আট আসনে জামানত হারাচ্ছেন ৩১ জন

প্রতিনিধি, পঞ্চগড় ০৪ জানুয়ারী, ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়ের দুটি আসনের ১০ জন এবং দিনাজপুরের ছয়টি আসনের ২১ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। পঞ্চগড়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা ছাড়া অন্য ১০ জন প্রার্থীই তাঁদের জামানত হারিয়েছেন।

পঞ্চগড় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুল আলম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে ২০ হাজার টাকা করে জামানত হিসেবে জমা দিতে হয়। সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে ওই আসনের সব ভোটকেন্দ্রে পড়া মোট ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ পেতে হয়।

পঞ্চগড়-১ আসনে পাঁচজন জামানত হারিয়েছেন। এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবদুল্লাহ ৩ হাজার ৪৫৩, জাকের পার্টির মো. সুমন রানা, ৩ হাজার ৩৯৯, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) আল রাশেদ প্রধান ১ হাজার ৪১২, জাতীয় পার্টির আবু সালেক ৭২৯ এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শেখ মো. হাবিবুর রহমান ১৩২ ভোট পেয়েছেন। পঞ্চগড়-২ আসনে জামানত হারিয়েছেন পাঁচজন। এর মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের কামরুল হাসান ২ হাজার ৫২৬, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির তাসমিয়া প্রধান ১ হাজার ৬৭০ ভোট, সিপিবির আশরাফুল আলম ৬৪১, জাতীয় পার্টির লুৎফর রহমান ৩৫৪ এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী ফয়জুর রহমান ১৩২ ভোট পেয়েছেন।

দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ছয়জন প্রার্থী। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে ২ লাখ ৮২ হাজার ৪২৩টি ভোট পড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী জামানত ফেরত পেতে প্রয়োজন হবে ৩৫ হাজার ৩০৩ ভোটের। ওই পরিমাণ ভোট না পাওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে জাগপার মো. আরিফুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের আশরাফুল আলম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম ও মুসলিম লীগের প্রার্থী সৈয়দ মনজুর উল করিমের।

দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ আসনে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৩২টি ভোট পড়েছে। জামানত রক্ষার জন্য প্রার্থীকে ৩১ হাজার ১৭ ভোটের। কিন্তু ওই ভোট না পাওয়ায় ইসলামী আন্দোলনের মো. হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির জুলফিকার হোসেন, মুসলিম লীগের মো. এরশাদ হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোকাররম হোসেনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনে পাঁচজন প্রার্থী ছিলেন। এ আসনের কেন্দ্রগুলোতে ২ লাখ ৭৭ হাজার ১৭৫ ভোট পড়েছে। জামানত ফিরে পেতে দরকার ছিল ৩৪ হাজার ৬৪৭ ভোট। কিন্তু ওই ভোট না পওয়ায় বিকল্পধারার আশরাফুল ইসলাম, সিপিবির মো. বদিউজ্জামান ও মুসলিম লীগের প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদ উল করিম জামানত হারিয়েছেন।

দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) আসনে সাতজন প্রার্থী ছিল। এ আসনের কেন্দ্রগুলোতে ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৫টি ভোট পড়েছে। জামানত বাঁচাতে ৩৩ হাজার ৪৪৭ ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ওই ভোট না পাওয়ায় ইসলামী আন্দোলনের মিজানুর রহমান, জাতীয় পার্টির মোনাজাত চৌধুরী, মুসলিম লীগের মোজাফফর হোসেন, সিপিবির রেয়াজুল ইসলাম এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী সাজেদুল আলম চৌধুরীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

দিনাজপুর-৫ (পার্বতীপুর-ফুলবাড়ী) আসনে ইসলামী আন্দোলনের মো. মতিউর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শওকত আলী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শফিকুল ইসলাম এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী সোলায়মান সামী জামানত হারিয়েছেন।

দিনাজপুর-৬ আসনে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ১৩৬টি ভোট পড়েছে। জামানত রক্ষার জন্য ৪৪ হাজার ৩৯২ ভোট পাওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু ওই ভোট না পাওয়ায় জামানত হারিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের নুর আলম সিদ্দিক এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শাহিদা খাতুন।

মন্তব্য

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৪ জানুয়ারী, ২০১৯

    ফখরুল দাবী করেছে ৩০% - ৬০% ভোট নাকি জাল। যদি সে ভোটের শতাংশ বাদ দেয়া হয় তবু তো অধিকাংশ এক্য প্রার্থীয় জয়ী হয় না ।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৪ জানুয়ারী, ২০১৯

    জামানত হারানো বলতে কি বুঝানো হয়? কেউ যদি লিখতেন...

সব মন্তব্য