‘সরকারে থাকতে না পেরে’ জাপায় চাপা ক্ষোভ

পার্থ শঙ্কর সাহা ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

এইচ এম এরশাদসরকারে না থাকার বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সিদ্ধান্তে দলের বেশির ভাগ সাংসদই অখুশি। বিরোধী দলে থাকার বিষয়ে তাঁদের কোনো মতামত না নেওয়ায় দলের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধও তাঁরা। তাঁদের অনেকেই ভাবছেন, সরকারে থেকে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী হলে আখেরে দলের জন্যই ভালো হতো।

তবে দলের দু-একজন এ-ও বলছেন, বিরোধী দলে থাকলে একটি দল হিসেবে জাতীয় পার্টির গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। সেটা ভবিষ্যতের জন্য ভালো। আগের সংসদে বিরোধী দলে থেকে আবার সরকারের মন্ত্রী হয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। জাতীয় পার্টির এ অংশ মনে করে, এমন দ্বিমুখী চরিত্রের জন্যই এবার তাদের আসন কমেছে।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত ২৯৮টি আসনের ফলাফল অনুসারে, জোটগতভাবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট পেয়েছে ২৮৮ আসন। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট পায় মাত্র ৭টি আসন। আলাদাভাবে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি, জাতীয় পার্টি ২২টি আসন পায়।

২০১৪ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩৪টি আসন পেয়েছিল। দলের কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বিরোধীদলীয় নেতা হওয়ার পাশাপাশি চেয়ারম্যান এরশাদ মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালন করেন। কেন্দ্রীয় নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নু, মসিউর রহমান রাঙ্গা মন্ত্রিসভায় স্থান পান।

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পরপরই গত বৃহস্পতিবার ঐক্যফ্রন্ট বাদে নির্বাচিত সাংসদেরা শপথ নেন। দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ছাড়া শপথ নেন জাতীয় পার্টির বাকি ২১ সদস্যও । ওই দিন নির্বাচিত সাংসদেরা প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সভা করেন। বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আমরা নতুন সরকারের সঙ্গে যোগ দিতে চাই।’

তবে গতকাল শুক্রবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সই করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়, জাতীয় পার্টিই হতে যাচ্ছে প্রধান বিরোধী দল। বিরোধীদলীয় নেতা হবেন দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। দলের কোনো সদস্য মন্ত্রী হবেন না। আজ শনিবার আবার দলটির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাকে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ করার সিদ্ধান্ত জানান এরশাদ।

সাংসদদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত এভাবে পাল্টে ফেলায় অখুশি জাতীয় পার্টির একাধিক সাংসদ। তাঁদের একজন কিশোরগঞ্জ-৩ থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সাংসদ এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘পার্টির দুই কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ ও জি এম কাদের এবং সব সদস্য মিলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, আমরা সরকারে থাকব। কিন্তু পার্টির চেয়ারম্যান নিজেই একটা স্টেটমেন্ট (বিবৃতি) লিখে পাঠিয়ে বললেন যে আমরা বিরোধী দলে থাকব। আর আমাদের কোনো সদস্য মন্ত্রী হবে না।’

মুজিবুল হক বলেন, ‘উনি (এরশাদ) কাউকে ডাকেন নাই। কারও সঙ্গে আলাপও করেন নাই, প্রয়োজনও মনে করেন নাই।’ তবে পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে মনে করেন মুজিবুল হক। কিন্তু সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হতো বলে মনে করেন তিনি।

সরকারে না যাওয়ায় কণ্ঠে ক্ষোভ ঝরে পড়ে রংপুর বিভাগ থেকে নির্বাচিত এক জাপা সাংসদের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের সুনাম আছে। এবারও কয়েকজন নির্দ্বিধায় মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী হতেন। এসব দায়িত্বে থাকলে দলেরই সুবিধা হয়।’

