কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর উপজেলা) আসনের পুনর্নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছোট বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।
মনোনয়নপত্র জমাদানকারী তিন প্রার্থীর মধ্যে দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। তাই আজ রোববার একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের সৈয়দা জাকিয়া নূরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাংসদ নির্বাচিত ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।
সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিকেল ৫টার আগে জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি আইনজীবী ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এর আগে গত শনিবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মোস্তাইন বিল্লাহ তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আওয়ামী লীগের একমাত্র প্রার্থী সৈয়দা জাকিয়া নূরকে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৬ সাল থেকে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে টানা পাঁচবার নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন। গত বছরের জুলাই মাসে ফুসফুসে ক্যানসারের কারণে তাঁকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি বিজয়ী হন। কিন্তু সাংসদ হিসেবে শপথের আগেই ৩ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে মারা যান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তাঁর মৃত্যুতে কিশোরগঞ্জ-১ আসনটিতে ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে গত ২২ জানুয়ারি পুনর্নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
পরে এ আসনে পুনর্নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হন প্রয়াত সৈয়দ আশরাফের ছোট বোন সৈয়দা জাকিয়া নূর, গণতন্ত্রী পার্টি থেকে জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন এবং জাতীয় পার্টির অঙ্গসংগঠন মৎস্যজীবী পার্টির কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. মোস্তাইন বিল্লাহ। সবাই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় সৈয়দা জাকিয়া নূর সাংসদ হয়ে গেলেন।
মন্তব্য
মন্তব্য করুন প্রথমআলো.কম এ
Rashidullah
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
অভিনন্দন!
mohammad rahman
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
বিনা প্রতিদ্বনদিতায় বিনা শ্রমে বিনা খরচে জিতার আনন্দটাই আলাদা
Md. Sohag
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
ভালো, দেশে রাজতন্ত্র কায়েম হোক।
SYED WALIUL ISLAM
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
Congrats!
shahed
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
ভোটার ও প্রার্থীবিহীন নির্বাচনের তকমা আর যাবে না। এনিওয়ে অভিনন্দন।
quazi haque
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
উনার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, বিনা নির্বাচনে সাংসদ হওয়ার-ই কথা !
James James
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
যাক এবার অন্তত রাষ্ট্রের কিছু টাকা তো বেঁচে গেলো