ওই নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ননী গোপাল মণ্ডলকে পরাজিত করেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
এমন সিস্টেম করে ফেলা হয়েছে যে আগামী ১০ নির্বাচনেও আপনারা ট্রিপল হ্যাটট্রিক করবেন।
Mohammad Alamgir
০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
we are fed by awamis
মনন
০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
বিশাল মূল্যবান খবর!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
এই নির্বাচন ও বিগত নির্বাচনে জয় পরাজয়ের কোন মূল্য আছে কি?!!!!