শপথ নেওয়ার পর জাতীয় পার্টির সাংসদদের বৈঠকে ছিলেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি জানান, ওই বৈঠকে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদই প্রথম জানতে চান, তিনি বিরোধী দলে থাকতে চান। তাঁর সঙ্গে কে কে আছেন? ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘তখন প্রথমে আমি হাত তুলি। বাকি ১৯ জনই হাত তুলবে কি না, দ্বিধার মধ্যে ছিল। আমার মনে হয় সবারই আশা ছিল, তারা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী কিছু একটা হবে। আসলে বেশির ভাগেরই ইচ্ছা সরকারে থাকার।’

ফিরোজ রশীদ বলেন, জাতীয় পার্টি যদি সরকারে থাকতে চায় তবে দলের সবাইকেই সরকারে নিতে হবে। কেউ মন্ত্রী হবে বাকিরা বিরোধী দলের সাংসদ হয়ে থাকবে, এমনটা হলে মানুষের মনে খারাপ ধারণা হয়। ফিরোজ রশীদ মনে করেন, এভাবে ‘দ্বৈত নীতি’ নেওয়ার ফলে দলের ক্ষতি হয়েছে। এবার তাই আসন কমেছে।

আজই বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ হিসেবে রংপুর-১ থেকে নির্বাচিত সাংসদ ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গার নাম ঘোষণা করেছেন এরশাদ। বিরোধী দলে থাকার বিষয়টি টেলিফোনে এরশাদ তাঁকে জানিয়েছিলেন বলে জানান জাপা মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘আমাদের বেশির ভাগ সরকারে থাকার পক্ষে ছিলেন। তবে পার্টির চেয়ারম্যান কেন বিরোধী দলে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন, এটা উনি ভালো জানেন।’

দলের পরবর্তী সভায় এরশাদ বিরোধী দলে থাকার বিষয়টি বিশদভাবে তুলে ধরবেন বলে জানান রাঙ্গা।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং তা দ্রুত পাল্টে ফেলার বিষয়টি বেশ পুরোনো। এ নিয়ে দলের মধ্যে ক্ষোভও আছে। এভাবে বারবার সিদ্ধান্ত নিয়ে আবার পাল্টে ফেলার ফলে মানুষের কাছে হেয় হতে হয় বলে দলের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য মন্তব্য করেন। দলের এক জ্যেষ্ঠ নেতা মনে করেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভালোভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে সেবার জাতীয় পার্টি ৬০–এর কাছাকাছি আসন পেত। সুযোগটা হাতছাড়া হয়েছে দলের চেয়ারম্যান হঠাৎ করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে। এবার গতবারের চেয়েও আসন কম। তাই এখন সরকার থেকে দূরে থেকে নিজেদের ‘বিরোধী’ ভাব দেখানো কতটুকু কার্যকর হবে, তা নিয়ে সন্দিহান ওই নেতা।

মন্তব্য

  • image

    নাজারেথ স্বনন

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    দুঃখটা বুঝি।টাকাপয়সার নাগাল পেতে হলে তো সরকারে থাকতে হয়ই।

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

      আপনার নেতানেত্রীরাও গনতন্ত্রের মূলা ঝুলিয়ে এ জন্যই ক্ষমতায় যেতে পেট্টোলবোমায় মানুষ পুড়িয়েছিল। আজ মানুষের ঘৃনা তাদের অপরাজনীতির ভবিষ্যত পুড়িয়ে দিয়েছে।

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাহেব, মানুষের ঘৃনা না ভালবাসা সেটা পরিক্ষা করার জন্য একটা পেয়ার নির্বাচন পর্যন্ত আপনার সরকার দিতে সাহস করেনি। আফসোস এত জনপ্রিয়তার প্রতি।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    কাক্কুকে মূলা ঝুলিয়ে দেখানো হয়েছিল যে উনাকে করা হবে রাষ্ট্রপতি। পরে করা হলো প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। সেই পদের কি কাজ তা আজও বুঝলাম না। এখন উনাকে জোট থেকে কিক মেরে বিরোধীদলীয় নেতা করা হচ্ছে। আমি বলবো - ১৯৯০ এর পর এটাই হবে কাক্কুর সেরা পজিশন। একদা স্বৈরাচার খেতাব পাওয়া এরশাদ এখন সংসদে বিরোধী দলের প্রধান।

