একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন অন্য রকম হেনস্তার শিকার হয়েছেন ফেনী-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল)। বিষয়টি তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন বলে জানান।
জয়নাল আবেদীন জানান, গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন দুটি জাতীয় পত্রিকার ভেতরের পাতায় নামীদামি কোম্পানির মুঠোফোনের ওপর ‘ডিসকাউন্ট’ অফার দিয়ে বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়। কিন্তু সেই বিজ্ঞাপনে তাঁর বর্তমান ফোন নম্বর এবং আগের একটি নম্বর, যেটি তিনি এখন ব্যবহার করেন না, তা ছাপিয়ে দেওয়া হয়।
জয়নাল আবেদীন বলেন, ভোটের দিন সকালে বেশ কয়েকটি অপরিচিত নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফোন এলেও তিনি তেমন গুরুত্ব দেননি। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফোন আসার মাত্রা বেড়ে যায়। তিনি বুঝতে পারেন কেউ তাঁকে হেনস্তা করার জন্য এমন কৌশল গ্রহণ করেছে। এই চক্রটি তাঁকে ভোটের দিন ভোট গ্রহণের কার্যক্রম ও নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে দূরে রাখতে চায়।
সেই পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে জয়নাল আবেদীনের ছেলে জাবেদ ইকবাল বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচনের দিন ভোরবেলা থেকেই বাবার মোবাইলে অপরিচিত নম্বর থেকে সারাক্ষণ ফোন আসতে থাকে। কলাররা এমন সব ডিসকাউন্টের কথা বলছিল, যার সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না। এসব কলের অত্যাচারে আমরা না পারছিলাম নেতা–কর্মীদের কল রিসিভ করতে, না পারছিলাম কাউকে ফোন করতে। পরে একসময় একজন কলারের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলে জানতে পারলাম পুরো ঘটনাটা।’
জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে আমরা নানামুখী চাপের মধ্যে ছিলাম। ভোটের সময় প্রতিপক্ষ নানা ধরনের চাল চেলে থেকে। কিন্তু এ ধরনের কৌশলের কথা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।’
দুটি সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেলও বিপুল হারে ডিসকাউন্ট দিয়ে বিক্রি করার কথা বিজ্ঞাপনগুলোতে ঘোষণা করা হয়।
জয়নাল আবেদীন বলেন, যে পত্রিকায় ওই বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছিল, সে পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার ফোনে জানতে চেয়েও সঠিক কোনো উত্তর পাননি। তিনি এ বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে স্থানীয় বা জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে এমন অপকৌশলের নজির আছে বলে তাঁর জানা নেই। তিনি তাঁর প্রায় ৬০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এমন আর দেখেননি বলে জানান।
ঘটনাটি তিনি গতকাল অভিযোগ আকারে ঢাকায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের কাছে জানিয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারী পেয়েছেন ২ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮ ভোট। আর ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী ধানের শীষের প্রার্থী জয়নাল আবেদীন এবার পেয়েছেন মাত্র ৫ হাজার ৭৮৪ ভোট।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
HASAN
০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
এ আর এমন কী?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
এরকম হলে ভয়েজ টোনে সেট করুন - এই নম্বরটিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিক্রয়ের বিজ্ঞাপনগুলো ভুয়া। ব্যক্তিগত ফোন হলে "দ্বিতীয়" নম্বরে ফোন করুন।
মনন
০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
প্রতারণার দলিল।
Sengupta
০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
হেরে গিয়ে কত রকমের অজুহাত !!ম্যাজিক আয়নায় নাকি নিজের ছায়া পড়ে না, শুধু অন্যের মুখ দেখা যায়! বিএনপির প্রার্থী ভিপি জয়নালের কাছেও তেমন আয়না আছে বুঝি?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
২০০৮ সালে ধানের শীষের যে প্রার্থী জিতেছেন উনি ২০১৮ সালে ৫ হাজার ভোট পাবেন সেটা কোনো ভাবেই বিশ্বাসযোগ্য না
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
আওয়ামীলীগ এমনই, এরা অপরাজনীতিতে সিদ্ধহস্ত????????
Sengupta
০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
ফেনী-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল) তাঁর প্রায় ৬০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এমন আর দেখেননি বলে জানান। উনার বর্তমান বয়স ৬৮ বছর। তাহলে কি উনি মাত্র ৮ বছর বয়সে রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেছিলেন?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
৪ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধ করতে পারলে ৮ বছর বয়সে রাজনীতিতে নামতে পারবে না কেন?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
আওয়ামী লীগের দুষ্ট চক্রের সদস্যরা আসলেই মেধাবী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
জিয়ার নির্বাচন আমি দেখিয়াছি; তাই এই নির্বাচনের খুঁত খুঁজিতে চাহি না আর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
হা হা হা
মনন
০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
এবারের নির্বাচনটি হয়েছে বহুমুখী প্রতারণার সমহার, এসবের জন্য ক্ষমতাসীনদের সামান্যতম অনুশোচনা নেই। তবে মাঠ পর্যায়ে সমর্থকরা বিচলিত এবং লজ্জিত, পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে তাদের গুরুত্বও হ্রাস পেয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
Really Selukas what a ... country it is
Freedom of Access
০৪ জানুয়ারী, ২০১৯
এই রকম ডিজিটাল চক্রান্ত কেউ কখনো কল্পনায়ও ভাবতে পারে না।