২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে এবং ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর জোর দেবেন বলে মন্তব্য করেছেন নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। আজ সোমবার এক প্রতিক্রিয়ায় নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাসসকে এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা এবং ২০৩০ সাল নাগাদ সকল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করাসহ প্রধানমন্ত্রীর আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বিভিন্ন ভিশন বাস্তবায়ন এবং এর কাজ ত্বরান্বিত করতে অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর বেশি জোর দেওয়াই হবে আমার মূল লক্ষ্য।’
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০৪০ সাল নাগাদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে এবং পরবর্তী এক শ বছরে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আবদুল মোমেন বলেন, ‘এটা একটা বড় বিষয়। এই সংকট নিরসনের উপায় খুঁজে বের করতে প্রথমে আমাকে সমস্যাটা বুঝতে হবে।’ নবনিযুক্ত মন্ত্রী বলেন, জনগণের ব্যাপক রায় পেয়ে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার কারণে বর্তমান সরকারের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি হওয়ায় আমাদের দায়িত্বও অনেক বেড়ে গেছে।’
বিদায়ী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছোট ভাই আবদুল মোমেন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একই সঙ্গে তিনি চিলি ও পেরুর রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বও পালন করেছেন।
এ কে আবদুল মোমেন বোস্টনে নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি এবং ব্যবসায় প্রশাসনে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় (কেমব্রিজ) থেকে জনপ্রশাসন, জননীতি ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিষয়ে এমপিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি, ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিতে এমএ ও বিএ (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন। ড. মোমেন মেরিম্যাক কলেজ, সালেম স্টেট কলেজ, নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস এবং হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির কনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টে অর্থনীতি এবং ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইউনিসেফের নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৭তম অধিবেশনে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
এক কে মোমেন ২০১৪ সালে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ে জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের কমিটির সভাপতি ছিলেন।
আজ সোমবার ২৪ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও ৩ উপমন্ত্রী শপথ নেন। বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান। এর আগে চতুর্থবারের মতো এবং টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২৫৭টিতে জয় পায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জোটগতভাবে পায় ২৮৮ আসন। অন্যদিকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও তাদের জোট ঐক্যফ্রন্ট পায় ৭টি আসন। তবে এ সাতজনের কেউ এখন পর্যন্ত শপথ নেননি।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
Moazzma H
০৮ জানুয়ারী, ২০১৯
পশ্চিমা দেশগুলি মুখে মানবতা ন্যায়-বিচারের কথা বললেও, আসলে ওদের সকল কূটনীতি হচ্ছে অর্থনৈতিক সফলতাকে ধরে রাখা বা কুক্ষিগত করা । উন্নয়নের জন্য আমাদের দরকার অর্থনৈতিক প্রবৃদধির, সেই ভাবে কূটনীতি চালু হোক । মুখে নয়, মাইল ফলক বসিয়ে দেখতে হবে এই দূরত্বটা অতিক্রম করতে পেরেছি ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৮ জানুয়ারী, ২০১৯
তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা দারুণ। এখন এগুলা দেশের জন্য কাজে লাগালেই আমরা সবাই উপকৃত হবো ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৮ জানুয়ারী, ২০১৯
Certainly Qualified for this job
rokib hasan
০৮ জানুয়ারী, ২০১৯
a highly qualified professional diplomat now foreign minister.
Enamul Hafiz Latifee
০৮ জানুয়ারী, ২০১৯
Very best wishes to the Minister, he is well-qualified for the position and we wish to see a paradigm shift in the domains of economic diplomacy and delta plan implementation starting soon!