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

      সেই বিশেষ দূত পদের জোরেই মিডল ইষ্ট নেতৃত্বকে কব্জায় নিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপির সকল আনতর্জাতিক নেটওয়ার্ক ছিড়ে গেছে।।

  • image

    আন্দালিব

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    হেডিং দেখে বিএনপি পুলকিত হতে পারে, কিন্তু পড়ার পর শক্ড হবে--কেননা জাপা এমপিরা বিরোধি থেকে সরকারের মধ্যেই সবাই থাকতে চাচ্ছে!!

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

      বিরোধী দলে থাকলে একটি দল হিসেবে জাতীয় পার্টির গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। আ.লীগের এতে ক্ষতির কিছুই নাই বরং একটি কার্যকর বিরোধী দল দেশের সুশাসনের জন্য অপরিহার্য।। আর হালুয়া-রুটির সংসদের জন্য অবশ্য আন্দালিব আপনার মতামতই উপযুক্ত ।।

    • image

      Jamshed Patwari

      ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

      এরশাদের সরকারে যারা গৃহপালিত বিরোধীদলে ছিল এখন তারা সংকারে। আর যারা সরকারে ছিল এখন তারা গৃহপালিত বিরোধীদলে।

    • image

      আন্দালিবের পেতাত্মা

      ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

      এরশাদ সাহেব জাপা চালান না। জাপার নির্দেশনা আসে অন্য জায়গা থেকে!

  • image

    আল-নাঈম সিকদার

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    মাগনা আলকাত্রা কত ভাল লাগে,তার মূল্য শুধু জাপার মন্ত্রীরাই ভাল জানে .......''‘জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের সুনাম আছে। এবারও কয়েকজন নির্দ্বিধায় মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী হতেন। এসব দায়িত্বে থাকলে দলেরই সুবিধা হয়।’'

  • image

    রিদওয়ান বিবেক

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    সরকারের মধ্যে তলিয়ে যাচ্ছিলো;বাধ দিলে ক্ষোভের উদগীরণ তো হবেই।

  • image

    ফরিদ

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    মিডিয়াকে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দেয়া উচিৎ যেন তারা বিরোধী দলের ভুমিকা পালন করতে পারে

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

      But not be allowed. Digital Security Act is passed for that purpose

  • image

    abir

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    এ পৃথিবীতে এমনও প্রাণী আছে যারা জল ও স্থলে বাস করতে পারে,এদের বলা হয় 'উভচর',যেমন,ব্যাঙ্ । জাপার কিছু সাংসদকে মন্ত্রী ও বাকিদের বিরোধী দলে রাখলে ক্ষতি কি ? তখন দেশ ও দশ রসে ও কষে ভরে উঠবে !

  • image

    Jamshed Patwari

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    ক্ষোভ তো থাকবেই। জাপার সাংসদরা এতোদিন গাছেরটা আর নীচেরটা দুটোই খেয়েছে। এখন বলা হচ্ছে নীচেরটা খাইতে পারবা, গাছেরটা না।

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

      এসব নিয়ে আপনার ভাবার দরকার কি, আপনারা ভ্যা ভ্যা করে আগামী ৫ বছর কানতে থাকেন।

    • image

      নাম প্রকাশে ইচ্ছুক অনিচ্ছুক কিছুক মিছুক হিছুক পিছুক

      ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

      এসব নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাবার দরকার কি, আপনারা ভ্যা ভ্যা করে আগামী ৫ বছর কানতে থাকেন।

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

      Every sensible citizen has to ponder on as the country is not "Family Zamindari"

  • image

    Mohsin Reza

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    Unpredictable man, Nobody can trust.

