কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর উপজেলা) আসনে পুনর্নির্বাচনে দুজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছোট বোন সৈয়দা জাকিয়া নূরের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জাকিয়া নূর।
যাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তাঁরা হলেন জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ও পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আইনজীবী ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন ও জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন মৎস্যজীবী পার্টির কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. মোস্তাইন বিল্লাহ।
আজ রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার সম্মেলনকক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী এ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, ভূপেন্দ্র ভৌমিকের হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকার কারণে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। আর মোস্তাইন বিল্লাহ মনোনয়নপত্রে নিজেকে ‘স্বশিক্ষিত’ উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে ‘স্নাতক’ উল্লেখ রয়েছে, তাই তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৬ সাল থেকে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে টানা পাঁচবার নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন। গত বছরের জুলাই মাসে ফুসফুসে ক্যানসারের কারণে তাঁকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে তিনি বিজয়ী হন। কিন্তু সাংসদ হিসেবে শপথের আগেই ৩ জানুয়ারি ওই হাসপাতালেই মারা যান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তাঁর মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে পুনর্নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
ROFIQ
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
এতো গর্বের কিছু নায় !!! এই কথা গুলো আগে থেকেই জানা ।
msIqbal
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
মনে বড় আশা ছিল অন্তত একটা আসনে কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে ২০১৪'র সংসদের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবেন!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
এই তো আওয়ামী লীগ। বাকশালের উত্তরসূরী।
mohammad rahman
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
লক্ষাধীক ব্যবধানের বিজয়টি হল না
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
বিনা প্রতিদন্দিতায় নয়, "বিনা প্রতিদন্দিতায়" - এভাবে লিখুন। নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা নেই বলে অধিকাংশ দল নির্বাচন বর্জন করেছে! তাই এটাকে বিনা প্রতিদন্দিতায় বলা যায় না!
Rashidullah
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
স্বশিক্ষিত লেখায় মনোনয়নপত্র বাতিল .... কাঁদব না কি হাসব!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
হায়েরে গণতন্ত্র! ইতি পূর্বে আমরা জানলাম হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকলে ছোট খাট ভুল, স্বাক্ষর না থাকলেও মনোনয়ন বাতিল হয় না স্বাক্ষর নেয়া কোন ব্যাপারও না
MD.ABDUR RAHMAN
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
সম্ভবত: এই সংসদ একমাত্র বৈধ সদস্য পেতে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
কে হায় শুধু শুধু নাটকে নামতে চায় !
S. M. Abdul Haque
০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
That is good no wastage public money. Make like this every 300 seats