ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া জয়ী হয়েছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈনউদ্দিন মঈনকে ৮ হাজার ৫৭৮ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন। বুধবার স্থগিত তিনটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ হয়। ১৩২ কেন্দ্রের ফলাফলে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মঈনউদ্দিন মঈন পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের দিনে অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার কারণে আশুগঞ্জ উপজেলার তিনটি কেন্দ্র স্থগিত করা হয়। বুধবার স্থগিত এই তিনটি কেন্দ্রে আবার ভোট গ্রহণ করা হয়। এর আগে ১৩২টির মধ্যে ১২৯টি কেন্দ্রে আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া পেয়েছিলেন ৮২ হাজার ৭৩২ ভোট। মঈনউদ্দিন মঈন পেয়েছিলেন ৭২ হাজার ৫৬৪ ভোট। এই তিনটি কেন্দ্রে ১০ হাজার ৫৭৪ ভোটের মধ্যে বুধবার ৪ হাজার ৩০০ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে কলার ছড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈনউদ্দিন পেয়েছেন ২ হাজার ৮৫৫ আর ধানের শীষ প্রার্থী পেয়েছেন ১ হাজার ২৭৪ ভোট। এ আসনে ৮৩ হাজার ৯৯৭ ভোট পেয়ে জয়ী হন উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। মঈনউদ্দিন মঈন পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৪১৯ ভোট।
এর আগে জাতীয় এক্যফ্রন্টের সাতজন প্রার্থী জয়ী হন। উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার জয়ের পর জোটের জয়ী প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল আটে। তবে ৩০ ডিসেম্বরে জয়ী সাত প্রার্থী এখনো শপথ নেননি।
প্রসঙ্গত, এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিল না। মহাজোটের প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টি (জাপা) এইচ এম এরশাদের যুববিষয়ক উপদেষ্টা ও দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূইয়া। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মঈন উদ্দিন ভূইয়া এবং জিয়াউল হক মৃধা। জিয়াউল হক মৃধা ও রেজাউল ইসলাম ভূইয়া সম্পর্কে জামাই–শ্বশুর। নির্বাচনের দুদিন আগে রেজাউল ইসলাম ভূইয়া শ্বশুরের সম্মানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে আসেন।
এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮ আসনে জয় পেয়েছে। আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৫৭ আসনে জয় পায়। জাতীয় পার্টি ২২ আসনে জয় পায়। ৩ জানুয়ারি নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা শপথ নেয়।
একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসছে ৩০ জানুয়ারি। ওই দিন বেলা তিনটায় সংসদ অধিবেশন আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ওই দিনই একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হবে।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
Ahmadulla
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
সারা দেশে ভোট স্থগিত করে আবার গ্রহণ করুন। দেখবেন কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়।।
A.K.M.OBAIDULLAH
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
নিশ্চয়ই বাংলাদেশের পানি সিন্ধু নদী হয়ে আরব সাগরে গড়াবে না ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১০ জানুয়ারী, ২০১৯
গড়াগড়ি বাদদিয়ে দয়া করে সংসদে যান দু চারটি জনগনের পক্ষে কথা বলুন, এবং আন্দোলন করুন, তানাহলে সামনে আরও বিপদ বি এন পি সহ সকল জনগনক ভোগ করতে হবে, আপনাদের নেতাদের রাজনৈতিক দুরদর্শিতা কম আছে মনে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
এই সান্ত্বনা পুরস্কারটা নিয়ে সংসদে যাও।
রিদওয়ান বিবেক
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ২৯৫ আসনে এমন ফলের প্রতিফলন হতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১০ জানুয়ারী, ২০১৯
What happened to all the 6 seats where EVM was used? The percentage of vote casting at EVM centres were 46%, meaning that the election was fair and free. And still AL won in all those 6 constituencies.
