বর্তমান মন্ত্রিসভায় কুমিল্লার দুজন সাংসদ আছেন। নতুন মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তির জন্য এ জেলার আরও দুজনের নাম নিয়ে এলাকায় এখন আলোচনা চলছে। তাঁরা হলেন কুমিল্লা-৫ আসনে পাঁচবারের সাংসদ আবদুল মতিন খসরু ও কুমিল্লা-৬ আসনের তিনবারের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন।
আগামী সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ হবে। এ অনুষ্ঠান সামনে রেখে কুমিল্লার নগর থেকে গ্রামগঞ্জে আলোচনা হচ্ছে—নতুন মন্ত্রিসভায় কুমিল্লা থেকে কারা অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন।
কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের সাংসদ আবদুল মতিন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস) আসনের সাংসদ বাহাউদ্দিন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। দুজনই মুক্তিযোদ্ধা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার ১১টি আসনের সব কটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। তাই কুমিল্লাবাসীর প্রত্যাশা, এ জেলা থেকে এবার মন্ত্রীর সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়বে। ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট থেকে এ জেলার চারজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সরকারে জেলা থেকে একজন মন্ত্রী ছিলেন। ২০১৪ সালে মন্ত্রিসভায় ছিলেন দুজন। ভৌগোলিক অবস্থান, উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা ও ঐতিহ্যবাহী জেলা হিসেবে কুমিল্লা সেই দাবি রাখে বলে নেতা-কর্মীরা মনে করছেন।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, বর্তমান মন্ত্রিসভায় কুমিল্লার দুজন রয়েছেন। তাঁরা হলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর আ হ ম মুস্তফা কামাল পরিকল্পনামন্ত্রী হন। অপর দিকে রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক ২০১৩ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন। তাঁদের বাইরে এবার আলোচনায় সাংসদ আবদুল মতিন খসরু ও আ ক ম বাহাউদ্দিন।
আবদুল মতিন সাতবার নির্বাচন করে পাঁচবার জয়ী হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে তিনি প্রথমে আইন প্রতিমন্ত্রী ও পরে আইনমন্ত্রী হন। তাঁর সময়ে ‘ইনডেমনিটি’ অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচার হয়।
জানতে চাইলে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে মতিন খসরুর মতো সৎ মানুষের মন্ত্রিসভায় থাকা দরকার। তিনি একজন অভিজ্ঞ সাংসদ। এবারের মন্ত্রিসভায় তাঁকে চাই।’
আ ক ম বাহাউদ্দিন পাঁচবার নির্বাচন করে টানা তিনবার জয়ী হয়ে এবার ‘হ্যাটট্রিক’ করেছেন। ১৯৭৩ সালের পর, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিনিই আওয়ামী লীগকে এ আসনটি প্রথম উপহার দেন। এরপর থেকে কুমিল্লা সদর আসনে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে শক্ত অবস্থান তৈরি করে। তিনি ১৯৮৪ সাল থেকে টানা দুই মেয়াদে বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৩ সালে কুমিল্লায় বিএনপি ও জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচির সময়ে তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নেন। তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
জানতে চাইলে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক জি এস সহিদ বলেন, ‘বাহার ভাই মন্ত্রী হলে কুমিল্লার আরও উন্নয়ন হবে। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আরও চাঙা হবে। আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস, জননেত্রী শেখ হাসিনা এবার তাঁকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেবেন।’
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৫ জানুয়ারী, ২০১৯
নির্লজ্জ আকাশছোয়া কারচুপির ভোটে নির্বাচিতদের কে কে মন্ত্রী হচ্ছেন তা নিয়ে জনগণের একদম মাথাব্যাথা নেই । এসব ফালতু নিউজ দিয়ে পত্রিকার পাতা ভরানোর কোন মানে নেই ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৫ জানুয়ারী, ২০১৯
Election is election, this is not a fun...
SUNNY
০৫ জানুয়ারী, ২০১৯
ভৌগোলিক অবস্থান, উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা ও ঐতিহ্যবাহী জেলা হিসেবে কুমিল্লা সেই দাবি রাখে ।
Akash Wahid
০৫ জানুয়ারী, ২০১৯
আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার একজন সফল সংসদ সদস্য। তিনি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এর রূপকার, কুমিল্লায় শাসনগাছা ফ্লাইওভার, গোমতী নদীর উপর তিনটি ব্রিজ, গোমতী নদীর তীর ঘেষে কুমিল্লার মেরিন ড্রাইভখ্যাত ১০ কিমি দীর্ঘ সড়ক, কুমিল্লার স্থলবন্দর রোডসহ প্রতিটি স্কুল-কলেজে দ্বিতল-ত্রিতল ভবন নির্মান, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুমেককে ৫০০ শয্যায় রূপান্তর, কুমিল্লা স্টেডিয়ামের পুনঃনির্মাণ ও আধুনিকায়ন,প্রতিটি স্কুল কলেজে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, প্রতিটি মসজিদ-মন্দির-প্যাগোডা-গির্জায় জেনারেটর প্রদানসহ অসংখ্য রাস্তা-কালভার্ট নির্মাণ-মেরামত করেন৷ তাকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে স্থান দেয়া এখন সময়ের দাবী৷
Fayshal
০৫ জানুয়ারী, ২০১৯
আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার একজন সফল সংসদ সদস্য। তিনি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এর রূপকার, কুমিল্লায় শাসনগাছা ফ্লাইওভার, গোমতী নদীর উপর তিনটি ব্রিজ, গোমতী নদীর তীর ঘেষে কুমিল্লার মেরিন ড্রাইভখ্যাত ১০ কিমি দীর্ঘ সড়ক, কুমিল্লার স্থলবন্দর রোডসহ প্রতিটি স্কুল-কলেজে দ্বিতল-ত্রিতল ভবন নির্মান, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুমেককে ৫০০ শয্যায় রূপান্তর, কুমিল্লা স্টেডিয়ামের পুনঃনির্মাণ ও আধুনিকায়ন,প্রতিটি স্কুল কলেজে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, প্রতিটি মসজিদ-মন্দির-প্যাগোডা-গির্জায় জেনারেটর প্রদানসহ অসংখ্য রাস্তা-কালভার্ট নির্মাণ-মেরামত করেন৷ তাকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে স্থান দেয়া এখন সময়ের দাবী৷ (সহমত পোষন করলাম)