  • image

    MD.ABDUR RAHMAN

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    জাতীয় পার্টির কিছু নেতা আছে যাদের চোখ সবসময় ক্ষমতার জন্য চকচক করে, তাদের স্বভাব চুকচুকে। আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মশিউর রহমান রাঙ্গা, মুজিবুল হক চুন্নু, জিয়াউদ্দিন বাবলুসহ আরো কয়েকজন আছে তাদেরকে যদি বলা হয় এরশাদকে বাদ দিয়ে আসতে পারলে তোমরা মন্ত্রী হবে, এরা এক মুহূর্তও দেরি করবে না। রাজনীতি নয় ক্ষমতাই হচ্ছে এদের একমাত্র বিষয়।

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

      তা মিয়াভাই আফনের নেতা খাম্বাতারেক বুঝি মহাত্মা গান্ধির রাজনীতি করে যে একেবারে নির্লোভ? তাছাড়া বর্তমান সরকার নিয়ে আপনাদের এত ভাবার দরকার কি, আপনারা ভ্যা ভ্যা করে আগামী ৫ বছর কানতে থাকেন তারপর দেখেন কিছু জোটে কিনা।

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, আপনার অনেক গুলা আক্রমাত্মক মন্তব্য প্র: আলো প্রকাশ করেছে যা সাধারনত করা হয় না। আপনি কি মুজিব নাকি এরশাদ ? নির্বাচনে জিতে পকপক করেন, আজ যে ক্ষমতার বড়াই করতেছেন, সে ক্ষমতা আপনাদেরকে জনগন দেয় নাই, হাইজ্যাক করে নিসেন ।

    • image

      মোবারাক সরকার

      ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

      অনিচ্ছুক, রাজনীতি করে তর মত আমরা পেট চালাতে হয় না। ভাতের জন্য কারো চাটুকারিতাও করতে হয় না। তাই, হাসি আর কান্না টা আপনার জন্যই রেখে দেন। আর এ সরকার পাচ বছর না পঞ্চাশ বছর ক্ষমতায় থাকলেও কোন সমস্যা না, শুধু ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে বলেন।

    • image

      নাম প্রকাশে ইচ্ছুক অনিচ্ছুক কিছুক মিছুক হিছুক পিছুক

      ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

      তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আফনের নেতা খাম্বাতারেক বুঝি মহাত্মা গান্ধির রাজনীতি করে যে একেবারে নির্লোভ? তাছাড়া বর্তমান সরকার নিয়ে আপনাদের এত ভাবার দরকার কি, আপনারা ভ্যা ভ্যা করে আগামী ৫ বছর কানতে থাকেন তারপর দেখেন কিছু জোটে কিনা।

  • image

    NAhmed

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    ক্ষোভ দিয়ে কিছু আসে যাবে না। বাস্তবে এরশাদ সাহেব জাপা চালান না। জাপার নির্দেশনা আসে অন্য জায়গা থেকে! যেভাবে নির্দেশনা আসে সেভাবেই এরশাদ সাহেব ঘোষণা দেন. আমার মন্তব্য তিক্ত হলেও বাস্তবে এটাই সত্য।

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

      You are absolutely right

  • image

    Mr Rayman

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    This is not politics, this not patriotism, this not public representation. This is just like getting contract to build a government project. Yes, all characteristics are same

  • image

    Shakib Khan

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    চলিতেছে সার্কাস :P

  • image

    Nd.Mikhail Haque khan

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    জাতীয় পাটির কি চরিত্ত আছে? জাতীয় পাটির নেতারা জানে আওয়ামীলীগর সাথে না থাকলে একটি আসনও পাবেনা।

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

      Exactly. They have been made "Domesticated Opposition"