Monju Islam
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
He didn’t win rather AwamiLeague made him win. Just another joke!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
হা হা হা ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
যতই জিতেন না কেন আপনার কোনো লাভ হবে না কারণ আপনার দল বিএনপি জীবনে আর কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
এই না হলে কি ভোট ডাকাত বলা যাবে?
shamim chowdhury
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
গত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হতে হলে এই নির্বাচনে ৮৫% এর ধরে কাছে ভোট কাস্ট হওয়ার কথা ছিল কিন্তু কাস্ট হয়েছে মোটে ৪০.৬৬%. যেখানে বিএনপির ভোট ১% অথবা ২ % ভোট থাকার কথা সেখানে ২৯.৬২% ই বা এলো কথা থেকে। ফেনী ২ অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে ৩৪৪৮ ভোটের মধ্যে কাস্ট হয়েছিল ৩২০০ ভোট মানে ৯৪.১১% . নৌকার প্রাপ্ত ভোট ৩১৬৭ যা কিনা ৯৮.৯৬ % , সেখানে অন্য কোন প্রাথী ভোট পায়নি। এই এলাকার কি মৃত , অসুস্ত এবং প্রবাসীরাও ভোট দিয়েছে? বিএনপির যে কয়েকশ কর্মীর নাম মামলা আছে যারা বিএনপির নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন তারাও কি নৌকায় ভোট দিয়েছেন ? না দিয়ে থাকলে যারা তাদের আইডেন্টিটি চুরি করে ভোট দিয়েছে , যারা আইডেন্টিটি চুরি করতে সুযোগ দিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক।
Shams Shahariar
১৪ জানুয়ারী, ২০১৯
ভোট ডাকাতদের কাছে ভোট ডাকাতির শাস্তি চান, ভাই 😟😟🤔
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ২৯৫ আসনে এমন ফলের প্রতিফলন হতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
Allah!!!how is it possible?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
ধানের শীষের প্রার্থী বলেই এগিয়ে থাকা সত্বেও ওনার বিজয়টি আটকে ছিল ...
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
ক্ষমতায় থেকে এত টানাটানি করে মাত্র ৪০% ভোট পড়লো । ৩০ ডিসেম্বর হলে এখানে ৯০% ভোট পড়তো৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
বিবেক সাহেব, তবে উক্ত এমপি সাহেব শপথ নিচ্ছেন বলে আমরা ধরে নিতে পারি।আর যদি না নেন তবে ২৯৫ মার্কা গল্প আর দিবেন না।ঘরে বসে আপনারা মাছির সাথে যুদ্ধ না করে সংসদে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
অত্যন্ত হাস্যকর এই নাটকের জন্য আওয়ামী লীগের নিকট জাতি চির কৃতজ্ঞ হইয়া থাকিবে। মনে হইতেছে কাটা গায়ে নুন ছিটাইয়া দিয়া তাহারা অনেক আনন্দ উপভোগ করিতেছে। এইভাবে বেশিদিন করিলে নুনের দাম বাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রহিয়াছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
After watching the news my mouth was opened with wonder. A fly enters into my mouth.
MD AL EMRAN
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
জিতে কি লাভ
Mir Md Mofazzal Hossain
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
পাকিস্তান আর জঙ্গী প্রেমের কারণে বিএনপি-জামাত ও তার সমর্থকেরা আজ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে রাস্তায় ঘুরে বেরাচ্ছে, আর প্রলাপ বকছে!! যেখানে দলই অস্তিত্ব সংকটে, সেখানে আগ্রহ থাকে কি করে ?
Jamshed Patwari
১০ জানুয়ারী, ২০১৯
রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতি করে আবার বড় গলা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১০ জানুয়ারী, ২০১৯
কবে অপরাধবোধ কাজ করবে?? কবে হৃদয় জাগবে???
AKM HOSSAIN
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
“যতই জিতেন না কেন আপনার কোনো লাভ হবে না কারণ আপনার দল বিএনপি জীবনে আর কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না”।...... এর কারন হলো ভদ্র লোকেরা চুরি করতে জানেনা, চুরেরা ভোট চুরি করতে জানে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১০ জানুয়ারী, ২০১৯
বিএনপি শুধু ক্ষমতার জন্যই রাজনীতি করেনা।
Al Arafat
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
এই লোক শারীরিকভাবে অনেক অসুস্স।কেমনে কি
Sohel S.parvez
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
এখানে বিএনপি র ই জেতার কথা।আমি যতটুকু জানি উকিল আব্দুল সাত্তার জনপ্রিয় মানুষ।অনেক আগে থেকেই তিনি জনপ্রিয়।বিএনপি শপথ নিবে না তারপরও উনি নির্বাচন ছেড়ে দেননি সেটাই আশ্চর্যের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১০ জানুয়ারী, ২০১৯
এ রকম জনপ্রিয় কি বাংলাদেশে নুন্যতম ২০ জনও ছিল না? বিএনপির!
