বিএনপিসহ তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

প্রতিনিধি, গাইবান্ধা ১১ জানুয়ারী, ২০১৯

ঘোষিত পুনঃ তফসিল অনুযায়ী জাতীয় সংসদের গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। তাঁরা হলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট–সমর্থিত জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান সাদিক, বাম গণতান্ত্রিক জোটের বাসদের সাদেকুল ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. হানিফ দেওয়ান।

সন্ধ্যায় গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল মতিন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে এই তিনজনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ আসনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ। ভোট গ্রহণ করা হবে ২৭ জানুয়ারি।

এ আসনে বর্তমানে যে পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন, তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ ইউনুস আলী সরকার, জাতীয় পার্টির দিলারা খন্দকার, জাসদের এস এম খাদেমুল ইসলাম, এনপিপির মিজানুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদ।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরী গত ১৯ ডিসেম্বর মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে এ আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ফলে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন এ আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়নি। ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন এ আসনের নির্বাচনের জন্য পুনঃ তফসিল
ঘোষণা করে।

গাইবান্ধা শহরের সার্কুলার রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গতকাল দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের আশঙ্কা করে এবং বেশ কিছু কারণ দেখিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মইনুল হাসান। সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে গিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থী সাদেকুল ইসলাম বিকেলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর সাংবাদিকদের বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর যে প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে, তাতে করে এই সরকারের অধীনে আর কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার কোনো রকম সম্ভাবনা নেই। সে কারণে তাঁর দল বাসদ ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর একই মন্তব্য করেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. হানিফ দেওয়ান।

এই তিনজনের অভিযোগ প্রসঙ্গে সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল মতিন মুঠোফোনে বলেন, ‘এসব নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। ওই সব আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। তবে ২৭ জানুয়ারির নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’

মন্তব্য

  • image

    Mohammad Sirajullah

    ১১ জানুয়ারী, ২০১৯

    EC should go ahead with the election. Everybody has a right to contest in or withdraw from the election and EC must respect people's right.

  • image

    Rashidullah

    ১১ জানুয়ারী, ২০১৯

    প্রত্যাহার করা ঠিক হয়নি

  • image

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

    ১১ জানুয়ারী, ২০১৯

    প্রত্যাহার তো করবেনই যখন তিনি ( মইনুল হাসান সাদিক) দেখলেন যে তার কোনো জনপ্রিয়তা নেই গ্রহণযোগ্যতা নেই এবং তাকে কেউ ভোট দেবেনা ঠিক তখনই তিনি (মইনুল হাসান সাদিক) মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করলেন এর নাম বিএনপি জামায়াত হায়রে কপাল !

  • image

    msIqbal

    ১১ জানুয়ারী, ২০১৯

    জাতির আশা, আওয়ামী লীগ ছাড়া বাকি চার জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে অন্তত একজনকে বিনা প্রতিদ্বন্তিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ২০১৪ সালের ঐতিহ্য ধরে রাখতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন!

সব মন্তব্য