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    হাসিনাতো উনার বোন! ভাবছি কিভাবে বিরোধীতা করবেন সংসদে। বরং বোনকে বুদ্ধি পরামর্শই দেবেন মনে হয়। কারণ খালেদা জিয়াতো উনার বিরোধী দল। তবে হাসিনা যেদিন খালেদা জিয়ার বোন হয়ে যাবে, কবি মশাই কী করবেন জানি না। বাবা ভঙ্গকে যদি পুর্বাভাষ দিতে বললে, প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে বলবেন হয়তো, ৯০তে যেহেতু গণতন্ত্রের জন্য লড়ে মশাইকে নামিয়েছেন, খালেদার জিয়া বয়সে বড় হওয়ায় হাসিনা শ্রদ্ধা ও সম্মান করেন (পুরানো ফোনালাপ), এবার খালেদা জিয়ার কাছ থেকে ফোন গেলে হাসিনার কাছে যার সম্ভাবনা খুব বেশী, দুজনের বয়সও হয়েছে, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য খালেদা জিয়া যদি জা কে ফেলা দেয় আর হাসিনা যদি জা কে ফেলে দেয় বীজগণিতের নিয়মে ডানপক্ষ সমান বামপক্ষ হয়ে যায়, অর্থাৎ ২০১৯ কিংবা ২০২০ সালে দেখতে হাসিনা খালেদা এক হয়ে গেছেন: ঈদের কার্ড পাঠাচ্ছেন, বাঙলা নববর্ষে শুভেচ্ছা পাঠাচ্ছেন আর আপনি মশাই ........!!!!

  • image

    Shubhro Ahmed

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    "তবে দলের দু-একজন এ-ও বলছেন, বিরোধী দলে থাকলে একটি দল হিসেবে জাতীয় পার্টির গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। সেটা ভবিষ্যতের জন্য ভালো। " এটাই ঠিক। এটাই করণীয়।

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

      But they can,t deprive themselves of "Halua Rooti". Moreover, their political master will never allow them to play role of genuine opposition

  • image

    Engr.Anisur Rahman Shishir

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    এই সিদ্ধান্ত কতক্ষণ টিকে সেটাই দেখার অপেক্ষা।

  • image

    Sengupta

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    জাপায় চাপা ক্ষোভ এরশাদের কত লোভ! এমন দ্বিমুখী চরিত্রের জন্যই এবার তাদের আসন কমেছে।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৫ জানুয়ারী, ২০১৯

    In the rogue politics of Bangladesh, Ershad and JP are both dead to the people. They are an integral part of Hasina's circus party only. Anyone disagree?

    • image

      নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

      ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

      No room for disagreement. He is part of the filthy politics of the country and a complicit of destruction of electoral system of the country

  • image

    Mohammed

    ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

    পাওয়া, না পাওয়া জাপায় চাপা ক্ষোভ মনে কাঁদে লোভ এখন পেটায় চাপা করতে দফা রফা !

  • image

    jakir hossain

    ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

    একটা বিষয় আমাকে অভাক করে তাহল প্রথমালোর মত এমন একটি পত্রিকায় কিভাবে আসে আওমীলীগ পেয়েছে ওৈঐক্যফ্্রন্ট পেয়েছে বরং লিখুন বিএনপিকে দেয়া হয়েছে

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

    আংকেল দ্রুত ডিগবাজী দিতে পারেন. সিএমএইচ গিয়ে আবার কোনদিকে ডিগবাজী দেন কে জানে ?

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

    জাপার চাবিকাঠির আসল মালিক আর চাচার মধ্যে মনেহয় একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে, সেটার চিকিৎসা করার জন্য আবার সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে.

  • image

    Deepak Eojbalia

    ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

    Please maintain the parliamentary system that opposition never get power. If it was absent it would be power politics. That means it one sided and no accountability.

  • image

    Monzur

    ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

    ক্ষোভ তো হবেই; বুভুক্ষের হাতে পাওয়া হালুয়া-রুটি মুখে দেয়ার আগেই কাকে ছো দিয়ে নিয়ে গেলে যা হয় আর কি!