Md. Shafiqur Rahman
১০ জানুয়ারী, ২০১৯
কিছু কিছু সিট আছে ব্যক্তিগত
kalamurrahmanaman
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
বিম্পিজামাত শিবিরের শক্ত ঘাঁটি। রাজাকারের দুর্নীতি না করলে এটাতেও আঃ লীগ জিৎতো
গোপাল বোষ
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
যারা ধানের শীষে মেয়র হয়েছিল, তারা বুঝেছিল মেয়র হওয়ার মজা। এবার যারা এমপি হয়েছেন তাদের কপালে কি ঘটে তা দেখার জন্য খুব বেশিদিন অপেক্ষা করা লাগবে না।
Moniruzzaman
১০ জানুয়ারী, ২০১৯
এদেশে যখন যারা বিরোধী দলে থাকে সব মজা তাদের জন্যই বরাদ্দ থাকে।
গোপাল বোষ
০৯ জানুয়ারী, ২০১৯
ওই আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী নাই বলে আপনার কপালে বিজয় জুটেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১০ জানুয়ারী, ২০১৯
স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মঈন উদ্দিন ভূইয়া ব্যাপক কারচুপি করেও কুলিয়ে উঠতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১০ জানুয়ারী, ২০১৯
তারা জিতে লাভ কি, তারাতো জনগনের ইচ্ছাকে সন্মান করে সংসদে যাবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১০ জানুয়ারী, ২০১৯
হাহ হাহ হাহ!!
Zibanta zannat
১০ জানুয়ারী, ২০১৯
Go to Parliament and keep the road clear. There is no time to expire. Everybody should take part with the development of motherland.
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১০ জানুয়ারী, ২০১৯
শুধু দিনের ভোট হিসাব করে রেজাল্ট দিয়ে দিলো!!!!!!!!!
abir
১০ জানুয়ারী, ২০১৯
অভিনন্দন, উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া! যদিও আপনার দল 'অনিয়ম'-এর কারণে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছে এবং শপথ নেননি তথাপিও একই কারণে আপনি স্থগিত নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকেননি।
Oronnok Hassan
১০ জানুয়ারী, ২০১৯
বেদনা মধুর হয়ে যায়
Md.Babul Hossain
১০ জানুয়ারী, ২০১৯
সারা দেশ তাকিয়ে আছে। এখন ভোট পড়েছে ৪০%! আগে পড়েছে ৯৯%!
Md. Shafiqur Rahman
১০ জানুয়ারী, ২০১৯
এখন অনেকে হিসাব করেছে আর ভোট দিয়ে লাভ কি? সরকার তো গঠন হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
১০ জানুয়ারী, ২০১৯
আন্দলনের অংশ হিসাবে সংসদে যোগ দিয়ে দেন !
Nurus Salehin
১১ জানুয়ারী, ২০১৯
ইতোমধ্যে জাতি বুঝতে পেরেছে আওয়ামী লীগকে জনগণ ও বিরোধী মতের লোকেরা কত ভয় পায়? পত্রিকায় প্রায় সকলমন্তব্যই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। সত্যিকার অর্থে আওয়ামী লীগের প্রায় সবাই জানেন যে ভোটের পূর্ব রাত্রে ব্যালট বাক্স ভরে না রাখলে, সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে কি দুর্দশাই না তাদের হতো !! দলীয় সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশে হবেনা,তা সুনিশ্চিত। আওয়ামী লীগ বিএনপি যারাই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন যে গতিতে হচ্ছে সেই গতিতে হবে। অতএব নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের চিন্তা অনেকটা প্রসারিত হয়েছে।