‘মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতিচর্চা ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। বিগত পাঁচ বছরে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ দায়িত্ব সাধ্যমতো পালনের চেষ্টা করেছি। প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এ বিরল সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। আমি শিল্পের জগতের মানুষ। এ জগতে আমি ছিলাম, আছি ও থাকব।’
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আজ সোমবার সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিদায় অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান নূর এসব কথা বলেন। সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে সংস্কৃতিচর্চার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবকাঠামো সুবিধা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এসব সুযোগ-সুবিধা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছে কি না এবং এসব অবকাঠামো ব্যবহারের পর্যাপ্ত মানুষ তৈরি হচ্ছে কি না। বিদায়ী মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সে কাজটিই করছি। মঞ্চের সামনের মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করছি। কেননা, সবাই শিল্পী হবে না। সংস্কৃতিমনস্ক ও শিল্পরসিক মানুষ যত বাড়বে, ততই দেশের জন্য মঙ্গল।’ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন প্রতিমন্ত্রী এ কাজটি আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন আসাদুজ্জামান নূর।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব রোকসানা মালেক ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আলতাফ হোসেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহম্মদসহ সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
নতুন মন্ত্রিসভায় এবার ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনের কে এম খালিদ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
M
০৭ জানুয়ারী, ২০১৯
he got too much more than he actually deserve
Deepak Eojbalia
০৭ জানুয়ারী, ২০১৯
'Baker Bhai' again hanged.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৭ জানুয়ারী, ২০১৯
বদিও টেকনাফে....
Masud Parvez
০৭ জানুয়ারী, ২০১৯
উৎসব যার যার আনন্দ সবার।
হুমায়ূন কবির
০৭ জানুয়ারী, ২০১৯
আসাদুজ্জামান নূর ভাল শক্তিমান অভিনেতা এতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু বিগত দশ বছরে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্ব নিয়ে উনি উল্লেখযোগ্য কি কাজ করেছেন তা কি কেউ বলতে পারবেন। আমরাতো কোথাও শুনলাম না তার বিশেষ কোন কাজের বা অবদানের কথা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৭ জানুয়ারী, ২০১৯
হয়তো আপনি বুঝতে পারছেন না উনার অবদান। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সংস্কৃতিজগতের প্রতিষ্ঠিত গুণী সৎ মানুষ ঐ মন্ত্রণালয়ে ছিল গত দশবছর। উনার আগে জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও আওয়ামীলীগ সরকারে এরকম কেউ ছিল বলে মনে হয় না। জানি না, উত্তরের কার্তিকের মঙ্গা নিয়ে আপনার কোন ধারণা আছে কিনা। এটুকু জানুন ওখানে কার্তিকের মঙ্গা আর হানা দেয় না সেখানে। উনি কী ধরনের নিবেদিত ছিলেন সেখানে বর্ণনাতীত ও সাংস্কৃতিক ভিত্তিকে সুদৃঢ় করতে কাজ করেেছেন সারা বাংলাদেশে। এ সরকারেও এরকম আর কাউকেতো দেখা যাচ্ছে না।
হুমায়ূন কবির
০৮ জানুয়ারী, ২০১৯
আমার বাসা উত্তর বঙ্গে। তাই মঙ্গা সম্পর্কে খুব ধারনাই রাখি। মঙ্গা থেকে মুক্তি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ফসল। গুরুত্বপূর্ন দায়িত্বে থাকলে গুণী সৎ হলেই শুধু হয়না, উদ্যোগী ও কার্যকরও হতে হয়। পরিবর্তন আনতে জানতে হয়। তবে এই লোকটাকে আমি অনেক বেশি শ্রদ্ধা করি। তাই তার কাছ থেকে আমার প্রত্যাশা অনেক বেশী।
এস মুন্সী
০৮ জানুয়ারী, ২০১৯
ভালো হলো, আবার আপনাকে টিভিতে দেখতে পাবো আশা করছি। Welcome home!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৮ জানুয়ারী, ২০১৯
একটা বই লিখুন, যেটাতে আপনি লিখে যাবেন আপনার পাঁচ বছরের মন্ত্রীত্বের জানা অজানা অনেক কিছু। সাথে থাকবে এমন কিছু বিবরণ যেখান থেকে আমরা জানতে পারবো আপনি পাঁচ বছরে জাতিকে এমন কী দিয়েছেন যা আগের মন্ত্রীরা দিতে পারেনি। আমরা বাইরে থেকে আপনার মন্ত্রীত্বে গতানুগতিকতার বেশি কিছু দেখিনি। তাই আমাদের জানান দিন।