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

    জালিয়াতি কত ধরনের? এরশাদ তাদের প্রতিনিধিত্ব করে।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

    আজ রোববার, গত রোববার ভোটদস্যুতার মাধ্যমে ক্ষমতার জবরদখল ধরে রাখা নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগাররা। আওয়ামী লীগের ভোটদস্যুতার এক সপ্তাহের মাথায় আজ রোববার আওয়ামী লীগারদের বিরুদ্ধে নীরব ঘৃণা জানাবো, এজন্য প্রথম আলোসহ কোথাও কোন মন্তব্য লিখবো না বা তাদের কোন বক্তব্যের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেবো না, আসুন দেশকে দখল করে নেয়া আওয়ামী লীঘঅররা কত কী করতে পারে নীরবে তা চেয়ে চেয়ে দেখি। তাদের লেখা পড়ে, মুর্খতার নানাদিক সম্পর্কে জানি, গাজোরি মন্তব্য পড়ি এবং পুরোটা দিন ওদের বিরুদ্ধে ঘৃণাভরে নীরবতা অবলম্বন করি। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে নেয়া দস্যুদের বিরুদ্ধে নীরব থেকে ঘৃণা জানানোর এই কর্মসূচির সাথে একাত্ম হউন, সব ভোটহারা নাগরিকবৃন্দ।

  • image

    শেখ সায়ফুল্লাহ

    ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

    "বিরোধী দলে থাকার বিষয়ে তাঁদের কোনো মতামত না নেওয়ায় দলের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধও তাঁরা। " দলের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত!!! সত্যি!!! রাজনীতি করলা, কিন্তু কিছু শিখলা না! বিগত দশ বছরে এরশাদ চাচা নিজে থেকে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন? তাকে কে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোড়াচ্ছে জানো না? - - - বিগত সংসদ একটা লেজে-গোবরে অবস্থা ছিল! এবারের পুরো নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ? কারন সবাই প্রশ্ন করছে নির্বাচন কোথায় হল? সেই প্রশ্ন বিদ্ধ নির্বাচনের পর যদি আবার সেই লেজে গোবরে সংসদ হয় তাহলে আরো বিতর্ক বাড়বে। তাই এরশাদ চাচাকে বিরোধী দলে পাঠানোর চেষ্ট করা হচ্ছে যাতে আই ওয়াশ করা যায় যে সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দল আছে। এতে কার ফায়দা সেটা বুঝতে পারলে একটা বাচ্চাও বুঝতে পারবে এটা করে করাচ্ছে! তবে কাকার সাথের লোকেরা ভাগ পেতে উঠে পরে লেগে গেলে সিদ্ধান্ত কাকাকে পাল্টাতেই হবে। - - - মজাটা হল, সাবেক স্বৈরশাসক সহযোগীতা করছেন বর্তমান স্বৈরাশাসককে দাঁড়িয়ে যেতে! ইতিহাস কত বর্বর কৌতুক করে! এ

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

    পাতে দেওয়া হালুয়া রুটির ভাগ কে ছাড়তে চায় ?

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

    দুমোখী সাপ তেমন কিছু করতে পারে না। সন্তান বিহিন পরিবার সন্তানের সমন্দে কিছু বোঝেন না।

  • image

    বাশওয়াল

    ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

    এরশাদকে জেন্ত মোমি করে জাদুঘরে রাখা উচিৎ...।।

  • image

    Kazi Enam

    ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

    হালুয়া রুটির মজা পেয়েছে বলেই সরকারে থেকে মন্ত্রী কিংবা প্রতিমন্ত্রী হওয়ার খায়েশটা বার বার উঁকি দেয়।

  • image

    Sushen Biswas

    ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

    এরশাদ খুব চালাক, তিনি খুব ভাল করেই জানে এবার ওর দলের কারো মন্ত্রিত্ব তো দুরে থাক, কোন মিডিয়া কাভারেজও মিলবে না সরকারে গেলে , বিয়ে কোরেও লাইম লাইটে থাকার চেস্টা কোরেছেন বহু বছর , এবার বিরোধি দল পেয়েছেন কোন ছারাছারি নাই ।

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ০৬ জানুয়ারী, ২০১৯

    keep patience.

সব মন্তব্য