যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের সাংসদ স্বপন ভট্টাচার্যকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ঘোষণার খবরে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে গোটা জেলার মানুষ। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তাঁর নাম ঘোষণা করা হলে মনিরামপুর উপজেলা বিভিন্ন হাটে বাজারে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অভিনন্দনের ঝড় ওঠে।
মনিরামপুর উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী গোপাল সাহা বলেন, ‘আমাদের মণিরামপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে। আমরা প্রতিমন্ত্রী পেয়েছি। আনন্দে মনিরামপুর বাজারে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। নতুন প্রতিমন্ত্রীর কাছে আমার একটাই দাবি, আমরা যারা সনাতন ধর্মের মানুষ, তারা যেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার না হই। আমরা শুধু আমাদের নিরাপত্তা চাই। ছোট ছোট কারণে আমরা লাঞ্ছনার শিকার হই। এটা যেন না হয়।’
ব্যবসায়ী হারুণ সেলিম বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা, এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, বেকারত্ব দূর করা। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা।’
স্বপন ভট্টাচার্যের প্রতিমন্ত্রী হওয়ার খবরে মনিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড়, চালুয়াহাটি, রাজগঞ্জ, দূর্বাডাঙ্গা, গোপালপুরসহ বিভিন্ন বাজারে মিষ্টি বিতরণ করে আনন্দ–উল্লাস প্রকাশ করা হয়েছে।
মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ ৩১ বছর পর মনিরামপুর থেকে স্বপন ভট্টাচার্য প্রতিমন্ত্রী হলেন। আশা করছি, এবার মনিরামপুরে ব্যাপক উন্নয়ন হবে।’
যশোর-৫ আসন থেকে পরপর দুবার সাংসদ নির্বাচিত হলেন স্বপন ভট্টাচার্য। এর আগে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির শাসনামলে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান বর্তমান বিএনপির শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একাংশের সভাপতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস। তিনি সদ্য সমাপ্ত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিজিত হন।
স্বপন ভট্টাচার্য ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও পরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত হন। তাঁর বড় ভাই পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। স্বপন ভট্টাচার্য রাজনৈতিক জীবনে ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ও সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
Sengupta
০৭ জানুয়ারী, ২০১৯
একটাই দাবি, আমরা যারা সনাতন ধর্মের মানুষ, তারা যেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার না হই। আমরা শুধু আমাদের নিরাপত্তা চাই। ছোট ছোট কারণে আমরা লাঞ্ছনার শিকার হই। এটা যেন না হয়।’